somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুঁজিবাদের প্রভাবে দেশে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য প্রকট

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


টাকা হলে বিপাশা, মৌ
হতে পারে তোমারই বউ !
লাগিলে টাকার সুড়সুড়ি
জ্ঞানীরা হয় জড়সড় ।
যত পার টাকা ধর,
ও ক্যাবলারে, টাকা হল বাপেরও বড় ।- নকুল কুমার বিশ্বাস

আমার কাছে পুঁজিবাদের সহজ সংজ্ঞা হল, যার আছে তার আরও হবে, যার নাই সে দ্রুত নিঃস্ব হবে ! আভিধানিক অর্থে পুঁজিবাদের আরেক অর্থ ধনতন্ত্র । আক্ষরিক অর্থে যেখানের গরীবের কোন অংশই নেই !

যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা সংস্থা ওয়েলথ এক্সের হিসাবে, অতিধনীর সংখ্যা বাড়ার হারের দিক দিয়ে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে দেশে ধনকুবেরের সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ। এ হার যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারতসহ ৭৫টি বড় অর্থনীতির দেশের চেয়ে বেশি। একই সংস্থার আরেক হিসাবে দেখা যায়, ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই পরিসংখ্যান অনেকের কাছে বা আপাত দৃষ্টিতে সকলের কাছে স্বস্তিদায়ক হলেও মুদ্রার আরেক পিঠের অবস্থা হতাশা ব্যঞ্জক ।

দেশে প্রতিনিয়ত দরিদ্র মানুষের আয় কমছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০১৬ অনুযায়ী ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে দেশে সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ পরিবারের আয় প্রায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময় সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে ৫৯ শতাংশ।
টাকায় টাকা আনে একথা আজ হারে হারে সত্যি হল । আজ সকালে আমার এক কলিগ কথা প্রসঙ্গে বললেন, টাকা হল ম্যাগনেট ! সত্যিই তাই । কিন্তু প্রশ্ন হল, পুঁজিবাদের প্রভাবে পুঁজিপতিদের কাছে সারাজীবন কি এভাবেই মার খাবে দরিদ্র মানুষেরা ? দেশে দেশে কালে কালে প্রাচীন এই বৈষম্য দিন দিন প্রাচীন থেকে আরও প্রাচীনতর হয়ে উঠছে । এর কি কোনই বিহিত নেই ?

শিক্ষা জীবনে ওয়েস্টার্ন পলিটিক্যাল থট, ওরিয়েন্টাল পলিটিক্যাল থট, তুলনামুলক অর্থ ব্যবস্থা ইত্যাদি অধ্যয়নের সময় বদ্ধমূল হয়েছিল সকল ব্যবস্থাতেই আছে শোষণ আর বৈষম্য । একমাত্র ইসলামি অর্থব্যবস্থাই শোষণ মুক্ত । ইসলামি বিধান মত যদি যাকাত, উশর ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করা হয় তাহলে একসময় নাগরিক জীবনে সাম্যবস্থা বিরাজ করবেই করবে । তবে যেকোনো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যদি সুশাসন নিশ্চিত করা যায় তাহলে বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস ।

রুদ্র আতিক, সিরাজগঞ্জ
৩ বৈশাখ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
ছবিঃ ইন্টারনেট ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২০
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×