সম্ভোবত এ প্রশ্ন অনেকেরই। আমাদের দেহে মনে মনুষ্যত্ব ফিরবে কবে?
চারিদিকে তাকালে শুধু এ প্রশ্নটি বার বার ঘুরেফিরে আসে।
ভাষা খুজে পাচ্ছিনা।
আগে কদাচিৎ সংবাদে টিভিতে কিছু অঘটন দেখতাম, আর মনে মনে কষ্ট পেতে থাকতাম অনেকটা সময় ধরে।
এখন সে কষ্টপাওয়ার অনুভুতিগুলো ভোতা হয়ে গেছে। এখন, তনু, ফনু, টনু এতো বেশি খবরে আসছে যে কয়েকটা মুহুর্ত পরই অন্য ফেলানী, মেলানী, টেলানী এসে যাচ্ছে সামনে।
বার বার মনে পড়ে-
"আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।"
নারী নির্যাতন হতো- কিন্তু অভদ্র ভাবে।
মারামারি হতো- কিন্তু বড় কোন কারনে।
ধর্ষন হতো- কিন্তু সেটা ছিল বিড়াট কোন ভয়ংকর ঘটনা।
ঘুষ দেয়া নেয়া হতো- কিন্তু টেবিলের নিচ দিয়ে।
-------
কিন্তু এখন আমরা সব ভদ্রতা, প্রগতিশীলতা আর উন্নয়নের মুখষটা খুব আটসাট করে মুখে বেধে নিয়েছি।
ভাবতে অবাক লাগে- একটি নারায়নগঞ্জের টানবাজারের পতিতালয় তুলে দেয়ার নামে প্রতি মোড়ে মোড়ে এমনকি ভদ্র বাসাবাড়িতে নারীদের বেশ্যা বানিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
আসলেই পুরো দেশটাকে আমরা বারবনিতার মেলা বানিয়ে ফেলেছি শুধু মাত্র আমাদের পৈশাচিকতা পুরনের আশায়।
-------
শুধু তনুরা নয়, বিপদে আছি আমরা সকলে, সব বাবা, পিতা, ভাই, স্বামী, সন্তানেরা। ছেলে বলেইযে আমাদের নিস্তার না নয়।
ভয়ে থাকি সরাক্ষন কখন আমার ছেলেটিও ধর্ষকের খাতায় নাম লিখাবে। তাদের বন্ধুদের দিয়ে সিনেমার আদলে একটি রগরগে ভিডিও ক্লিপ ইউটিউবের ডাটাবেইজ সমৃদ্ধ করবে।
-------
শুধুই প্রশ্ন থেকে যায় মনে-
নোংড়ামি আর চুড়ান্ত খারাপ কি বাকি রেখে যাচ্ছি যা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজেরা করে যোগ্যতা ফলাবে?
বাকি আছে কি কিছু?
-------
বড় কষ্টে আছি, দুখে আছি, আর টেনশনে আছি যদিও আমি নারি নই পুুরুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৫