somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সফল ,তবে চাই তার বাস্তবতা..।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা আইনের রক্ষক সেই আইন ভঙ্গ করে তেমনি একজনকে পেয়েছেন ছেলেরা

বাংলাদেশ প্রথমবারের মত দেখল ইমার্জেন্সি লেন!
যে লেনে শুধু এম্বুলেন্স চলবে!




এই আন্দোলন কতদূর গিয়ে থামবে এখনো জানিনা। তবে ইতোমধ্যে যা ফলাফল দেখছি তা আশানুরূপ। ছাত্ররা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ভীতি সৃষ্টি করেছে সকল ডিপার্টমেন্টের গাড়ি চালকদের মনে। লাইসেন্স না থাকার কারণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে। মন্ত্রীরা যান চলাচলে অনিয়মের কারণে পিছে হঠতে বাধ্য হয়েছে।আজ আনসার বাহিনীর গাড়ির এক ড্রাইভার লাইসেন্স না থাকার কারণে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখে ভয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়েছে। সাধারণ লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভাররাও এখন চাইলেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছে না। লাইসেন্সধারী ড্রাইভাররা বুঝে শুনে সতর্কভাবে গাড়ি চালাচ্ছে। রাজপথে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। জনমনে কিছুটা হলেও ফিরেছে স্বস্তি।


ছাত্রদের গায়ে হাত লাগালে খবর আছে..!!..কিয়ামত শুরু হবে কিয়ামত..!!


যত পরিকল্পনাই করেন না কেন এরা থামবে নাহ..!!..কাজেই স্টুডেন্টদের দমানোর জন্য এদের গায়ে লাঠি,টিয়ারশেল মেরে আমাদের খেপাইয়েন না..!!..তাইলে কোন ভার্সিটি বাদ যাবে নাহ..!!..সব কিছু অচল করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে তারা.!!.

যৌক্তিক আন্দোলনে নিরপরাধ ছাত্রদের উপর নৃশংসভাবে নগ্ন হামলা ছাত্রলীগ,যুবলীগ,শ্রমিকলীগ,আ'লীগ এর জন্য আশ্চর্য হবার মতো কোন বিষয় নয়।

মিরপুরে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সন্ত্রাসলীগের হামলা।

সবাই ওদের প্রতিহত করুন।


মোটামুটি আপত্তিকর শব্দগুলো হলো,

পুলিশ *দার টাইম নাই
পুলিশ তোমায় *দি না
পুলিশ কোন চ্যাটের বাল
নেতা তোমায় *দি না
লাঠি যায়গামত ভরে দেবো
পুলিশ আমার শা*য়ার বাল
মদ খাবি পুলিশ *দবি ইত্যাদি ইত্যাদি!

এক্ষেত্রে সর্বশেষ শ্লোগানটায় ভয়াবহ রকমের আপত্তি আছে কারন এই শ্লোগানটা একটা বড্ড মাতাল এবং সামাজিক ভাইরাস ছড়ানো ব্যাক্তি থেকে প্রভাবিত। পংপং জেলে না থেকে বাইরে থাকলে এ জাতীয় শব্দ আরো দেখা যেতো হয়ত। এটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের কুফল। এছাড়া "ভরে দেবো" "শা*য়ার বাল" এবং চ বর্গীয় বেশ কিছু শ্লোগানের ফেস্টুনগুলো মেয়েদের হাতে থাকা একটু আপত্তিকর। এক্ষেত্রে মেয়েদের প্রতি যৌণ নিপিড়নের একটা বিশ্রি রকমের ভয় আছে।

বিশেষ করে ফেস্টুন সম্বলিত যে মেয়েদের ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে ওদের পরবর্তি জীবনের উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য ছবি প্রচারের নিয়ম না মানা ফেসবুকাররা দায়ি থাকবে।
শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত শব্দগুলোকে শুনতে অশ্লীল মনে হলেও আমি এতে অশ্লীলতা খুঁজে পাচ্ছিনা। কারণ এটা দীর্ঘদিনের চেপে রাখা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। যেটা আমাদের মতো ভদ্রভাষীরা ব্যবহার করতে পারিনি তা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে দেখিয়ে দিয়েছে। এবং বুঝিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রের সব সেক্টরের কর্মীরা যখন নির্লজ্জ হয়ে ওঠে তাদের উদ্দেশ্যে সুন্দর আর সাবলীল ভাষা প্রয়োগ মোটেও কাম্য নয়।



"ঢাকায় পুলিশ, মধ্যবয়সী এক নারীর ব্যাগ সার্চ করে কিছু না পেয়ে মহিলাকে জিজ্ঞেস করলো আপনার সন্তানেরা কে কী করে?

জবাবে মহিলা বললেন, বিয়ের পরে যে সন্তানগুলোর জন্ম হয়েছে তারা কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার।

আর বিয়ের আগে যে সন্তানটি হয়েছে সে পুলিশে চাকরি করে"। সংগৃহী


মন্ত্রী বাহাদুরের কাণ্ড

তবে এরাতো নির্লজ্জ। এরা আইন বানায় শুধু পাবলিক ও দুর্বলদের জন্য। অথচ আইন সবার জন্য সমান হবার কথা ছিল। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে দেশের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট ও সেক্টরে যে অনিয়ম ও জবরদস্তি চলছে তার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে।শিক্ষার্থীরা খুলে দিয়েছে অন্যায় অনাচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসা জনগণের চোখ। আর দেখিয়ে দিয়েছে শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন কীভাবে পরিচালনা করতে হয়। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। কিন্তু আজও অনিয়মে জড়ায়নি তারা। তারা লড়ে যাচ্ছে। তবে কোনোপ্রকার ছাড় দিতে নারাজ। এই আন্দোলন সরকার, প্রশাসনের জন্য লজ্জা। এই আন্দোলন সরকার বিরোধীদের জন্য লজ্জা। সর্বোপরি এই আন্দোলন সফলই বলা যায়।

এগিয়ে যাও প্রিয় বেটারা। জয় তোমাদের হবেই হবে।ইনশাআল্লাহ

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১
১১টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×