somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাচালের সিরিয়াস পোস্ট

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডিস্‌ক্লেইমার : নাস্তিকতার প্রচার নয় বরং মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটানোই আলোচনার উদ্দেশ্য।

গত কয়েকদিন আজাইরা প্যাচাল করলাম, আজকে আমি একটা সিরিয়াস পোস্ট দিতে চাই। আমি বুঝতে পারছি আমার ক্যাচাল মার্কা পোস্ট অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু আমি কূয়োর ব্যাং, তাই আমারও তো ইচ্ছে করে মাঝে মধ্যে পুকুরে আসতে, নদী কিংবা সাগরের কথা বাদ ই দিলাম।

যারা নদীতে কিংবা সাগরে বাস করেন তাদের কাছে জানতে চাই একটা সিরিয়াস প্রশ্ন।

::: একথা কি কেউ অস্বীকার করবেন যখন কোরআন নাজিল হয়েছিলো তখন পৃথিবীতে ইসলাম ছাড়াও আরো বড়ো দুইটি ধর্ম ছিলো। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হিন্দু অন্যটি বৌদ্ধ । আল-কোরআনে এই দুইটি ধর্ম কি একবারো উল্লেখ আছে?:::

আবারো বলছি এটা আমার সিরিয়াস পোস্ট। কোন ধরনের ফাজলামী চলবে না এটা নিয়ে।

আপডেট:

সিহাব বলেন: কোরানে যদি লূত,আহুদ জাতির পাপাচারের বর্ণনা থাকে তাহলে ভারতের মূর্তি পূজকদের (ইসলাম মতে এরাও পাপাচারী) কথাও থাকা উচিত । কারন কুরান এটি ঐশী গ্রন্থ , এটি সব মানুষের গ্রন্থ (কুরান মতে ) ।

হমপগ্র বলেন:অনেক অনেক আগেকার কথা। তখন খ্রীষ্ট ধর্ম আর ইহুদি ধর্ম সু-প্রতিষ্ঠিত। আলেকজান্দ্রিয়া ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাইব্রেরী। সেই লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিলো, কিছু মহা মূল্যবান বই যাতে প্রাচীন, ইহুদি আর খ্রীষ্ট ধর্ম সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করা আছে। সেই সময় কোন এক কারণে অথবা কোন যুদ্ধের জন্য, এই লাইব্রেরিটা পুড়ে যায় আগুন লেগে। অনেক বিশ্ব-বিখ্যাত বই এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু আরবের একটা জাতির কাছে আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির কিছু বই তখনও সংরক্ষিত ছিলো।

তারা সেইগুলো নিয়ে পারি জমান আরবে। বলা হয় ইসলাম এই বইগুলোকে অবলম্বন করে বেড়ে উঠেছে। ঐ বইগুলোতে হিন্দু অথবা বৌদ্ধ ধর্মের কথা লেখা ছিলো না। কারণ তখন এই প্রান্তরের মানুষ এত কিছু জানতো না। হয়তো এই কারণেই কুরআনে এই ধর্মগুলোর কোন উল্লেখ নাই।

যাই হোক, কথাগুলো খুব প্রিয় একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে শোনা। আমি নিজেও এর সত্যতা যাচাই করতে যাই নি।

আলেকজান্ড্রিয়া। মিশরে অবস্থিত একটি লাইব্রেরী ছিলো। এই বইগুলোর হদিস মেলে নাই তখন, মানে যেগুলো হারিয়ে গেলো, পুড়ে গেলো এবং লুট হলো।

এখন লুট হওয়ার পর কোথায় গেলো বইগুলো যখন সেখানকার রাজার কাছে কেউ কেউ জবাব চাইলেন, তখন, সেই রাজ্যের জোতিষি বললেন, "ঐ বইগুলো যে জাতির কাছেই পড়ুক, সেখানে একটা বিশাল রেভুল্যুশান হবে"।

