সাতক্ষীরায় কোয়া-ল্যান্সার নামে ভুয়া এমএলএম ও পিটিসি কোম্পানির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষক ড. জুলফিক্কর আহম্মেদ ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজ জেলা সাতক্ষীরায় সরকারি সফরে এসে জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অবৈধভাবে এমএলএম ও পিটিসি কোম্পানি খুলে মানুষের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এ ধরনের প্রতারণা দিন দিন বাড়বে।
সাতক্ষীরা পৌরসভা চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী যোগদানের পর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে ভুয়া এমএলএম কোম্পানির মাধ্যমে ড. জুলফিক্করের প্রতারণার বিষয়টি উঠে আসে। মন্ত্রীকে জানানো হয়, কোয়া-ল্যান্সার নামে অবৈধ পিটিসি ও এমএলএম কোম্পানির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এ রাবি শিক্ষক প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ১৪২ জনের টাকা ফেরত দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি পে-টু ক্লিক নামে আরও একটি পিটিসি ও এমএলএম কোম্পানি সাতক্ষীরা থেকে ২১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমএলএম কোম্পানির মাধ্যমে এভাবে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানার পর হতবাক হন। বিশেষ করে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত জেনে তিনি ক্ষুব্ধ হন। সেখানে উপস্থিত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
Click This Link