যখন বুঝতে পারলাম ওকে আর আটকে রাখতে পারবো না, তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। রাস্তায় দাড়িয়ে কেঁদেছিলাম প্রায় ২ ঘণ্টা। কত মানুষ তাকিয়ে দেখেছিল সেদিন আমার কান্না। একটুও লজ্জা লাগেনি। ট্রু লাভ এবং ফাস্ট ইমোশন বলে যে ব্যাপারটা থাকে। তুমি চাইলেই থাকতে পারতে, খুব কষ্ট বা স্যক্রিফাইস করতে হত না তোমাকে। তুমি জাননা, বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে চিৎকার পেরে কান্না করেছিলাম সেদিন। আর সারা রাত ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেছিলাম। আমার কান্নার আওয়াজ তোমার কান পর্যন্ত পৌছায়নি, তুমি বুঝতেও চেষ্টা করনি তোমাকে ছেড়ে থাকতে কতটা কষ্ট হবে আমার। তুমি যখন আমাকে ছেড়ে চলে যাও, আমার সমস্যা হিসাবে তুমি তুলে ধরেছিলে আমি খুব অল্প উপার্জন করি, তোমার পরিবার মেনে নিবেনা। তোমার ভালোবাসাটা ছিল টাকার বান্ডেলে বন্দি আর আমার ছিলো হৃদয়ে। তোমাকে সারপ্রাইজ করার অভ্যাসটা ছিল আমার নিত্যদিনের আর তোমার অভিযোগ ছিল তোমাকে সময় দেইনা আগের মত ভালবাসিনা। তোমাকে না বলেই আমি খুব ছোট একটা ব্যাবসা শুরু করেছিলাম। তুমি চলে যাওয়ার পর কতগুলো রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি আমি ছাড়া সেই গল্প আর কেউ জানেনা। চোখের জলও একটা নির্দিষ্ট লিমিট ক্রস করার পর আর বের হয়না, খুব নিষ্ঠুর আচরন করে। আমার সাথেও ব্যাতিক্রম হয়নি। দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলাম সেদিন। তোমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবোই। সব কিছুই কেমন জানি আমার ইচ্ছা মতই হল। আজ নিজেকে খুব সফল মনে হচ্ছে। আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি কিন্তু ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আমি যে অফিসের প্রধান নির্বাহী তোমার স্বামী সেই অফিসের কর্মচারী। তুমি বেশ সুখেই আছো…….
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৪