বেশুমার লোগানের খুশবু ইন্তেজাম করে বাতিল মালের কারবারে - প্রেতাত্মারা গায়েবী চো েদ্যাখে যেন ইস্কাপনের টেক্কা আজো দুনিয়ায় সওয়ার, বুড়ো বাজীকর বাজীমাত করবে কোন দ্যাশের বাজিগর তারই হিসেব ইন্তেজমাল করতে পাঠায় খাস পেয়াদা - কে আর আজ নিদ মাঙে - আজ এই বন্দেগীর রাতে?
হা হা হা হা হা .. সব্বাই বুদ কেমুন নেশায় -বাজী পোড়ে, আতস জ্বলে কি জ্বলে না ঈমানদাররা তার এত্তেলা রাখে না -
জিন্দেগীর সকল ফরমান যেন মগজের মধ্যে পিষে রাখা লোল- দুই চুকোটর বেয়ে ঝর্ণার যুগল ধারার মতো নেমে আসে, অবদমনের আর্তনাদ - সুর ধ্বনিতে গচ্ছিত রাখে দুহাতের তালুর মধ্যে, চোখের সুরমা ততনে অশ্র অশ্রুতে সয়লাব - সবুজাভ পুতির দানায় নাম জপে যায় সর্বশক্তিমানের, মোসাহেব ফেরস্তা ডানায় বসে তোষামদের হিসেবের খাতায় কলম ধরে- শতকের কোঠা পার হয়ে হাজার ওঠে উদ্গত সম্মিলিত হাহাকার ধ্বনী- তারা আর এই জীবনের অবদমন হালাল করতে পারে না- পরওয়ারদেগার যেন বেহেশতের নহরে তার এই জিন্দেগীকে শাদী করান- লোভী মন বেমক্কওয়া মূখ ফসকে পেড়ে ফেলে খায়েশের তোবারক -
আহা কি পাপ অন্তরযামী তুমি মা করো আমরা তোমার পাপী বান্দা - তোমার ইচ্ছের অগোচরে তো কিছুই হয় না হে মাবুদ- তিনি অন্তর্যামী ইয়াদ রাখে না ইনসান- ভাবে বেফাস উচ্চারনে বেত্তমিজ খায়েসের স্খলনে ুতার চুদ্বয় থেকে জলের ধারা বয়ে আসে নিরন্তর- তুমিতো তাহাই রেখেছো আমাদের পুরস্কার হিসেবে - শেষ বিচারের দিনে সংযমের বদলাতো লাম্পট্যের অবাধ বিচরনেই নিহিত আর তুমিতো সর্বজ্ঞানী - তুমিতো জানো যা পুরস্কার তাহাই বাসনা - যার দৌলতে তোমার বান্দার হৃদয় অসাবধানী উচাটন হতেই পারেু
অকান্ত অশ্রুবর্ষনে তার মন শান্ত হয়- কে না জানে তিনি দয়ালু এবং মাশীল।
বান্দারা ইবাদতে কান্তি বোধ করে- কুপিত হয় নিজস্ব শারীরিক সীমাবদ্ধতায় -হায় মাবুদ - কেন চো েনিদ এসে ভর করে - কেন সুবেহ সাদিকের ফরসা রেখা এই পূন্যরাতের এবাদতী সওয়াব থেকে আমাদের বঞ্চিত করে - আহ আমরাও এতনে পৌছে যেতে পারতাম তোমার আরশের মণিকোটরে- যেখানে অফুরন্ত যৌবন সহস্রাধিক হেরেমের জৌলুশ নিয়ে ঝলমল করে-
বিশ্বাসীগনের চো েশেষরাতের খোয়াব আবার হানা দেয় - তাদের জিগিরের গোলামী ধ্বনি গুঞ্জন তোলে- দুএকজন নড়ে চড়ে বসে -হটাৎ চোখে নীদপড়া আলসেমী শরীরের ছন্দায়িত দোলায় তাড়িয়ে দিতে চায়- জিগিরের সুরেলা টানে তাদের লজ্জা মিশে যায়- সম্মিলনে একাকিত্বের পাপের বোঝা হৃদয় থেকে নেমে যায় - প্রত্যেকে একই আগাম লোভের পাপে দন্ডিত - এতগুলি বিশ্বাসীর মিলিত আহ্বান তিনি কি করে প্রত্যাখ্যান করবেন-
ফজর নতুন আশ্বাস নিয়ে আসে- চোখের নীচে জমে ওঠা কান্তি হটাৎ ঝরে পড়ে - মোয়াজ্জিনের সুরেলা মিহি ধ্বনি আসন্ন ভোরের হালকা শীতল বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তাদের বুকের উপর থেকে জগদ্দ্ল পাথর গড়িয়ে পড়ে -
আসন্নদিনের আশীর্বাদ মেঘের শীতলতায় তাদের উপর দিয়ে বয়ে যায় - তারা আয়াতের হ্রষস্বরে রসে ভেসে যেতে থাকে -
বেহেস্ত এর নসিবী কপালের খোয়াবে...
ততনে আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে... ষোড়শীর কোমল বুকের আভাসের মতো।