৬ আগস্ট , "হিরোশিমা দিবস" । ১৯৪৫ সালের
৬ আগস্ট সকাল বেলা জাপানের হিরোশিমা শহরে আমেরিকান
বিমান বাহিনী "লিটলবয়" নামক একটি পারমাণবিক বোমা ফেলে
। এরই মধ্য দিয়ে সূচিত হয় ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত অধ্যায় ।
এর ৩ দিন পর অর্থাৎ ৯ আগস্ট জাপানের আরো একটি শহর
নাগাসাকিতে রাতে ঘুমন্ত মানুষের উপর ফেলা হয় "ফ্যাটম্যান"
নামক আরেকটি পারমানবিক বোমা ।
১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে
হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০০০০ জন মানুষ মারা যায় এবং
নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪০০০ জন মানুষ মারা যায় । পরবর্তীকালে
এই দুই শহরে বোমায় সৃষ্ট পারমাণবিক তেজস্ক্রিয় রোগে আক্রান্ত
হয়ে ২১৪০০০ জন মানুষ মারা যায় । জাপানের অন্যতম একটি
জার্নাল "আসাহি শিমবুন" এর করা হিসেব অনুযায়ী বোমার
তেজস্ক্রিয়তায় সৃষ্ট রোগ সমূহের উপর হাসপাতালের তথ্য গণনা
করে হিরোশিমায় ২৩৭০০০ জন এবং নাগাসাকিতে ১৩৫০০০ জন
মানুষের মৃত্যু ঘটে । জাপানের এই দুই শহরে মৃত্যুবরণকারী
মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক জনসাধারণ ।
১৯৪৯ সালে হিরোশিমা কে শান্তির শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়
। নির্মাণ করা হয় শান্তি স্মৃতি পার্ক । প্রতিবছর শোক আর
বেদনায় এই দিবসটি স্মরণ করে সমগ্র বিশ্ব , এবং চালানো হয়
যুদ্ধ বিরোধী প্রচারণা । তবে ভয়ের বিষয় এই যে , এখনো
থামছেনা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা । বিভিন্ন
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ৯ টি দেশের কাছে রয়েছে অন্তত ৯০০০
পারমানবিক বোমা এবং কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে সমৃদ্ধ
করা হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার । সেই সাথে চলছে আরও
শক্তিশালী আরো বিধ্বংসী বোমা তৈরীর গবেষণা । যদিও যুদ্ধ
নয় শান্তি প্রচারণা চালাচ্ছে বিশ্বের এসব পারমাণবিক অস্ত্রধারী
ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়করা ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:২৩