আশরাফুজ্জামান মন্ডল :
বস্তুত গোটা মধ্যপ্রাচ্য সৌদি রাজ পরিবারের নীলযন্তের কবলে টালমাটাল হয়ে পড়ার সংক্ষিপ্ত গল্পমাত্র। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টিকারীদের হয় ষড়যন্তের চাকায় পিষ্ট করে, গোষ্ঠীগত দ্বন্দকে উষ্কে দিয়ে কিংবা অতি সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন নীতি অনুসরন করে আক্রমনাত্নক স্থল বা বিমান হামলা চালিয়ে অথবা সৌদি রাজপরিবার কতৃক সুবিধাভোগী সৌদি মিত্র দেশসমুহের জোটগত অর্থনৈতিক নিপিড়নের মাধ্যমে সৌদি প্রিন্সরা জায়নিষ্ট ঈস্রাইলের অশুভ দখলদারিত্ব হন্তারক অভিযানকে সুপ্রসন্নিত করছে। আরব বসন্ত শুরুর প্রাক্কালে পশ্চিমা গন মাধ্যম একে মধ্যপ্রাচ্যে পুরনোতান্ত্রিক এক প্রতিক্রিয়াশীল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে নব্য গণতন্ত্রী আন্দোলন হিসাবে দেখানোর প্রয়াস এবং মার্কিন সমর্থন পুষ্ট ন্যাটো বাহিনী ভয়ংকর রাক্কষদেরমতো মধ্যপ্রাচ্যের ভুমি থেকে আকাশে ছড়ীয়ে পড়ে এইমর্মে যে তারা লিবিয়ায় গাদ্দাফি সিরিয়ায় বাশার ইয়েমেনে আলী আব্দুল্লাহ সালেহ কিংবা তিউনিশিয়ায় বেন আলীর দীর্ঘ শাসনকে হঠিয়ে সেখানে বিপ্লবীদের দ্বারা নব্য প্রজাতন্ত্র ্প্রতিষ্ঠা করবে। সে সময় ন্যটো বাহিনীর এই অভিযানের জন্য মার্কিনীরা যে বিপ্লবীদের সাহায্যের ধজা তুলেছিল তারা আসলে ন্যাটোর হস্তক্ষেপ চায় কিনা সে প্রাইমারি ডিসকাশনের প্রয়োজন টুকুও মনে করেনি। কারন ঐ সময় পুরো মধ্য প্রাচ্যে কতোটূকু আগ্রাসন চালানো হবে কোথায় কোথায় চালানো হবে কিভাবে চালাণো হবে কাকে ন্যাটো বাহিনী সাহায্য করবে তার পুরো প্রক্রিয়া ঠিক করেছিল সৌদি আরব। সেসময় যা হয়েছে তা পুরোটাই যে সৌদি প্রিন্সরা যতটূকু চেয়েছে ঠিক তার একটুও বেশিনা তার সত্যতা মেলে আজকের মিশর ইয়েমেন কিংবা সৌদি রাজপরিবারের অনুগ্রহ প্রাপ্ত রাজতান্ত্রিক মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য দেশ জর্ডান, মরক্কো, সুদান বাহরাইন, কাতার কিংবা আরব আমিরাতের দিকে তাকালে। কারন এইসব দেশের রাজপরিবারগুলো সবাই সৌদি রাজপরিবার দ্বারা আর্থিক অনুদানসহ সকল ধরনের কৃপা পেয়ে থাকে।ফলে এইসব দেশে বিপ্লবের সামান্য আচও লাগেনি। একমাত্র ব্যতিক্রম মিশরে বিপ্লব উষ্কে পড়ে সৌদি নিয়ন্ত্রনের বাইরে কারন সেখানে মুসলিম ব্রাদারহুড তাদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে হুসনি মোরাররকের কুশাসনের বিরুদ্ধে জনগনকে খুব সহজেই খেপিয়ে তোলে। যার ফল মুবারকের পতন পরবর্তী অবাধ নির্বাচন মুসলিম ব্রাদারহুডের জয়লাভ মুহাম্মদ মুরশির ক্ষমতা গ্রহন। কিন্তু সৌদি প্রিন্সদের চক্ষুশুল ব্রাদারহুড তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতি করবে এমনটা ভাবা রীতিমত অসম্ভব পাপ মনে করলেন প্রিন্সরা। শুরুহল ষড়যন্ত্র ফলাফল সৌদি দুত জেনারেল সিসির দানবিক আগমন। এখানে আরও যে বিষয়টি আমাদের মনে রাখা দরকার আরব বসন্তের ফলে যে কটি দেশ তথা লিবিয়া, সিরিয়া, তিউনিশিয়া, মিশর ও ইয়েমেন এই কটি দেশে একনায়কতান্ত্রিক স্বৈশাসন থাকলেও এই শাসকরা কেউই রাজপরিবারের সদস্য ছিলেননা কিংবা সেসব দেশে কোন রাজ বংশ দেশ শাসনে নেই সুতরাং মনে রাখতে হবে আরব বসন্ত কোন রাজপরিবার শাসিত দেশে ধাক্কা লাগেনি কারন সৌদি আরব মধ্য প্রাচ্যের সমস্ত রাজ বংশের এখন বিরাট ত্রাতা বটে। আরব বসন্ত যে কোন গণতন্ত্র উদ্ধারের বিপ্লব ছিলনা তা আমরা একমাত্র মিশর ও মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষন করলেই বুঝা যায়। মধ্য প্রাচ্যের রাজনীতিতে সৌদি আরব সবসময় মেরু করনের যে অপচেষ্টা করে গেছে তারই ফল হচ্ছে মুসলিম ব্রাদারহুডকে মিশরের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা। ব্রাদারহুডের আদর্শ কে সব সময় সৌদিরা সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দেখেছে। মিশরে মোবারকের পতন যখন ঠেকানো অসম্ভব হয়ে ওঠে ব্রাদারহুডের অবিসম্ভাবি জয়ে সৌদি প্রিন্স্দের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তারা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে ব্রাদারহুডের যাত্রা পথে নরমাংশের ঢিবি বানিয়ে জেনারেল সিসিকে কাজে লাগিয়ে পুরনো প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনে।সৌদি আরব মুসলিম ব্রাদারহুডের উত্থনে এমন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে যে তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের আদর্শে চলে পৃথিবীব্যপি এমন সব সংগঠনকে শনাক্ত করে তাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালতে শুরু করে তার প্রমান ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার নির্বাচনে প্যান মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টিকে ঠেকাতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ততকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেয়(বিবিসি) যা নিয়ে কিছুদিন পুর্বে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে তার বিরোধী জোট জাতীয় বিনিয়োগ সস্থার অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ তোলে বিষয়টি নিয়ে এমনি জল ঘোলা হয় যে সেদেশের হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ালে পরিশষে মিঃ রাজাক স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, যে টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে সে টাকা আসলে জাতীয় বিনিয়োগ সংস্থার নয় এটি সম্পুর্ন রাজাকের ব্যক্তিগত একাউন্টের হিসাব যা নির্বাচনে খরচ করার জন্য সৌদি বাদশার দানকৃত অর্থ।মুসলিম ব্রাদারহুডের পতনে ফল যা হয়েছে মিশরীয়রা দেখছে তাদের নব্য ফারাওকে। জেনারেল সিসির ক্ষমতা গ্রহনের তিন বছরে এসে কেমন আছে মিশরের জনগন তা নিয়ে বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের বিশ্লেষনে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। ভিন্নমত তো দূরে থাক সহমতের অনেক মানুষ আজ এই দৈত্যের হাত থেকে যেন নিরাপদ নয়। ক্ষমতা গ্রহনের পরপরি তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাদের জেলে পুরেছেন। অনেকের ফাসির রায় দিয়েছেন। রাজপথে গুলি করে হত্যা করেছেন হাজার হাজার নেতা কর্মী। মধ্যপ্রাচ্য থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধকরনে সৌদি-ঈস্রাইল নীল নকশার তিনি ঘোষকমাত্র। ইসলামপন্থীরা ছাড়াও ধর্ম নিরপেক্ষ বাম্পন্থী মোবারক বিরোধী আন্দোলনের অনেক বিপ্লবী এখন কেউ কারাগারে কেউবা আবার রাষ্ট্রযন্ত্রের করাত থেকে বাচতে পালিয়ে গেছে বিদেশে। গার্ডিয়ানের বরাতে আরো জানা যাচ্ছে যে সিসির দুঃশাসন এমন টার্মিনালে পৌচেছে যে ইতোমধ্যে মিশরীয়রা তার আমলকে ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম শাসন বলে আখ্যা দেওয়া শুরু করেছে। যদিওবা মিশরের ইতিহাসে ফারাও ২য় রামিষেশ ইস্রাইলি জাতি গোষ্টীর উপর এমন ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছিলেন যে তাদের উদ্ধারে স্বয়ং ঈশ্বর তার দুত নবী মুসাকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আসমানী বার্তা মোতাবেক যে ইশ্বরদত্ত দুত ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে সাধারন মিশরবাসইর পাশে ২য় মুসা দাড়াবেন কে? জেনারেল সিসি মিশরে সৌদি রাজবংশের একজন প্রতিনিধিমাত্র। যার পোষ্য কোটা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট শুধুমাত্র ঈস্রাইলের স্বার্থে।কারন প্যালেস্টাইনের মৃত্যু উপত্যকা গাজায় মানবিক সংকটকে আরো বেশি অমানবিক নিষ্ঠূরতম করার প্রক্রিয়ায় জেনারেল সিসিকে ঈস্রাইলের একজন সমার্থক মংগল প্রার্থী হিসাবে দেখেনা পৃথিবীর এমন কোন ক্ষুদ্র ইহুদি থেকে জায়নিস্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী মিডিয়া, কর্পোরেট হাউস কিংবা বস্তা বস্তা টাকার যোগান দাতারা কেউ সে সিরিয়ালে বাদ পড়েনা। মুসলিম ব্রাদারহুডের একবছর শাসন আমলে মিশরের সাথে গাজাবাসীর সরাসরি যোগাযোগ ছিল। সকল ধরনের দুর্দিনে গাজার মানুষ মিশর থেকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিতে পারতেন। ইস্রাইল বরাবর অভিযোগ করে আসছিল যে হামাস গাজার সাথে মিশরের যোগাযোগ রক্ষাকারী সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে ইস্রাইলের বিরুদ্ধে অপততপরতা চালাচ্ছে। ঈস্রাইল সব সময় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস)কে সন্তাসী সঙ্গগঠন হিসাবে উল্লেখ করে। ফলে মধ্য প্রাচ্যে হামাসের সবচেয়ে বড় মিত্র ব্রাদারহুড তারাও যে ঈস্রাইলের কাছে সন্ত্রাসী বলে পরিগনিত হবে এটাই স্বাভাবিক। আর তাই হামাসকে রুখতে হলে আগে মিশরের ক্ষমতা থেকে ব্রাদারহুডকে সরানো ঈস্রাইলের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। ব্রাদারহুডকে মিশরের ক্ষমতা থেকে সরানোর ঈস্রাইলি পরিকল্পনাকে আরো বেশি বেগবান করে সৌদি আরব, তারা যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যে ব্রাদারহুডের উত্থানকে সন্তাসবাদের সাথে তুলনা করে ভবিষ্যত সৌদি রাজবংশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে সেহেতু মার্কিন-ঈস্রাইল পরিকল্পনার সাথে মিলে সৌদি আরব সেনা প্রধান জেনারেল সিসিকে কাজে লাগিয়ে মুরশিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ষড়যন্ত্রের বাস্তবরুপ দেয়। সিসি ক্ষমতায় আসার পথে বড় সহায়ক প্রভু সৌদি আরব ও মার্কিন-ইস্রাইল নীতি বাস্তবায়নে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে গাজার সাথে যোগাযোগের সকল পথ তিনি বন্ধ করে দিলেন। এমনকি ২০১৪ সালে গাজায় এক্ মাসব্যপী ইস্রাইলি আগ্রাসনের সময়ও সিসি মিশরের সাথে গাজার সকল পথ বন্ধ করে রেখেছিলেন। ফলে খাদ্যের মত অতি জরুরি পন্য না পেয়ে গাজাবাসী জাতিসঙ্ঘের ত্রানের উপর নির্ভর করে বেচেছিল।এখনো সে প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। ইস্রাইলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ পথ সিসি গুড়িয়ে দেওয়া শুরু করেছেন।২০১৫ সালে সিনাই অঞ্ছলে মিশরীয় সেনাদের উপর সন্তাসী হামলা হলে সিসি সে ঘটনার জন্য হামাসকে দোষারোপ করেন। ফলে হামাসকে রুখতে তিনি হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ ধংশের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। যা প্রত্যক্ষভাবে ঈস্রাইলী এজেন্ডার চটজলদি প্রকল্প। সৌদি আরব যেভাবে ইরানকে রুখতে মধ্যপ্রাচ্যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে তাতে ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের সম্ভাবনা ভেঙ্গে পড়েছে। একমাত্র সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশারকে রুখতে তার বিরোধীজোটকে সৌদি আরব বস্তা বস্তা টাকা খরচ করে গত পাচবছর ধরে অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে। সিরিয়াকে অধিক অস্থিতিশীল করে বাশারকে বেশিমাত্রায় কাবু করতে মার্কিন-ঈস্রাইলী কুচক্রিদের সাথে মিলে আইএসের জন্ম দিয়েছে এখন পর্যন্ত লালন করছে। শেষতক বাশারকে হঠাতে না পেরে তুরস্কের সাথে মিলে সিরিয়ায় বিমান হামলার পরিকল্পনা করে কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয় জাতিসঙ্ঘের যুদ্ধবিরতী সিদ্ধান্ত(বর্তমানে যুদ্ধবিরতী চলছে) সিরিয়ায় টেক্সই যুদ্ধবিরতী কার্যকর করতে হলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক ভুমিকা পালন করতে হবে সৌদি আরবকেই কারন সৌদি সমর্থীত বিদ্রোহী গ্রুপ ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতী মানবে যতক্ষন পর্যন্ত সৌদি আরব তাদের কোন্রকম অস্ত্র সহায়তা থেকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ রাখবে। সিরিয়া ইস্যুতে মার্কীনিদের স্বার্থ হচ্ছে তারা বলছেন যে প্রেসিডেণ্ট বাশারকে রাশিয়া সমর্থন যোগাচ্ছে এতে করে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে তার শক্তিশালী অবস্থান পোক্ত করছে যা ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নিরাপত্তা ও আধিপত্যের জন্য হুমকি। অপরপক্ষে বাশারকে সরাতে পারলে ইস্রাইল ও সৌদি আরবের লাভ হচ্ছে যে সিরিয়া থেকে ইরানের আধিপত্য ধংস হয়ে যাবে ফলে সেখানে সৌদি আরব ও ঈস্রাইল তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি রাজনীতির বিকাশ ও ঈস্রাইল তার চলমান জায়নিষ্ট আগ্রাসনকে এগিয়ে নিতে পারবে। দীর্ঘ পাচ বছর শেষে সিরিয়ায় ৪ লাখ নারী শিশু বৃদ্ধের প্রান কেড়ে নিয়ে প্রায় কোটি মানুষ্কে ঊদবাস্তু করে ঘরবাড়ি বসত ভিটে ধংস করে যখন সিরিয়ার সাধারন মানুষ বাচার চেষ্টায় প্রান নিয়ে পালিয়ে ইউরোপের দিকে ছুটছে ভুমধ্যসাগরে ডুবে মরছে তখন পর্যন্ত সৌদি আরব এসব সাধারন মানুষকে কিঞ্ছিত পরিমান আশ্রয় দানে বিন্দু পরিমান উতসাহ দেখায়নি। কতোটা ভয়াবহ নির্মম পশুকাবৃত্তি সৌদি রাজ পুরুষদের শরীরের যে বাস করছে তার অন্য আরেকটি উদাহরন হচ্ছে ইয়েমেনে সৌদি সামরিক জোটের বিমান হামলা। ইয়েমেনে বিবদমান দুটি রাজনৈতিক পক্ষের (শিয়া হুতি বিদ্রোহী এবং প্রেসিডেন্ট মন্সুর আল হাদি) মধ্যে চলমান সংকটকে আরো বেশি সংকটাপর্ন করে তুলেছে সৌদি জোটের বিমান হামলা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে এসব হামলা হুতি বিদ্রোহীদের ধংসের জন্য চালানো হলেও এতে প্রান যাচ্ছে সাধারন মানুষের। যা দরিদ্রতম ইয়েমেনকে আরো বেশি দারিরদতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সৌদ প্রিন্সদের এতোটুকু রাজনৈতিক জ্ঞান কি হয়না যে পশ্চিমা প্রভুদের মন রাখতে সামরিক শক্তি আর ষড়যন্ত্রের বিষবাষ্পে যাদের ধংস করে চলেছেন তারাই মধ্যপ্রাচ্যের সহশ্র শতাব্দীর ঐক্য এবং ভবিষ্যত সৌদি নিরাপত্তার জন্য তাদের ঐক্যই অধিক কার্যকর ও টেক্সই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৮