আমার পরিচিত মন্টু কস্তা, আজ রাত সাড়ে আটটায় ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে দুজন ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ দিলেন। কস্তা এক হাজার টাকা বের করে দিলেও, ছিনতাইকারীরা জোড়জবরদস্তি শুরু করলে তিনি সুযোগ বুঝে দৌড় দেন। কিন্তু সেটাতেই তার কাল হয়। ছিনতাইকারীরাও পিছু নেয় এবং গুলি ছোড়ে। হতভাগ্য সেই লোক সাধনপাড়ায় ঢোকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং সেখানেই রক্তক্ষরণে মারা যায়। এ ধরনের ঘটনা যেন রোজকার খবরে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার যেন বিএনপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাকেও ছাড়িয়ে যেতে চাইছে। সত্যি বললে ছাড়িয়ে গেছে হয় তো বা। বিএনপি যে কারণে তাদের আমলে RAB গঠন করে দুর্বৃত্তদের 'ক্রসফায়ার' করে মারলো। বিএনপির যেসব শণ্ডা-পাণ্ডা গা ঢাকা দিয়েছিলো সেগুলোসহ লীগের বহু সন্ত্রাসী, গডফাদার সব রাস্তায় নেমেছে পাগলা কুত্তার মতো। বিএনপি বলুন আর লীগ- টাকা আর ক্ষমতার প্রশ্নে এদের কোনো নীতি নাই। দুই দলের মাস্তানরাই এখন স্রেফ পাগলা কুত্তার মতো রাস্তায় নেমে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন যা ইচ্ছা ঘটাচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে (আজকের ১৪ জুলাই, ২০০৯ -এর প্রথম আলো দেখুন)। রাজধানীতেই মে মাসে খুন হয়েছে ২১ টি। জুন মাসে হয়েছে ২৯টি খুন। পুলিশের রেকর্ড বলছে ছিনতাই রাহাজানি ও চাঁদাবাজির শতভাগ ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। কারওয়ান বাজারের ট্রিপল মার্ডার, আদাবরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা খুন, মিরপুরে খুন- এরকম খুনের ঘটনা ঘটছেই। শুধু রাজধানীতে নয়, চট্টগ্রামেও চাঁদাবাজরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।
তাই শেখ হাসিনা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আর প্রাণ ভিক্ষা চাই না, জানমালের নিরাপত্তা ভিক্ষা করে প্রার্থণাও করি না, আপনার দেশে মানুষ নামধারী যে সব কুত্তা দাঁত বের করে লোল ফেলতে ফেলতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের সামলান। আমি বলছি না, সব কুত্তাই আপনার আঙিনার, অন্য এলাকার কুত্তাও আছে। আপনার কাছে কুত্তা সামলানোর লোক আছে, মানে পুলিশ RAB আছে, এদের আরো সক্রিয় করুন। যতদূর জানি এরাও আজকাল ভয়ে কাউকে ধরছে না বা এ্যাকশনে যাচ্ছে না কারণ ভুলে সরকারী দলের কাউকে ধরে ফেললে জীবন নিয়ে টানাটানি। তাই নাকি তারা নিষ্ক্রিয়। আবার এও শুনেছি গত দুই বছরেরটা নাকি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা।
সে যাই হোক, আমরা যে ঘোরতর অন্ধকারের মধ্য দিয়ে দিনপাত করছি তাতে সন্দেহ নাই।