somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৌদি আধিপত্ত নয় হ্জ্ব ব্যাবস্থাপনা মুসলিম মিল্লাতের অধিনে হোক

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচ্ছা আমরা মুসলমানরা কেন কাফনের কাপর পরে হজ্জে যাই? আগে হজ্জে যাবার সময় দায় দেনা মিটিয়ে ছেলে মেয়ে বিবাহ দিয়ে তারপর হজ্জে যেত। কেন? কারন হাজী আল্লহর উদ্দেশ্যেই ঘর থেকে বের হয়। সেটা এ জগতে হোক বা পরজগতে। সে জীবিতফিরে আসতেও পারে আবার মৃত্যুকে আলিংগন করতে পারে। দুটো সম্ভাবনা নিয়েই বের হয়। হজ্জে স্বাভাবিক মৃত্যু প্রতি বছরই হয়। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যু ? কেউ কি আশা করে? তারপরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে, হচ্ছেও। আল্লাহ পবিত্র কালামে বলেন, জলেস্থালে যত বিপর্যয় (দুঘৃটনা/বিশৃংখলা) সব মানুষের দু হাতের কামাই। সেই দৃষ্টি কোন হতে হ্জ এ অস্বাভাবিক মৃত্যু গুলোকে দেখতে হবে। আর এর জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। আর মৃত্যু যেভাবেই হোক তা নিয়ে আফসোস বা হা হুতাস করা ঠিক না। এটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত। মাতম নয় চাই এই মাতমের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর শাস্তি।

পবিত্র জায়গায় মরার সৌভাগ্য কজনের হয়। মরতে তো একদিন হবেই। সেই মরন যদি হয় জান্নাতে যাবার চাবি তা হলে সে মরন আশা করবেনা কেন একজন মুসলমান। এই ভাবনাটা আমাদের প্রত্যেকটি ধর্মভীরু মুসলমানদের বিশ্বাস ও চাওয়া।
ধর্ম নির্ভর করে বিশ্বাসের উপর তাই এই বিশ্বাস বা এই আশা থাকাটা অমুলক নয়। কিন্তু পাসাপাশি এটাও জানা দরকার কেউ তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে বা দায়িত্বে অবহেলার কারনে কোন ব্যাক্তি বা গোষ্টিকে মুত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে নাতো! মহাল আল্লাহ আমাদের মৃত্যু যে জায়গায় যে অবস্থায় রেখেছে হবেই এটা যেমন সত্য তেমনই কোন মৃত্যুর জন্য কোন দোষি কেউ হলে তাকে শাস্তি দিতে হবে এটাও সত্য।

সৌদি সরকারের দায়িত্বে যেহেতু হজ্জ্ব অনুষ্ঠান আযোজন করা হয়। তাই তার যাবতিয় দায় দায়িত্ব সৌদি সরকারেরই। সেখানে কোন অবহেলা বা কোন প্রকার অব্যবস্থাপনার জন্য দায় তাদেরই। প্রতি বছরের মত এ বছরও পবিত্র হজ্জ পালন করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজীরা কাবার মেহমান হয়ে এসেছেন। কিন্তু তাদরে মেহমানদারি যে রক্ত দিয়ে হবে তা হয়তো তারা ধারনা করতে পারেিন। এ সৌভাগ্যের মরন। ঠিক আছে। তাই বলে সৌদি সরকারের অবহেলাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। ক্রেন দুর্ঘটনায় মার গেল কয়েকশ হাজী তার রেশ কাটতে না কাটতেই মিনা দুর্ঘটানা ঘটল। এখানে যে, কত জন নিহত বা আহত হল তা এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি। কেন এই অব্যবস্থপনা? কেন এই স্বেচ্ছাচারিতা? মেহমান হাজীদের জীবন নিয়ে কেন এমন হেলাফেলা। ক্রেনগুলো কি এই সময়টাতে সরিয়ে রাখা যেতো না? কিংবা শয়তানকে পাথর মার সময় যুবরাজ সাধারন মানুষের সথে মিশে শয়তানকে পাথর মারতে পারতো না। তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কেন? যেখানে নামাজ আমরা দাড়া্ই ধনী গরিব, রাজা প্রজা, বাদশাহ ফকির এক কাতারে।তখনতো রাজা কে কেউ আলাদা করে নিরাপত্তা দেয় না। হ্জ্ব একটা এবাদত এখানেও বাদশা ফকির সবাই সমান। এর নিয়ম কানুন সবার জন্য সমান। কি দরকার ছিল যুবরাজের সুযোগ সুবিধা নিয়ে মিনা যাওয়ার। তার নিরাপত্তা করতে গিয়েইতো মিনার এ ট্রেজিক ঘটনার সুত্রপাত। ধমীয় ভাবেই যুবরাজ এই কাজটি কী ঠিক করেছেন? ধমীয় হোক বা রাষ্ট্রিয় হোক বা আন্তর্জাতিক কোন ভাবেই এই কাজটি মেনে নেযা যায় না। এই সকল মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় সৌদি সরকারকেই নিতে হবে। সাথে সাথে এই আয়োজন করার দায়িত্ব এককভাবে যাতে সৌদি সরকারের উপর না থাকে সে বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ব্যাবস্থা নিতে হবে। হজ্জ পালন সংক্রান্ত বিশ্ব মুসলিমের একটি কমিটি গঠন করতে হবে। যাতে এমন ট্রাজিক ঘটনা এড়ানো যায়।

