আমার শিয়রে কার বৈভব আঙুল
করেছিল যেন স্বার্থের কারচুপি!
কয়েকটি চুম্বক হারানো কবুতর
উড়ে যাওয়া দেখে সেইসব কথা
আগ্রহান্বিত ধরা দেয় কুঁচমনে।
জলের তাবিজ একদিন তিমিদের
পথ ভোলায়। ভাঙতি পকেট চাষ
করে আমরা তুলে আনি বয়েসকালে
মায়ের আদরের মতো কয়েকগাছি
খুচরো পয়সাকড়ি। রিকশাওয়ালাকে
ভাড়ার পাশাপাশি আরো কিছু টাকা
গুঁজে দিই আজ ম্যাটিনি শো দেখতে
পারব বলে! এইসব তাৎপর্যবাহী
ইনিয়েবিনিয়ে টের পাই ভূমিদাসী
নারীদের চোখে- ফাজিল সেমিনারে।
হুইস্কির বোতলের মতো দ্রুত শেষ
হয় মানুষ। পাখিদের সভা-ও আমি
দেখেছি আকাশের ব্যাপকে' ঘরকরনা;
নৈঃশব্দ্য জানে শব্দের কমতি- আর-
তড়িৎচুম্বকীয় মানুষেরা হীরক-জয়ন্তিতে
দৃশ্যকল্পের হূলস্থূল নিয়ে ভাবতে
ভালবাসে; পাখিদের গানগুলো তাই
একদিন পাথুরে হয়ে যায়।
৬/২/২০১০
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:০১