নরকের দরজা যার আসলে মূল নাম হচ্ছে দারভাজা গ্যাসক্ষেত্রের অগ্নিমুখ । এটি তুর্কমেনিস্তানের দরওয়াজা শহরের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র।আসলে দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে বলেই একে নরকের দরজা বলা হয়। কারাকুম মরুভূমিতে অবস্থিত অগ্নিমুখটির ব্যাস ৬৯ মিটার বা ২২৬ ফুট আর গর্ত ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট দীর্ঘ। ভূতত্ত্ববিদগণ মিথেন গ্যাসের বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য জ্বলামুখটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন এবং এটি ১৯৭১ সাল থেকে ক্রমাগত এখনো জ্বলছে।অগ্নিমুখটি দেখতে প্রতিবছরই পর্যটকরা দরওয়াজা শহরে যান। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক স্থানটি পরিদর্শন করেছেন।
গ্যাস ক্ষেত্রেটি ৫,৩৫০m2 স্থান পরিবেষ্ঠিত এবং আশেপাশের স্থানও বন্য মরুভূমি ক্যাম্পিং-এর জন্য বিখ্যাত।
এটি কোন প্রাকৃতিক গর্ত নয়। ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ দারউয়িজি এলাকায় অনুসন্ধানের সময় এই ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেন। প্রথমে তারা মনে করেছিলেন যে এটি একটি তেল ক্ষেত্র তাই ড্রিলিং মেশিন দিয়ে তেল উত্তোলনের জন্য সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করবেন। কিন্তু পরে তারা সেখান থেকে বিষাক্ত গ্যাস বের হতে দেখেন।গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলে দুর্ঘটনাক্রমে মাটি ধসে পুরো ড্রিলিং রিগসহ পড়ে যায়।
যদিও এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন। পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস প্রতিরোধ করার জন্য ভূতত্ত্ববিদরা তখন গ্যাস উদ্গিরণ মুখটি জ্বালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের ধারণা ছিল এখানে সীমীত পরিমাণ গ্যাস থাকতে পারে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমান করে এটি ১৯৭১ সাল থেকে অনবরত জ্বলে চলছে।
তথ্যসূত্রঃ
তথ্যসূত্রঃ
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৯