আগে প্রায়শই আব্বু আম্মুর কাছে বকা খাওয়ার পাত্রে পরিনত হতে হতো। তেমন কোন বিগ ম্যাটারে না। জাস্ট ফোন এঙ্গেজ থাকার দরুন। যখনই কল দিত তখনই নাকি তাদের শুনতে হতো 'এই মুহুর্তে নাম্বারটি ব্যাস্ত আছে'। এই কথা যদি প্রতিনিয়ত তাদের শুনতেই হয়, তাহলে ছেলেকে কষ্ট করে ঢাকায় পড়াশোনা করানো কোন বাপ মার মাথা ঠিক থাকে। আর তখনই শুরু হতো প্যাদানি। তাদের ঠ্যাংভাঙা প্যাদানি শুনতে শুনতে একসময় আমারও সয়ে গিয়েছিল। একদমই উপায় ছিলনা
আমিও একটু বুদ্ধু টাইপের ছিলাম বৈকি। তোমার সাথে কথা বলার সময় যেন কেউ বাম হাত না ঢুকাতে পারে এই জন্য ওয়েটিং সার্ভিস অফ করে রেখেছিলাম। আর এই দায়ভার সম্পুর্ণরুপে বর্তায় আব্বু আম্মুর উপরই। আরে, তাদের সাথে কথা বলার সময় তোমার টেক্সট আসলে আমি কেমনে পারি রিপ্লাই না দিতে? আর এই রিপ্লাই দিতে যেয়েই পারতাম বিপদে। লাউডস্পিকার অন করে কথা বলতাম আর বাটন চেপে তোমার সাথে টেক্সট বিনিময়। দুঃখ, বাটন চাপের পিপ পিপ শব্দ শুনতে হতো তাদের। তখনই হতো সেই ঠ্যাংভাঙা প্যাদানি। ঠিকই তো, পিপ পিপ শব্দে কি কথা বলা যায়
শেষপর্যন্ত একদিন তো মুখ ফুটে বলেই ফেললাম 'আরেকটা ফোন কিনে দিলে তো আর এই ঝামেলা পোহাতে হয় না, কিপটেমির একটা লিমিট আছে'। যাক ঝাড়িতে কাজ হয়েছিল। আর আমাদের প্রব্লেম ও সল্ভ
কতদিন আগের কথা। এখনও স্পষ্ট। অনেক মিস করি সময়গুলা। অকারণেই সেই চিল্লাচিল্লি। আবার কাছে টানা। প্রতিদিন মিট করার সময় তোমার নুডুলস নিয়ে আসা। আরো বেশী মনে পরে রাত্রে ফোনে তোমার গান শোনা। আফসুস, কেউ আর এখন আহ্লাদী কন্ঠে বলে না 'খাইছো তুমি'। সবই অতীত
একদিন রাত্রে অকারণে রাগারাগি করার পর কান্না কান্না কন্ঠে তোমার সেই কথাটা এখনও কানে বাজে .. 'আসিফ তুমি একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখো, আমি ছাড়া তোমার কে ই বা খোঁজখবর নেয়'
সত্যিই তো..
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৫