আজকে কেউ একজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে। পথক্লান্তি, রিপুভীতি প্রভৃতি শারীরিক স্থগিত রেখে; কয়েকটি সিএনজি কেবল তেজগাঁও বরাবর একগামী ছুটবে। উচ্চতাভীতি জিরাফেরই বেশি; স্যাডলবিহীন ঘোড়াগুলো কখনো তাই খালি থাকে না।
আমি ক্ষয় দিয়ে লিখেছি উষাকুঁদ পৃথিবী
কেউ এসে শুনিয়ে গিয়েছিলো প্লাবনের সাইরেন
কয়েকটি সূর্য হাঁটুমুড়ে বসতে গিয়ে বিগলিত
সে নতমুখে বসে থাকে, যূথঅন্ধকারে হাতের রেখা দেখে নিয়ে; কয়েকটি বিধ্বস্ত শহরে যুদ্ধশিশুর জন্মের সংবাদ কানে আসে। আমাদের খেলনাচুরি স্বভাব কখনোই ছিলো না। সে উঠে গিয়ে বেলে মাটিখড়ি দিয়ে গড়ে দেয় স্মৃতিদোলনায় নীলগিরিতে পাওয়া সন্তানের জন্মকথা।
সংসারী যারা বেশি তাদের দীর্ঘশ্বাসই
বারান্দায় বইয়ের পাতা ওড়ায়!
কস্তুরীরাতে অনেকেই ভুলে পথের ঘ্রাণ,
মানসিক হাসপাতালের বিছানার কাপড়;
তার আঁচল-ও উড়ে দক্ষিণের চুম্বকে। নিজের নাম ভুলে যাওয়া পাখিসব। সব রঙক্ষরণ দেখতে বালকেরা আসবে বারান্তর। আগামীকাল একটি কচুরীপানা ফুলে দেখা যাবে জলের বায়োস্কোপ। ডুবরীরা বস্তুত হারিয়ে ফেলে প্রবালে লিখে যাওয়া পৃথিবীসম্পর্কিত মীনমিথ।
সে শাড়ি কুড়িয়ে দরজায় চিমটি কাটে
আয়নাঘরে সাজাতে নেই আলো- শরীরের
গান তো সবাই শুনে- কবরের গ্রীল, নক্ষত্রজীবী
পিয়ানোসমূহ, যুদ্ধে হেরে গিয়ে আকাশ ভালোবাসা যুবকেরা।
দোয়াতমনস্ক সবাই ঠিকই মনে রাখে সমুদ্রের ভাও
শীতঘুমার্ত নগরবাসীর পিঠে জন্ম নেয় নদীদাসের জলতীর্থ।
২৬/৪/২০১০
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:০৯