দেখা যাচ্ছে এই সুযোগ এ কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মহল তাদের হীন স্বার্থ চিরতার্থ করার জন্য মক্কার হেরেম শরিফ আর হজ্জকে নিয়ে নানা ধরনের কুটুক্তি আর কুৎসা করে যাচ্ছে। তাদের কে বলছি বিশ্বাসীরাই বিজয়ী হয়। তাদের পরাজয় হলেও তারা বিজয়ী কারন তারা বিশ্বাসী। আর যার অবিশ্বাসী তারাই ধংসপ্রাপ্ত । দুনিয়াতেও আখেরাতেও। কারন তাদের কোন লক্ষ্য নাই । যেকোন বস্তুর ধর্ম আছে। আছে না? ওদের তাও নেই। কাজেই ওরা আছে শূন্যতার মাঝে। কাজেই ওদের সব জায়গায়ই জিরো। ওরা শুধু বিলাপ করে । শুধু গেনজাম সৃস্টি করে। শুধু বিশৃংখলার উপদান খোজে ফেরে। শান্তির কোন পথ বা দিশা তারা দিতে পারে না। শুধু হতাশা ছাড়া। তাই ঐসব নৈরাশ্যবাদিদের থেকে মুসলমানদের সাবধান থাকতে হবে। যারা শুধু সুযোগ খুজে ফ্যাৎনা বিস্তারের।

কোন কিছু নিয়ে অযুক্তিক বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। মুমিনদের আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত। তাই মক্কা ট্রাজেডি নিয়ে অপব্যাখ্যা বা কুৎসা থেকে বেচে থাকুন । আসল রহস্য আল্লাহর কাছেই। আমরা আমাদের সাধ্যমতো আল্লাহ যতটুকুর ক্ষমতা দিয়েছেন তাই করি। সিমালংঘন না করি। আখেরাতে আমাদের জিহ্বার কারনেই আমরা বেশী ধরা খাব ।

বিশ্বমুসলিমের আজ উচিত হবে নিজেদের সমস্ত হিংসা বিদ্বেষ অহংকার ভুলে মানব কল্যানে একসাথে কাজ করার। নিজেদের মাঝের ভুল ক্রটিগুলোকে এক্যবদ্ধভাবে সংশোধন করার। আর এ ঐক্য ধরে রাখার। কেউ যেন বিশ্বের যেকোন প্রান্তের কোন মুসলমানকে কোন কষ্ট দিতে না পারে। এ বিষয়ে সবাই জোট বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসা। প্রাসংগিক ভাবে বলতে হয় ভারতে গুর জবাই নিয়ে মুসলমানদের নির্যাতন। এ বিষয়ে সমস্ত মুসলিম মিল্লাতকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে। সেৌদিকে যেমন ছার দেযা যাবে না তেমন ভারত কেউ নয়। যেখানে মুসলিম নির্যাতন সেখানেই সোচ্চার হতে হবে। ধমীয় শিক্ষা আমাদের তাই বলে। আর যদি শুধু মানবিক ভাবেই বলি তাও একই কথা কোন মানুষকে তার মানবিক অধিকার লংঘন করে কেউ নির্যাতন করতে পারেনা । কারন মানবিকতা মানুষের গুন। পশুর নয়। মানবিকতা যার মধ্যে নাই সতো পশু।

আল্লাহ আমাদের অবিশ্বাসীদের ফেতনা খেকে রক্ষা করুন আর নিজেদের ভুল ত্রুটি গুলোকে আাত্মসমলোচনার মাধ্যমে দুর করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×