স্বচ্ছল জীবনের হাতছানিতে বিভ্রান্ত শেহনাজ-ফারাদের মোহ কাটিয়ে মুকিত বিয়ে করে ভিন্ন ধর্মের ধনীকণ্যা সিনডেরেলাকে। বিয়ের পর সামাজিক ফরম্যাটে সংসারী হওয়ার চেষ্টায় মুকিত হাঁফিয়ে উঠে। নাগরিক জীবনের উচ্ছ্বাস উৎসবের পহেলা বৈশাখ, শেরাটনে সুমনের গান, সংখ্যালঘুর যন্ত্রণা, বিবৃতিবাজ বুদ্ধিজীবি, ভন্ড পলিটিশিয়ান আর রটেন অ্যাফলুয়েন্ট সোসাইটির নরম রঙীন কার্পেটের তলায় স্তর জমা নাগরিক ধুলোবালি মুকিত উন্মোচন করে দেয় এক ঝাপটায়। একঘেঁয়ে বিরক্তিকর মানুষদের ভীড়ে সহজ-সরল হারূ মিয়া কিংবা হিজড়াদের সংস্পর্শে এসে মুকিতের মনে হয় এখনো একটি আকাশ আছে, কেবল জানালা খোলার বাকী!
তারপর একদিন কবি হত্যাকারী শুভ ব্যারিস্টার হয়ে ফিরে আসা উপলক্ষে শুভর বাবা উৎসব আয়োজন করে; নৌ-বিহারে শহরের আলোকিত ঝলমলে মানুষদের ভীড়ে পুরনো ভাবনাগুলো আবার ফিরে এলেও তীর্থ যাত্রার আত্মসংশোধন পর্ব ভেবে মুকিত কিছুটা আশাবাদী হয়। সিনডেরেলার সাথে ভালোলাগার মুহূর্তগুলো শিহরণ জাগায়। তবে স্বপ্ন ভঙ্গ হতেও দেরী হয় না। সামাজিক দানবদের শহরে ফেরার প্রস্তুতি দেখে আশঙ্কায় মুকিতের বুক শুকিয়ে যায়। নস্টালজিয়া ঘেরা ভালোবাসার শহরে মৃতু্য দানবদের সাঁজোয়া বহরের নিচে প্রাণ দিবে কবি-পরাজিত মেঘদল-অসহায় কালো মানুষ! মুকিতের আকাঙ্খার শহর তখন কেবলই মৃত জোনাকীর থমথমে চোখ। ...কোথায় যাবে সে!
[link|http://www.box.net/public/dbcn08ejod#main|'g

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