কার্ল মার্কস এর ডাস ক্যাপিটাল যেমন একটা বই ছিলো রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের। আলেকজান্ড্রিয়া থেকে হারিয়ে যাওয়া বইগুলো সেইরকমই ছিলো হয়তো।

কুরআন আসলে সেই সকল বইয়ের থেকে লেখা একটা বই। খুব অবাক করা কথা হলেও সত্য। এখন, এইটা সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বলেই আমার মনে হয়।

দেখুন, আলেকজান্দ্রিয়ার বইগুলোতে যেসব ঘটনার উল্লেখ থাকার কথা
১) ফিরাও দের কথা
২) ইব্রাহিমের কথা
৩) বেথেলহ্যামের কথা,

সমস্তই আপনি কুরআনে পাবেন। সুতরাং এই বইগুলো যে পড়বে, সে বইগুলোকে নিজের আদর্শে মাখিয়ে নতুন কিছু লিখবে এইটাই স্বাভাবিক। এইজন্য সব ধর্মই আদম আর হাওয়াকে নিজেদের সপত্তি বানিয়ে ধর্মকে চিরন্তন বলতে চায়। সেই একই উদ্দেশ্য পরিলক্ষন করবেন তাওরাত,
জাবুর, আর ইঞ্জিলে।

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন : তিনি [ শেষ নবী] কোরআনের কোন লিখিত ফর্ম হাজির করেননি, যা করেছেন তা হলো- বিভিন্ন ঘটনায় তাতক্ষণিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা, ফয়সালা, নতুন মত প্রচার এ সমস্তই করেন ঐশী বানীর নাম করে।

পথহারা বলেন:
তোমার প্রশ্নটা ভালো......তয় হিন্দুদের ব্যাপারে কিছু বলে নাই সেটা অবান্তর প্রশ্ন। হিন্দু নামে কোনো ধরমো নাই। এটা সনাতন ধরমো। লক্ষকোটি মুরতিপুজা (যারা মহাসত্বার মাল্টি রিফ্লেকশন রিপ্রেজেন্ট করে) সেটা আরবে হোক আর ভারতে হোক, কোনো পারথক্য আছে?

প্রশ্ন করা যাইতে পারে বু্দ্ধিজম নিয়া............একন বুঝতে হবে
বুদ্ধিজম কনচেপ্ট টা আসলে কি? বুদ্ধিজম টা কি আসলে গডের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে? না করলে প্রকারন্তরে তারা নাস্তিক.......
আর নাস্তিক যদি হইয়াই যায় তাহলে......এটা গুড নিউজ ফর ইউ(ক্যাচাল)। আর যদি এটা সাম সরট অফ ডিফ্লেকটেড হিন্দুইজম তাহলে
এই ধরমো নিয়া কুরানে আলাদা কৈরা বলার প্রয়োজন আছে বৈলা মনে হয় না।

তয় মাতায় রাখা উচিত, কুরানের ১০০০ বছর ( যিশুর ৫০০ বছর) পুরবে জন্ম নেওয়া এই ধরমো ( ধরমো বেত্তা) বানী অথবা জীবনি কতটা পিউর।

১. হতে পারে সে একজন ছোটো সাইজের নবি ছিলো যা তার অনুসারীরা কালের বিবরতনে পাল্টাইয়া ফালাইছে।
২. হতে পারে কুরানে অস্পষ্ট ভাবে কোনো লেস সিগনিফিকেন্ট নবির কতা বলা আচে যা বিষদ গবেষনার প্রয়োজন।

একালেও ভারতে অনেক সুফি মানুষ (বুদ্ধের অনুসারীদের বাইরে) দেকা যায় যারা এপারেন্টলি মানবজাতিকে ওম শান্তি ওম বলে শান্তির বারতা বৈয়ে দেন তাদের নিজস্ব ধ্যান ধারনা দিয়ে। তাদের কোটি অনুসারিও থাকে। তারা আসলে বলতে গেলে ছোটো খাটো বুদ্ধ......।
হতে পারে কুরানে এদের ব্যাপারে আলাদা করে বলার প্রয়োজন নাই কারন এরা নিজশ্ব চিন্তা ধারা এপ্লাই করে (কোনো রকমের ঈশ্বরের দোহাই না দিয়ে) যা তাদেরকে এক কাতারে দার করিয়ে দেয়
to be rejected by islam.

............কতা হলো ইচলাম এদের কে বাতিল বলে কেনো? পরকাল আর ইহকাল এই দুইটা বিশ্বাসীদের ( একগডের পুজক) ইচলাম একনামে বলে কেতাবে বিশ্বাসী। আর যারা মাল্টিগডের পুজক ((পরকালে ও ঐহকালে বিশ্বাসী) তাদের বাতিল বলে শিরকের কারনে।

বাকিরা সব এককাতারে (যারা পরকালে অবিশ্বাসী)। তাদের মধ্য অনেক সাধু সন্নাসী মানবতা বাদি থাকতে পারে। কিন্তু ইচলামে বিশ্বাস অনুযায়ি অল ইউজলেস / বাতিল এর কারন may be পরকালে অবিশ্বাস। সেই হিসাবে কাল মারক্স আর বুদ্ধের মধ্য কোনো পারথক্য আছে বৈলা মনে হয় না।

লেখক পথহারাকে বলেন: তার মানে আপনি বলতে চান কোরআন শরীফে যে ''Idol worshipers'' কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যেই হিন্দু ও বুদ্ধ এই দুইটি ব্যাপার রয়েছে?

কিন্তু ইতিহাস থেকে যা জানা যায় তৎকালীন সময়ে Idol worshipers বলতে পেগান( Pagan) অনুসারী দের কেই বুঝানো হয়েছে। এ নিয়ে আপনি আয়াত ৫৩-১৯,২০,২১ দেখতে পারেন।

The word(s) "Jesus" appears 29 time(s) in 28 verse(s) in Quran in Yusuf Ali translation.

The word(s) "mose" appears 176 time(s) in 167 verse(s) in Quran in Yusuf Ali translation.

দেখেন কোরআন যখন নাজিল হয়েছিলো তখন বিশ্বের মোট কতভাগ লোক হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী ছিলো? অবশ্যই এই সংখ্যাটা কম নয়। কাজেই আল-কোরআন কোনভাবেই ঐ বিষয়টা না জানার কথা নয়। আল-কোরআনে যীসু ও মসী এর কথা কয়বার উল্লেখ করা আছে তা ও আমাদের অংকের মধ্যে আছে, সেই হিসাবে ক্বষ্ণ অথবা বুদ্ধ এর নাম একবার হলেও তো আশা উচিত, তাই নয় কি?

এমনকি আয়াত :১৮:৮৩-১০০ তে যুলকারনাইনের ছায়ায় আলেকজান্ডারের কথা আল-কোরআনে বলা আছে সেখানে আমরা ক্বষ্ণ অথবা বুদ্ধ নাম আশা করতেই পারি, তা না হউক অন্তত: ভারত শব্দ টা তো একবার হলেও উল্লেখ থাকাটা উচিত ছিলো।

আপডেট: ৬০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিলো আনুমানিক ২০০ মিলিয়ন মানে ২০ কোটি। তার মধ্যে চীনে ২৩ মিলিয়ন, ভারতে ২৬ মিলিয়ন, ইউরোপ ১৩ মিলিয়ন, আফ্রিকাতে ১০ মিলিয়ন, ভারত ছাড়া এশিয়াতে ১৮ মিলিয়ন এবং অন্যান্য ৪ মিলিয়ন।

Source: Colin McEvedy and Richard Jones, Atlas of World Population History (Penguin, 1978)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:২০
১৪০টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×