সূর্যের অবর্তমানে রাতুল খর-জবার বন হেসেছিল
আমরা কোন বর্ণ লুকাই নি।
নিউরনের ক্ষেতে কারা যেন বুনে দেয় বচনের খনিজ;
ইস্টিশনের পরিখা ও গতি-প্রাঙ্গণ এখন নির্জন।
কাঁচের দেয়ালের দু'পাশে মধ্যস্ততার পাঠ শিখে
পছন্দসই রজনীগন্ধার আঙুল ধরি;
রোদেলা লাটিমের অর্বিট।
মাঠের সমগ্র বাঘ চলে গেছে দূরবর্তী নৌকার আত্মীয়তায়-
জংশনে বাতি জ্বলে অমূলক; যাত্রীছাউনিতে হাড়ের বন।
ঘ্রাণ শুঁকি, ঘ্রাণ শুঁকি।
পৃথিবীর সকল নারীরা রমণী-আহবান জানায়, পুরুষপালের চোখে কেতুর;
ছায়াঘন পরিচ্ছদ খুলে কবেই ঝাঁপি দিয়েছে শিশিরের ডানা-
রাত হয়, রাত হয়।
পৌরণিক অভিধানের প্রখরতা কাটিয়ে যেসব মানুষ বাঘ হয়ে যাওয়ার পোয়াবারো অসুখ পেয়েছিলো তারা আজ খেজুরের পুষ্টিতে আপ্লুত।
মাঘমাসে, মাঘমাসে।
উষ্ণঘনরোদ্দুর- আমার জামার থই আগলে থাকে তোফা,
তোমার পথচারী হয়ে আমি-ও যাবো;
খেলাটা জমে উঠুক অচিন কলেবরে
যেমন জমেছে পৃথিবীর পরাণ জুড়ে কেবল ধোপদুরস্ত
সরিষার বৈশাখি ফলনভূম
১৪/০৮/২০০৯
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩৮