বাড়তি ওজন কারোই কাম্য নয়। তবে ওজন কমানো প্রথম শর্তই হল খাদ্যাভ্যাস। ব্যায়াম কিংবা শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালরির খাবারগুলো এড়িয়ে চলা। কিন্তু চারিদিকে উচ্চ ক্যালরির খাবারের প্রাধান্য থাকাতে এবং কম ক্যালরির সঠিক খাবার না জেনে থাকার কারণে ওজন কমাতে পারছেন না অথবা ওজন কমাতে গিয়ে সুফল পাচ্ছেন না তাদের জন্য আমরা আজকে ১০০ ক্যালরির কম ১০টি খাবারের তালিকা প্রকাশ করা হল।
১। পপ কর্ণঃ পপ কর্ণ বা ভুট্টার খইতে রয়েছে প্রচুর আঁশ। পপ কর্ণ হচ্ছে ১০০ ক্যালরির নিচে খাবার সমূহের মাঝে একটি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখাগেছে পপ কর্ন পলিফেনল নামে এক অতি উপকারী রাসায়নিকে ঠাসা। এই বিশেষ ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট রেড ওয়াইনের মধ্যেও পাওয়া যায়। এ রাসায়নিক ক্যান্সার নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। গবেষণায় দেখে গেছে, ওজন হিসেবে পপ কর্নের ১ দশমিক ৫ শতাংশই পলিফেনলস যা একই পরিমাণ ফলের বা সবজির তুলনায় অনেক বেশি। তবে স্বাভাবিকভাবে যেভাবে ঘি লবন মিশ্রিত করে খাওয়া হয় পপকর্ণ তা কিন্তু মোটেই কাম্য নয়। সেক্ষেত্রে লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতিই হতে পারে।
২। কালো চকলেটঃ কালো চকলেট বা ডার্ক চকলেট নিয়ে একাধিক গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন কালো চকলেট রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালী কোমল রাখে তাই হার্টের জন্য কালো চকলেট ভালো। কালো চকলেটে থাকে ফিনাইলথাইলামিন নামক এক ধরনের কেমিক্যাল এবং এই কেমিক্যাল মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। ফলে মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়। কালো চকলেটেও রয়েছে ১০০ ক্যালরির কম শক্তি।
৩। ফুলকপিঃ আপনি ওজন কমাতে হলে কম ক্যালরির সবজি খেতে চাইলে ফুলকপি খেতে পারেন ফুলকপিতেও ১০০ ক্যালরির নিচে রয়েছে। ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি। ফুলকপিতে রয়েছে শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় কিছু উল্লেখযোগ্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও `সি`।
৪। কাজুবাদামঃ কাজুবাদাম খুবই সুস্বাদু বাদাম জাতীয় খাবার। বাদামে চর্বির পরিমান বেশি থাকার কারনে অনেকেই মনে করেন তা বেশি খেলে সহজেই মোটা যায়। আসলে এ ধারনাটা ঠিক নয় বাদাম শরীর স্লিম হওয়াকে সহায়তা করে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।কাজুবাদাম আপনি কম ক্যালরির পুষ্টিকর একটি খাবার হিসেবে খেতে পারেন।
৫। তরমুজঃ তরমুজের নানান রকম উপকারিতা রয়েছে। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও বৈজ্ঞানিক সত্য। তরমুজ শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম। তরমুজ শরীরের কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৬। লস্সিঃ লস্সি একটি সুস্বাদু পানীয় জাতীয় খাবার। লস্সি খেলে আপনার শরীর স্লিম হবে এবং লস্সি একটি ১০০ ক্যালরির নিচের খাবার।
৭। ব্লুবেরিঃ ব্লুবেরি একটি মিষ্টি ফল কিন্তু অনেক কম ক্যালরীযুক্ত ফল। এক কাপ ব্লুবেরিতে মাত্র ৮০ কিলোক্যালরী পুষ্টিমান রয়েছে। ব্লুবেরিতে আছে রেসভেরাট্রল নামে এক শক্তিশালী এন্টি ক্যানসার এজেন্ট, যা সারভিকেল এবং ব্রেষ্ট ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে।
৮। ডিমঃ একটি ডিমে থাকে সর্বোচ্চ ৭২ ক্যালোরি সমপরিমাণ শক্তি। সকল এমাইনো এসিডই আছে ডিমের প্রোটিনে। এই প্রোটিনের প্রায় শতভাগই শরীরের কাজে লাগে। ডিম শরীরের উপকারি অনেক পুষ্টির উৎস, তবে এটা রাখা বাঞ্চনীয় যে ডিমে আছে উচ্চ কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।সেক্ষেত্রে ডিমের কুসুমটি বাদ দিয়ে শুরু সাদা অংশ খাওয়াটাই শ্রেয়।
৯। আপেলঃ একটি আপেলে রয়েছে ৭০ ক্যালোরি সমপরিমাণ শক্তি। আপেলের রোগ নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে। আপেলের খোসায় রয়েছে অরসলিক এসিড যা মানবদেহের পেশির ক্ষয়রোধ করে। আপেল মানুষের রক্তের চর্বির (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমায়। ফলে আপেল খেলে আপনি স্লিম থাকতে পারবেন।
১০। গ্রীন টি বা সবুজ চাঃ এক কাপ সবুজ চা’তে রয়েছে ৬৫ ক্যালোরি সমপরিমাণ শক্তি। গ্রীন টি পান করলে রক্তের প্রবাহ ভালো হয় এবং ধমনী শিথিল হয়। গ্রীন টি রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। গ্রীন টি -এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ বিশেষ করে স্বাস্হ্য সচেতন মানুষদের কাছে৷
এছাড়া অতি নিম্ন ক্যলরির মধ্যে আছে শশা, টমেটো , যা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ওজন কমানোর জন্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




