এবার তরমুজের দাম খুব কম।
তাই বন্ধুরা মিলে প্রায়ই বড়সর তরমুজ কিনে খাই।
কাঠফাটা রদ্দুর গরমে দুপুরে তরমুজ খাবার প্রিপারেশনটা অনেকটা এমন-
দুপুর ১২ টায়- কয়েকজনে মিলে টাকা উঠাই।
দুপুর ১ টায়- অনেক দামদর করে একটা বিশাল আকারের তরমুজ কিনি।
দুপুর দেড়টায়- বালতিতে বানি ঢেলে সেই পানিতে তরমুজটাকে চুবিয়ে রাখি।
দুপুর আড়াইটার পর- সবাই মিলে ধারালো ছুরি দিয়ে- "বিসমিল্লা আল্লাহু আকবার" বলে তরমুজ কাটি।
অতঃপর খাওয়া শুরু।
দুপুর সময়টা আমাদের বাজারে লোক সমাগম কিছুটা কম হয়। তারপরো কিভাবে যেনো আশেপাশের অনেকেই এসে সামিল হয় আমাদের ভোজনে।
এবার যেমন গরম পরেছে বেশি তেমনি তরমুজের স্বাধও বেশি।
খাবার ফাকে ফাকে কিছু ভিক্ষুক আসে তাদেরকেও আমাদের মধ্যে কেউ কেউ একটা করে তরমুজের ফালি দেয়। আর সবাই মিলে তাকিয়ে থাকিয়ে ভিক্ষুকের মুখে, তার অবয়বে খুশি হওয়াটা খুব ভালো লাগে।
যেহেতু তরমুজের দাম কম সেহেতু আমাদের মধ্যে অনেকেই শুধু মাত্র মজার অংশটা খেয়ে ফেলে দেয়।
আমি সকল তরমুজের খাওয়া খোসা একটি বালতিতে রেখে দেই।
খাওয়া শেষে বাজারের মধ্যে ঘুড়ে বেড়ানো ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের ডেকে আনি। তারপর তাদেরকে হাতে বালতি ধরিয়ে দিয়ে বলি- “নে শুরু কর”।
ওরা আনন্দে তাদের ভোজন অনুষ্ঠান শুরু করে। আমি দেখি, সাথে আশে পাশের অনেকেই দেখে।
তাদের কাছ থেকে মন্তব্য আসে-
“খাওয়াবাই যদি তবে তরমুজ একটা কিনে খাওয়াও, উচ্ছিষ্ট কেনো?”
অথচ, আমি পরম আনন্দে “উচ্ছিষ্ট” খাওয়ারত কিছু পথশিশুকে দেখি।
কে যেনো বলেছিল- “দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও দেখবে পৃথিবী বদলে গেছে”।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫১