(ইহা একটি কল্পনাপ্রসূত কাহিনী, কোন বাস্তব ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে সাদৃশ্য কাকতাল মাত্র)
রাখাল বাহাদুর আবার পেরেশানে পড়িয়াছেন। নিজের জ্ঞানের পরিধি লইয়া তাহার কখনই কোন সন্দেহের উপদ্রব হয় নাই। তাহার পরও বিশাল তৃণভূমির পাঁচশালা ইজারাদার রাখাল বাহাদুর, নিজের কর্মের বীরত্ব প্রকাশের জন্য রাখিয়া ছিলেন কয়েকজন উপদেষ্টা। না রাখিয়াই বা কী করিবেন তিনি, দপ্তরবিহীন উজির যেমন পালিতে হয়, একই দপ্তরের জন্য তদ্রূপ একধিক উজির লাগিবে। কিন্তু মন চাহিলেই তো উজির-নাজিরের পাল পালা যায়না। কিন্তু দুষ্টলোকদের তাহা লইয়া হাস্য-তামাশা এর অন্ত নেই।
মাত্র কয়েক হাজার প্রহর বাকি পরের সামনের ইজারা-ডাকের। কোথায় সবাই দিন গুলাশান করিবে ইজারা-ডাকের মূল্য লইয়া, তাহা না। দূরদর্শনে অম্ল-শোতে বসিয়া উপদেষ্টাদের নিয়োগ সন্দেশকে তিতা বানাইয়া ফেলিল। অতঃপর রাখাল বাহাদুর নিজের কর্ণের শব্দ-বাহক যন্ত্রের কথা ভাবিয়া হালিখানেক উপদেষ্টাকে বিদায় জানাইলেন। উপদেশের জন্য কাহার কাছে যাবেন তিনি এখন। সাতপাঁচ ভাবিয়া, মারপ্যাঁচ ভুলিয়া ভবিষ্যৎ কর্ণধার পুত্র ডাকিয়া পাঠাইলেন। নিজ পুত্র হইলে তিনি কী কইবে ? পুত্র নিজেও তো উপদেষ্টা। সেই পারিবে প্রশ্নের উত্তর দিতে। প্রশ্নমালা মেলিয়া ধরা হইল তাহার সামনে
০১। হরতাল ও অবরোধের মাঝে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য আলোচনা কর।
০২। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের মাঝে গঠনগত বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
০৩। উৎস ও প্রসঙ্গ সহ আলোচনা কর
“বহুদলীয় নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার – এক ও অভিন্ন”