পড়ুন ২য় পর্ব, দেখুন যারা মুখে বড়ো বড়ো কথা বলে তারা ঐসব আয়াতের কয়টা পালন করে।
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না| সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী| আল্লাহ্কে ভয় কর| তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত| ৫-৮
এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে| এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে| তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন| বস্তুত: এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে| ৫-৩২
তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ্ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামাজ কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র| ৫-৫৫
আল্লাহ্ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ| অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক| অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে| যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে| এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে| তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর| ৫-৮৯
আপনি বলুন: এস, আমি তোমাদেরকে ঐসব বিষয় পাঠ করে শুনাই, যেগুলো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন| তাএই যে, আল্লাহ্র সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না, পিতা-মাতার সাথে সদয় ব্যবহার করো স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্র্যের কারণে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই, নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য, যাকে হত্যা করা আল্লাহ্ হারাম করেছেন, তাকে হত্যা করো না; কিন্তু ন্যায়ভাবে| তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা বুঝ| ৫-১৫১
এতীমদের ধনসম্পদের কাছেও যেয়ো না; কিন্তু উত্তম পন্থায় যে পর্যন্ত সে বয়:প্রাপ্ত না হয়| ওজন ও মাপ পূর্ণ কর ন্যায় সহকারে| আমি কাউকে তার সাধ্যের অতীত কষ্ট দেই না| যখন তোমরা কথা বল, তখন সুবিচার কর, যদিও সে আত্নীয়ও হয়| আল্লাহ্র অঙ্গীকার পূর্ণ কর| ৬-১৫২
এ জন্যে যে, কখনও তোমরা বলতে শুরু কর: গ্রন্থ তো কেবল আমাদের পূর্ববর্তী দু’ সম্প্রদায়ের প্রতিই অবতীর্ণ হয়েছে এবং আমরা সেগুলোর পাঠ ও পঠন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না| ৬-১৫৬
আর পৃথিবীতে এবং আখেরাতে আমাদের জন্য কল্যাণ লিখে দাও| আমরা তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি| আল্লাহ্ তায়ালা বললেন, আমার আযাব তারই উপর পরিব্যাপ্ত| সুতরাং তা তাদের জন্য লিখে দেব যারা ভয় রাখে, যাকাত দান করে এবং যারা আমার আয়তসমুহের উপর বিশ্বাস স্খাপন করে| ৭-১৫৬
আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক| ৭-১৯৯
আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহ্র উপর ভরসা কর| নি:সন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত| ৮-৬১
নি:সন্দেহে তারাই আল্লাহ্র মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ্ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না| অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে| ৯-১৮
আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক| তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে| নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে| এদেরই উপর আল্লাহ্ তা’আলা দয়া করবেন| নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী| ৯-৭১
আর হে আমার জাতি, ন্যায়নিষ্ঠার সাথে ঠিকভাবে পরিমাপ কর ও ওজন দাও এবং লোকদের জিনিসপত্রে কোনরূপ ক্ষতি করো না, আর পৃথিবীতে ফাসাদ করে বেড়াবে না| ১১-৮৫
আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন| তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা সরণ রাখ| ১৬-৯০
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৯