ভোটার তালিকার কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে পেশা হিসেবে 'যৌনকর্মী' পরিচয় স্থান পাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এ পেশাকে নিরুৎসাহিত করার জন্যই ভোটার নিবন্ধন ফরমে পেশা নির্দেশিকায় 'যৌনকর্ম' না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার নিবন্ধন ফরমে অন্তর্ভুক্তির জন্য যৌনকর্মসহ ৩০টি নতুন পেশার তালিকা পাঠায়। এর মধ্যে যৌনকর্ম ছাড়া বাকিগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় নিবন্ধন ফরমে ১৪টি পেশার নাম উল্লেখ ছিল। এগুলো হচ্ছে সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংকার, ব্যবসা, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র/ছাত্রী, গৃহিণী, দিনমজুর ও বেকার। এর বাইরে পেশাগত পরিচয়ের ঘরে তথ্য দিতে চাইলে 'অন্যান্য'তে টিক চিহ্ন দিতে হতো।
ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রকল্পের প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন যেসব পেশার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো ধোপা, কামার, কুমার, জেলে, মিস্ত্রি, প্রহরী, তাঁতি, পরিচ্ছন্নকর্মী, মাঝি, কুলি, মুচি, বাবুর্চি, শিল্পী, হকার, রিকশা/ভ্যান চালক, নাপিত, দর্জি, বিচারক, ঠিকাদার, ড্রাইভার, নার্স, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি চাকরিজীবী, ইমাম/পুরোহিত/পাদ্রি, গৃহকর্মী, হেকিম/কবিরাজ, কসাই ও মালি।