somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায়রে বিএনপি!

২১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সর্বশেষ খবর মতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ওমরাহ করার জন্য সৌদি আরব গিয়েছেন। প্রতিবছরই যান। সেখানে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবেন।

আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে আর নিজ স্বার্থে হরতাল দিলে দেশ ও জাতির কি উপকার হয় তা আমার জানা নাই। কেননা, আল্লাহ তার বান্দাদেরকে শুধু সাহায্য প্রার্থনা করতেই বলেননি, তদনুযায়ী কাজও করতে বলেছেন।

দেশ বর্তমানে সরকারের অনুগ্রহে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সেক্টরে সরকারের অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতা দেখা যাচ্ছে। তার জন্য সরকারের উপর জনগণ যে ক্ষেপে আছে সেটা বুঝতে ডিজিএফআইএর প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই।

কিন্তু আপনারা কি করছেন? সম্প্রতি আপনার দলের কিছু উচ্চপদস্থ লোকের মুখে কয়েকটি কথা শুনে শুধু ধিক্কার জানাতে ইচ্ছা করে। তারা বলেছেন, সরকারের এমপিরাই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। আর এতে আপনারা বগল দাবানো শুরু করেছেন। কতটা স্বার্থপর আপনারা, একবার চিন্তা করে দেখুন। এখানে খুশি হওয়ার কি আছে? আপনারা নিজের কাজটা করতেতো পারেননি, আবার আপনাদের ভূমিকা অন্যজন পালন করছে বলে আপনাদের কি খুশি। খুশিতে একেবারে ডগমগ অবস্থা। ন্যূনতম লজ্জা ও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল থাকলে দেশের এই অবস্থায় আপনারা মিডিয়ার সামনে দাঁত কেলিয়ে এ ধরনের বক্তব্য রাখতেন না। সংসদে গিয়েই সরকারের ব্যর্থতার ফিরিস্তি তুলে ধরতেন। প্রতিবাদ করতেন।

আপনারা সংসদে না যাওয়ার নানা কারণ দেখান। কোন কোনটি হয়তো ঠিক, তবে বেশিরভাহই আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। অন্তত, আপনাদের নির্বাচিত এলাকার সমস্যার কথা বলার জন্য হলেও আপনাদের সংসদে যাওয়া উচিত। তার উপরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদে গিয়ে কথা বললে, সেটাই হত একজন প্রকৃত সংসদ সদস্যের কাজ।

সংসদে যেতে চান না, ঠিকইতো সরকারী গাড়ি ব্যবহার করেন। সরকারি বাসস্থান ব্যবহার করেন। বেতন-ভাতা নিতেও ভুল হয় না। আবার শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানিতেও সরকারি এমপি-মন্ত্রীদের সাথে সমানতালে আপনাদের বিচরণ। এত সব সুযোগ-সুবিধা যদি নিতে না ভুলেন, তবে আসল দায়িত্বটি কেন ভুলে যান? ঘৃণা হয় আপনাদের আচরণ দেখে। সংসদে যাওয়ার মত পরিস্থিতি যদি নাই থাকে, আপনাদেরতো সব বর্জন করা উচিত। সদস্য পদ, বেতন-ভাতা, বাসা সব।

আপনাদের যত অভিযোগ সংসদে গিয়ে বলতে সমস্যা কোথায়? মিডিয়ার সামনে যদি বলতে পারেন, সংসদে পারবেন না কেন? প্রয়োজনে ওয়াক আউট করেন। একবার না বারবার করেন। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করেন। দেশের মানুষের দু:খ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। সরকার কথা কিভাবে বলতে না দেয় আমরা দেখি। আর কথা যদি নাই বলতে দেয় সেক্ষেত্রে জনগণ বুঝবে।

দেশের মানুষের প্রতি আপনাদের বিন্দু-মাত্র ভালবাসা নেই। দায়িত্ববোধ নেই। যদি তাই থাকতো, তাহলে আপনারা মিডিয়ার সামনে দাঁত কেলিয়ে বলতে পারতেন না "সরকারি দলের এমপিরাই আমাদের ভূমিকা পালন করছে"। ছি : কি লজ্জার বিষয়। দেশের মানুষ মরে দু:খে-কষ্টে। আর আপনারা তাদের অসহায়ত্বে আনন্দ পান। আপনারা শুধু গদিই চিনেন, ক্ষমতাই চিনেন। মানুষ চিনেন না। যদি তাই চিনতেন, তাহলে সংসদে গিয়ে দেশের মানুষের কথা বলতেন। পদ রক্ষার জন্য ৯০ কার্যদিবসের পূর্বে সংসদে যেতেন না।

ধিক...এই নোংরা রাজনীতিকে....
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×