বিশ্বে "কোহিনূর" হীরা বহুল পরিচিত আলোচিত। অন্ধ্র প্রদেশের পরিতলা-কোল্লুর খনি থেকে পাওয়া যায় দুটি জগত বিখ্যাত হীরা। একটি কোহিনূর আপরটি হলো "দরিয়া ই নূর' যাকে কোহিনূরের জমজ বলা হয়। খুঁজে পাওয়ার পরেই হীরাদ্বয় মুঘল সম্রাটের দখলে যায়।
"দরিয়া ই নূর" শব্দের অর্থ আলোর সাগার। এর ওজন প্রায় ১৮২ ক্যারেট ( ৩৬ গ্রাম) গোলাপি আভাযুক্ত দূর্লভ হীরা। বর্তমানে পরাস্যের রাজ মুকুটের অংশ, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইরানে রক্ষিত।
১৭৩৯ খ্রিষ্টাব্দে পরাস্যের শাসক নাদির শাহ ভারতের উত্তরাঞ্চল আক্রমন করে দিল্লী দখন করে। মূঘল সম্রাট এর নিকট রাজ শক্তি ফিরেয়ে দেওয়ার বিনিময়ে "কোহিনূর" "ময়ুর সিংহাসন" এর সা্থে "দরিয়া ই নূর' সহ বিপুল ধন সম্পদ দখল করে ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরাস্যের শাসক মোজাম্মেল আল দীন শাহ কাজার ইউরোপ ভ্রমনকালে তার হ্যাটের অলঙ্কার হিসাবে ব্যাবহার করার আগ পর্যন্ত "দরিয়া ই নূর' গুলিস্তান প্রাসাদের কোষাগারে লুকায়িত ছিল।
১৯২৬ সালে পাহলভী সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রেজা শাহ তার অভিষেকের সময়ে তার সামরিক টুপিতে "দরিয়া ই নূর' অলঙ্কার স্বরূপ ব্যাবহার করেন।
১৯৬৫ সালে কানাডিয়ান গবেষক দলের গবেষনায় জানা যায় যে "দরিয়া ই নূর' একটি বড় হীরা যা মোঘল সম্রাট শাহজাহানের সিংহাসনে খচিত ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০০