ঘুষ না পেয়ে দখলদারের পক্ষে পুলিশ, বাড়ি ফিরতে পারছে না সেনা সদস্যের পরিবার
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের খায়েরঘটিচোরা গ্রামের সেনা সদস্য মো. মজনু হাওলাদারের বাড়ি দখল করে নিয়েছে দুবর্ৃৃত্তরা। শুধু তা-ই নয়, ঘরের মালামাল লুট করে বাড়ির গাছপালাও কেটে নিয়েছে তারা।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় থানার পুলিশ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় থানা পুলিশ দখলদারদের পক্ষ নিয়ে মামলা গ্রহণ না করে বিষয়টি সালিসি ব্যবস্থার মাধ্যমে মীমাংসার পরামর্শ দেয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. মজনু হাওলাদার (বর্তমানে খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে সার্জেন্ট পদে কর্মরত) ১৯৯০ সালে তাঁর শাশুড়ি হালিমা খাতুন গংয়ের কাছ থেকে ৫৭ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি তোলেন। ওই জমিতে গত ২০ বছরে তিনি নানা প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চারা লাগান। সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকায় তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম তিন ছেলের লেখাপড়ার জন্য স্থানীয় মিরুখালী ইউনিয়ন বাজারে বসবাস করতেন। এই সুযোগে বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে স্থানীয় মো. আনেচ মোল্লার ছেলে মো. মনির মোল্লা ও তার দুই ভাই সাইদুল মোল্লা ও আলাউদ্দিন মোল্লা মিলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে সেনা সদস্য মজনুর ঘরের তালা ভেঙে লুটপাট চালিয়ে বাড়িটি দখল করে নেয়। পরদিন মজনুর স্ত্রী ফরিদা বেগম বাড়ি দখলের মামলা করতে গেলে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ মামলা নেয়নি।
ফরিদা বেগম অভিযোগ করেন, 'মঠবাড়িয়া থানার তৎকালীন ওসি মো. নূরুল হক মামলার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পারায় পুলিশ বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে ফয়সালা করার পরামর্শ দেয়। পরে বিষয়টি সরকারি দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে বিচার দাবি করে আবেদন করেন। তিনি বিষয়টি সালিসের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা মো. ফারুকুজ্জামান ও মো. শফিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু সালিসদাররা বাড়ি দখলদারদের পক্ষ নিয়ে সালিসের নামে সময়ক্ষেপণ করেন। এ সুযোগে দখলদার মনির মোল্লা ওই জমির মালিকানা দাবি করে পিরোজপুর দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ন্যায় বিচার না পেয়ে ঘটনার তিন মাস পরে ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট ফরিদা বেগম বাদী হয়ে মো. মনির মোল্লাকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল করে লুটপাটের অভিযোগ এনে মঠবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিলে মামলার দুই নম্বর আসামি সাইদুল মোল্লা তাঁর চাচাতো ভাই চার নম্বর আসামি সালাম মোল্লাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। অপরদিকে প্রধান আসামি মনির মোল্লা আদালত অবমাননার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সেনা সদস্য মো. মজনু হাওলাদার অভিযোগ করেন, বাড়ি দখলকারীরা তাঁর পরিবারের নামে স্থানীয় থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। তিনি দাবি করেন, আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে তাঁর পরিবারকে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। দখলকৃত বাড়িটি উদ্ধার করতে না পারায় ও আসামিদের হুমকিতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ইউনিয়ন বাজারে বসবাস করছেন।
মামলার প্রধান আসামি মনির মোল্লা বর্তমানে জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মামলায় অভিযুক্ত তাঁর ভাই দুই নম্বর আসামি মো. সাইদুল মোল্লা বাড়ি দখলের ও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি তাঁর বাবা ১৯৭২ সালে সেনা সদস্যের নানি শাশুড়ির কাছ থেকে কিনেছে। সেই সূত্রে আমরা জমি দখলে নিয়েছি। এ জমি গত ২০ বছর ধরে সেনা সদস্য মজনুর দখলে ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ ঘটনার সালিসদার মঠবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক প্রশাসক এ কে এম সেলিম মিয়া বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে সেনা পরিবারটির জমি দখলমুক্ত করতে একবার পুলিশ নিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরে তারা রাতের আঁধারে বাড়িটি আবার দখলে নেয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় বিষয়টি আর সালিসিব্যবস্থায় নেওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক খান রাহাত বলেন, বাড়িটিতে গত ২০ বছর ধরে সেনা সদস্যের পরিবার বসবাস করে আসছেন। অবৈধভাবে বাড়িটি দখল করা হয়েছে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা দুর্বৃত্তপনার অভিযোগ আছে। তারা কোনো সালিসব্যবস্থাও মানে না।পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের খায়েরঘটিচোরা গ্রামের সেনা সদস্য মো. মজনু হাওলাদারের বাড়ি দখল করে নিয়েছে দুবর্ৃৃত্তরা। শুধু তা-ই নয়, ঘরের মালামাল লুট করে বাড়ির গাছপালাও কেটে নিয়েছে তারা।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় থানার পুলিশ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় থানা পুলিশ দখলদারদের পক্ষ নিয়ে মামলা গ্রহণ না করে বিষয়টি সালিসি ব্যবস্থার মাধ্যমে মীমাংসার পরামর্শ দেয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. মজনু হাওলাদার (বর্তমানে খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে সার্জেন্ট পদে কর্মরত) ১৯৯০ সালে তাঁর শাশুড়ি হালিমা খাতুন গংয়ের কাছ থেকে ৫৭ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি তোলেন। ওই জমিতে গত ২০ বছরে তিনি নানা প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চারা লাগান। সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকায় তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম তিন ছেলের লেখাপড়ার জন্য স্থানীয় মিরুখালী ইউনিয়ন বাজারে বসবাস করতেন। এই সুযোগে বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে স্থানীয় মো. আনেচ মোল্লার ছেলে মো. মনির মোল্লা ও তার দুই ভাই সাইদুল মোল্লা ও আলাউদ্দিন মোল্লা মিলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে সেনা সদস্য মজনুর ঘরের তালা ভেঙে লুটপাট চালিয়ে বাড়িটি দখল করে নেয়। পরদিন মজনুর স্ত্রী ফরিদা বেগম বাড়ি দখলের মামলা করতে গেলে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ মামলা নেয়নি।
ফরিদা বেগম অভিযোগ করেন, 'মঠবাড়িয়া থানার তৎকালীন ওসি মো. নূরুল হক মামলার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পারায় পুলিশ বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে ফয়সালা করার পরামর্শ দেয়। পরে বিষয়টি সরকারি দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে বিচার দাবি করে আবেদন করেন। তিনি বিষয়টি সালিসের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা মো. ফারুকুজ্জামান ও মো. শফিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু সালিসদাররা বাড়ি দখলদারদের পক্ষ নিয়ে সালিসের নামে সময়ক্ষেপণ করেন। এ সুযোগে দখলদার মনির মোল্লা ওই জমির মালিকানা দাবি করে পিরোজপুর দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ন্যায় বিচার না পেয়ে ঘটনার তিন মাস পরে ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট ফরিদা বেগম বাদী হয়ে মো. মনির মোল্লাকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল করে লুটপাটের অভিযোগ এনে মঠবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিলে মামলার দুই নম্বর আসামি সাইদুল মোল্লা তাঁর চাচাতো ভাই চার নম্বর আসামি সালাম মোল্লাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। অপরদিকে প্রধান আসামি মনির মোল্লা আদালত অবমাননার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সেনা সদস্য মো. মজনু হাওলাদার অভিযোগ করেন, বাড়ি দখলকারীরা তাঁর পরিবারের নামে স্থানীয় থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। তিনি দাবি করেন, আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে তাঁর পরিবারকে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। দখলকৃত বাড়িটি উদ্ধার করতে না পারায় ও আসামিদের হুমকিতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ইউনিয়ন বাজারে বসবাস করছেন।
মামলার প্রধান আসামি মনির মোল্লা বর্তমানে জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মামলায় অভিযুক্ত তাঁর ভাই দুই নম্বর আসামি মো. সাইদুল মোল্লা বাড়ি দখলের ও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি তাঁর বাবা ১৯৭২ সালে সেনা সদস্যের নানি শাশুড়ির কাছ থেকে কিনেছে। সেই সূত্রে আমরা জমি দখলে নিয়েছি। এ জমি গত ২০ বছর ধরে সেনা সদস্য মজনুর দখলে ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ ঘটনার সালিসদার মঠবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক প্রশাসক এ কে এম সেলিম মিয়া বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে সেনা পরিবারটির জমি দখলমুক্ত করতে একবার পুলিশ নিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরে তারা রাতের আঁধারে বাড়িটি আবার দখলে নেয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় বিষয়টি আর সালিসিব্যবস্থায় নেওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক খান রাহাত বলেন, বাড়িটিতে গত ২০ বছর ধরে সেনা সদস্যের পরিবার বসবাস করে আসছেন। অবৈধভাবে বাড়িটি দখল করা হয়েছে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা দুর্বৃত্তপনার অভিযোগ আছে। তারা কোনো সালিসব্যবস্থাও মানে না।
এই যদি হয় সমাজ ব্যবস্থা তাহলে কেমনে চলবে এই দেশটা
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন