somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্পর্ক এবং কিছু এলোমেলো ভাবনা

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'সম্পর্ক', যে শব্দের পেছনের আবেগ এবং মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মানবজাতি সৃষ্টির অনাদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত এই বন্ধুর পৃথিবীতে সারভাইভ করে আসছে, সেই 'সম্পর্ক' শব্দটার ভেতরের আবেগ আর মায়ার বন্ধন আজ বড় বেশী ভঙ্গুর এবং স্বার্থযুক্ত। ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা,যোগাযোগ ব্যাবস্থার সহজলভ্য অপব্যাবহার, সম্পর্কের ভেতরের দৃঢ় বন্ধনকে আলগা করে দিচ্ছে। সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ মানুষগুলো ঝরে পড়ছে মালা থেকে খসে পড়া মুক্তোর মতো। বাবা-মায়ের সাথে সন্তান অথবা বলা যায় সন্তানের সাথে বাবা-মা, প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রী কোন সম্পর্ক-ই আজ চিরস্থায়ী নয়,অবশ্য-ই মৃত্যু যেকোন সম্পর্কের ইতি ঘটায় তবে প্রকৃতির এ অমোঘ নিয়ম থেকেও মানবসৃষ্ট কারন গুলোই বর্তমান সময়ে সম্পর্কের ইতি ঘটাতে বেশী পারদর্শী বলে মনে হচ্ছে।
আপনি যার সাথে প্রেম করছেন,তার সাথেই আপনার বিয়ে হবে- এ বিষয়ে আপনি ১০০% গ্যারান্টি এখন দিতে পারবেন না(আগেও পাওয়া যেতনা, তবে সেটা পরিবারের মুরুব্বী গোত্রীয় মানুষগুলোর জন্য)।যেকারনে আজ 1st Love/2nd Love বা True Love নামক শব্দগুলোর উৎপত্তি। আপনি যাকে বিয়ে করেছেন(প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রেও), তার সাথেই যে সুখে-দু:খে, জীবনের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে একসাথে বুড়িয়ে যাবেন সততার সাথে এই নিশ্চয়তাও আপনি কোনভাবেই দিতে পারবেন না। এমনকি মোটামুটি সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছে, এমন কাছের মানুষ-ই যে কাল সকালে সঙ্গী হারানোর তীব্র হাহাকার মেশানো অশ্রুজলে আপনাকে ভিজিয়ে দিবেনা, এ নিশ্চয়তাও আপনি আজ পাবেন না এবং মৃত্যু অবশ্যই এক্ষেত্রে দায়ী নয়।

পৃথিবীতে যে সম্পর্ককে সব থেকে অটুট মনে করা হয়, সেই মা-সন্তান সম্পর্কও এথেকে রেহাই পায়নি। পত্রিকা খুললে অনেক সময়ই আমরা দেখি কিছু পাষন্ড সন্তান মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসছে বা লঞ্চঘাট/বাস স্টেশনে রেখে লাপাত্তা। এসময় আমরা অনেক সময়ই মুরুব্বীদের দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলে বলতে শুনি- 'ছেলে হয়ত মাকে ছেড়ে গেছে,কিন্ত মা কি পারে?' না, আগেকার দিনের মায়েরা আসলেই পারতেন না ,এমনকি ডিভোর্স হলেও সন্তান নিয়ে স্বামী-বাড়ি ছেড়ে আসতেন অথবা সন্তানকে নিজের কাছে রাখার জন্য আইনি লড়াইয়ে কোমর বেধে নামতেন। 'সেই দিন কি আছে,দিন বদলাইছে না' যুগের মায়েরা শুধুমাত্র 'মা' কথাটা উচ্চারন করতে পারে এমন সন্তানকে ফেলে দিয়ে এমনকি হত্যা করে প্রেমিক প্রবরের হাত ধরে ঘর হতে বেড়িয়ে যেতে এক মুহুর্ত দ্বিধা করেনা(ধন্য তাদের প্রেম-ভালোবাসা,লাইলি-মজনু/রোমিও-জুলিয়েট ফেইল এদের কাছে)।

মাঝে মাঝে ভাবি, আগের দিনে জন্ম নিলেই মনে হয় ভালো হতো- সম্পর্কগুলোর গভীরতা,মায়া,সততা, স্থায়ীত্ব নিয়ে মনে শংকা থাকত না।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×