somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরান নীতিতে ফেডারেল পলিটিকস ও সৌদি ইরান বিরোধ

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নগরের বাসিন্দারাই নাগরিক- আশরাফি

ক্ষমতার শেষ বর্ষে এসে প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগনের প্রচলিত নীতির বাইরে এসে বিশ্বকে যে নতুন কিছু দিতে পারছেন না তা পরিষ্কার। ২০১৬ সালের শুরুতে তিনি দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক অবরোধের মুখে থাকা ইরানের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে সচেষ্ট হয়েছেন তার পেছনে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাস আরো দীর্ঘ। অনেক প্রাজ্ঞ প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সাথে আমি একমত না হয়ে বলছি যে জীবনের শেষ বিশ্ব ক্ষমতা চর্চার বছরে (ইয়ার অব দ্যা ওয়াল্ড পাওয়ার প্রাকটিস) এসে মিঃ ওবামার জন্য এটি কোন চ্যালেঞ্জিং বছর নয়। বরং এই বছরটি তার জন্য আরো অধিক গুরুত্বপুর্ন এই কারনে যে এখন তার সমস্ত প্রাজ্ঞতা, নেতৃত্ব গুনাবলি ও কুটনৈতিক জ্ঞান জাহির করে নিজেকে ইতিহাসের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমরা যেভাবে ভাবছি মিঃ ওবামা সেভাবে নাও ভাবতে পারেন। সম্প্রতি ইরানের উপর থেকে তুলে নেওয়া জাতিসংঘ, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে মধ্য প্রাচ্যের রাজনীতিকে কিভাবে মেরুকরন করবে? ইরান আদৌ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ফলে দীর্ঘমেয়াদে কতটুকু লাভবান হবে তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ছয় পরাশক্তির যে পরমানু নিরস্ত্রীকরন চুক্তি হয়েছে গত কয়েকদিন আগে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি এজেন্সি)র পর্যবেক্ষকদল ইরানের পরমানু স্থাপনা পরিদর্শন শেষে চুক্তির সব কিছু ইরান ঠিকঠাক মেনে চলছে এমন সংকেত দিলে প্রথমধাপে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এই চুক্তির ধারাবাহিক কার্যকারিতা লক্ষ্য করতে গেলে আমাদের অন্তত আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারন ২০১৭ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে ইরানের ভবিষ্যত নিরাপত্তা ও বানিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এছাড়াও বিপ্লবী প্রজাতন্ত্র ইরান কতক্ষন পর্যন্ত নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় গুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ঈসরাইলকে কতটুকু ছাড় দিতে পারছে? তার উপরেও নির্ভর করছে টেকসই নিরাপত্তা। গত বছর চুক্তি স্বাক্ষরের প্রাক্কালে মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান দলীয় সদস্যরা প্রবল আপত্তি তোলে যে এই চুক্তির দ্বারা ইরান কে তার পরমানু কর্মসুচি চালিয়ে নেওয়ার পথকে আরো সহজ করে দেওয়া হয়েছে । তারা এমনো হুমকি দেয় যে পরবর্তীতে তারা ক্ষমতায় আসলে এই চুক্তি বাতিল করবে। সে সময় এই চুক্তির বিরোধিতা করে কংগ্রেসের রিপাবলিকানদলীয় স্পীকার জন বোয়েনারের আমন্ত্রনে ঈস্রাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার কংগ্রেস ভাষনে চুক্তির কড়া সমালোচনা করেন। যার সবকিছুই হয় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অগ্রাহ্য করে। এর বাইরে এই চুক্তির সমালোচনাকারীদের মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম। আজ যখন মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের হিড়িক পরে গেছে তখন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থিদের মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন কট্টর ডানপন্থী মানুষ যদি প্রেসিডেন্ট হয়েও যান তাহলে ইরানের সাথে যে চুক্তি থাকছেনা তা মিঃ ওবামা ভালো করেই জানেন। একই সাথে রিপাবলিকানদের অপর দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী টেড ক্রুজ এবং মার্কো রুবিওকে ইতোমধ্যে অনেক ভদ্র, সাবলিল, বিজ্ঞ প্রগতিবাদী ও কথাবার্তায় রুচিশীল মানুষ হিসাবে দেখা গেলেও বর্তমান রিপাবলিক দলে অতি ডানদের চাপে পড়ে তারা কেউ প্রেসিডেন্ট হলেও যে মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে ইরান বিদ্বেষ কিছুটা হলেও বাড়বে বৈকি কমবেনা। আর এসব বিবেচনায় এনে মিঃ ওবামা ইরানের উপর তার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিবেন এটাইতো স্বাভাবিক। এর বাইরে প্রেসিডেন্ট ওবামার সবচেয়ে বড়ো সমর্থক ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন যদি জয়ী হন তাহলে ইরান কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। হিলারির নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বার্নি স্যান্ডার্স ইরান এর ব্যপারে পরিবর্তনশীল নীতি অনুসরন করবেন ধারনা করা কঠিন। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দৌড়ে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা মিঃ ট্রাম্পের কথাই যদি ধরি তাহলে তার মতো একজন আক্রমনাত্নক অভিনেতার আবির্ভাব যদি মধ্যপ্রাচ্যের রঙ্গমঞ্চে ঘটে তার জন্য চড়া মুল্য দেওয়ার জন্য এখন থেকে সৌদি আরব ও ইরানকে প্রস্তুত থাকা উচিত। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ইরানের পতন যে ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে সেটি অবশ্য সৌদি আরব আপাতত ভাবছেনা। মার্কিন প্রশাসনে যত বড়োই রদবদল আসুকনা কেন মার্কিনিরা নিজেদের ও ঈস্রাইলের স্বার্থে সবসময় মধ্যপ্রাচ্যে তার একজন শক্তিশালী শত্রু ও মিত্র জিইয়ে রাখতে চাইবে। ইরানের অনুপস্থিতে আর ভবিষ্যতে যদি কেউ না থাকে তখন সৌদি আরবই বলীর পাঠা হতে অসম্ভব কি? অবশ্য এর জন্য ভবিষ্যতে আরবের অধিবাসীদের জাতীয়তাবোধ সৌদি রাজতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, সৌদি প্রিন্সদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ ইত্যাদি বিষয় অনেকাংশে কাজ করবে। মনে রাখতে হবে সৌদি জনগন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র নয় বরং সৌদি রাজবংশ হোয়াইট হাউজের তাবত মিত্রদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো। ২০১৭ সালে মিঃ ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট হন তাহলে যা হবে মধ্যপ্রাচ্যে আইএস কান্ডের সমাপ্তী ঘটতে পারে। ওবামা প্রশাসনের তৈরি করা আইএস তত্ব ট্রাম্পের ভালো নাও লাগতে পারে। যেমনটা বুশ প্রশাসনের তৈরি আল কায়েদা তত্ব ওবামাকে ভাল লাগেনি তিনি আল কায়েদাকে যে সুকৌশলে সরিয়ে দিয়ে আইএস কান্ডের উত্থান ঘটিয়েছেন তা প্রায় পরিষ্কার কেননা বর্তমানে আল কায়েদার কোন কর্মকান্ডের খবর আর মিডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছেনা অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আল কায়েদা নামে দুনিয়ায় আর কোন সংগঠন নেই। এতো বড়ো একটি সংগঠন হঠাত করে হারিয়ে গেল কিভাবে? অপর পক্ষে অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে দুনিয়ার যেকোন প্রান্তে মহাবন আমাজানের গভীর জংগলে কোন প্রানী অপঘাতে মরলে কে জড়িত? আইএস, জাপান সাগরে নৌকাদুবি কে জড়িত? আইএস, সাইবেরিয়ায় অমৌসুমি তুষার ঝড়ে মৃত্যু, জড়িত কে? আইএস। এভাবে দুনিয়ার তাবত অপকর্মের সাথে জড়িত এখন একটাই নাম আইএস। অবস্থা এমন চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর হয়তো বলা হবে নাসার বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে মংগলে হামলা চালাল আইএস। কিংবা মংগল দখল করে নিল আইএস। সাধারন মানুষ আবার তা বিশ্বাসও করবে। কারন এখন দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষই মনে করে আইএস নিশ্চয়ই একটি অলৌকিক শক্তি। এর জন্য অবশ্য আন্তর্জাতিক অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বেশ সুবিধাই হয়েছে যেকোন অপরাধ করে আইএসের নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে দায় স্বীকার করে নিলেই মুক্তি। বড়োই আজব। মিঃ ট্রাম্পের যদি আইএস সিরিয়াল ভালো না লাগে তাহলে তিনি অন্য কোন তত্বের উদ্ভাবন করতেও পারেন। এড়াও যা হতে পারে পুরনো সৌদি লেজুড়বৃত্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। মিঃ ট্রাম্প যে মুসলিম বিশ্বকে একবর্ন ছাড় দেবেননা সেটা নিশ্চিত। এখন যদি তিনি সৌদি আরবকে মুসলিম রাষ্ট্র না মনে করেন তাহলে আলাদা। আর যদি মুসলিম আমলে নেন তাহলে বিপদ। শত প্রতিকুলতা হেতু সৌদি আরব কখনই যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতা চাইবেনা। বরং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যে তার ছায়া মন্ত্রীত্ব আরো বাড়াবে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাইরে আরো যে বিষয়গুলো ইরানের সাথে চুক্তি কার্যকর থাকবে কিনা তার জন্য প্রভাব ফেলবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বড়ো মিত্র হিজবুল্লা, হুতি, হামাস কিংবা সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ঈস্রাইল ও সৌদি আরবের সামরিক শক্তির ব্যবহার ও ইরানের সহ্যসীমা। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যেকোন অবস্থাতে তার মিত্রশক্তির উপর আক্রমনাত্নক কোন পদক্ষেপ যে সহ্য করবেনা অতীতের ঘটনাগুলোই এর সাক্ষ্য দেয়। ইরানের ব্যপারে ঈস্রাইলের নৈতিক অবস্থান অনেকটা সৌদি আরবের জন্য কার্যকরী বটে। ঈস্রাইলের জন্য ইরান যেখানে ঘা ঠিক সেই রেখার উলটো পিঠে ইরান সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ঘা তৈরি করে রেখেছে। তাই সৌদি আরব এবং ঈস্রাইল পরস্পরের মিত্র না হলেও ইরানের বিরুদ্ধে তাদের স্বার্থ প্রায় একই এজন্য ইস্রাইলের আপাতত সৌদি আরব কে নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। ইস্রাইলের ব্যপারে সৌদি আরবের যে অবস্থান তাতে তারা এখন ঈস্রাইলের শত্রু তো নয় বটে বরং বন্ধুর থেকেও কিছুটা এগিয়ে। এটা শুধুমাত্র ইরানকে কব্জা করার একটা কৌশল মনে করছেন সৌদি প্রিন্সরা। তাদের এমন অপরিনামদর্শিতাই বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে ভবিষ্যত সৌদি নিরাপত্তাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×