ধর্ম মানি মানেই জংগী। মৌলবাদী। আজ এই টাইপ ধারনা মানুষের মনে বদ্ধমুল হয়েছে। এর কারন যারা ধর্মের ঠিকাদার তারা ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। জংগী -এরা একটি আলাদা গুষ্ঠি । এদের সাথে মূল ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ম মানা না মানা এটা ব্যাক্তিগত বিষয়। কেউ ধর্ম না মানলে ক্ষতি তার, আর সে জন্য সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এইতো। এতে অন্যের মাথা ঘামানো কেন? হ্যা একজনের একটা ভাল মত ভাল পথ ভাল পরামর্শ যদি তাকে পরপারের ক্ষতি থেকে বাচাতে পার মন্দ কি। এতটুকু চিন্তা করা যায়। কিন্তু তাকে মানতে বাধ্য করা ঠিক নয়। পাসাপাসি যারা ধর্ম মানেন না তারাও থাকুন না আপনাদের বিশ্বাস আর যুক্তি নিয়ে। কি দরকার ধমীয় বিষয়গুলোতে নাক গলাবার। যেহেতু আপনি ধর্মেই বিশ্বাস করেন না। সবাই যদি যার অবস্থানে থেকে যার যার কাজ অন্যকে হেয় না করে করে এতে সবার কাজই সুন্দর হয়। কি দরকার একে অন্যের কাজে বা হাত ঢুকানোর। দেখা যাচ্ছে যখনই ধর্ম নিয়ে ধর্ম মানেন না এমন কেউ কোন মন্তব্য করছেন সাথে সাথে ধর্ম যারা মানেন তাদের বিশ্বাসে আঘাত লাগছে। তখন ধর্ম প্রানরা তো এর প্রতিবাদ করবে । আর এই সুযোগ স্বার্থনেষী ধর্মের ঠিকাদাররা তাদের মত করে ধর্মপ্রানদের বিভ্রান্ত করে নিজের কাজ হাসিল করবে। এতে সমাজের ব্যালেন্স নষ্ট হচ্ছ সৃষ্টি হচ্ছে আস্তিক নাস্তিক দ্বন্দ। অথচ ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে মানুষকে শালিন ও সুন্দর ব্যবস্থাপনায় রাখার জন্য। এর উদ্দেশ্য মানুষের মূর্খতার জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই সবার কাছে একটাই অনুরোধ যে যা জানেন তা গঠনমূলক করে প্রচার করুন। কাউকে ব্যংগ বা কটাক্ষ করে নয়। সমাজে আস্তিকরাও যেমন থাকবে, নাস্তিকরাও । নাস্তিক হলেই তাকে কতল করতে হবে এমন ঠিকাদারী কোন ধর্ম দেয় নাই। আবার আস্তিক হলেই সে জংগী এমন ধারনাও ঠিক নয়। একজন নাস্তিক তখনই বিপদজনক যখন যে তার মতটাই শেষ কথা মনে করে নিজেকে জাহির করতে যেয়ে অন্যের মতামতকে হেয় করে দেখে। আর একজন ধর্মবিশ্বাসী আস্তিক বিপদজনক তখন, যখন সে তার ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা না জেনে কোন ধর্মীয় বিধান অন্যের উপর প্রয়োগ করে আর ভাবে তার ব্যাখ্যাই সঠিক। মোটকথা যারা নিজেকে পুরোপুরিপার্ফেক্ট ভাবে তারাই সমাজের জন্য ক্ষতিকর। একটি প্রচলিত কথা এই মূহুর্তে বলাট জরুরি তা হল- কনফিডেন্স ভাল ওভার কনফিডেন্স ভাল নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