স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা স্বর্গীয় ভালোবাসা তুল্য। এমন নিখাদ ও মধুর ভালোবাসা অন্য কোনো সম্পর্কের মাঝে তৈরি হওয়া অসম্ভব। যেখানে কোন শর্ত বা সীমাবদ্ধতার বালাই নেই , বরং একে অপরের পরিপূরক, আত্নার স্পন্দন স্বরপ।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কেন এমন শিরোনাম? আমাদের চলমান সমাজ বব্যস্থার প্রতি গভীর ভাবে দৃষ্টিপাত করলেই এ কথার বাস্তবতা পরিলক্ষিত হবে । তা হলো ভয়াবহ রকম পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থা। স্বামী তার স্ত্রীকে পান থেকে চুন খসলেই বেদম প্রহার করে।
নারীরা সমাজে এতটাই নিগৃহীত যে বিয়ের সময় নিজের মতামত পর্যন্ত স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করতে পারে না, প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে গ্রামীণ সমাজে একটি মেয়েকে বস্তু ছাড়া আর কিছুই ভাবা হয় না, অভিভাবকের মতামতই যেখানে আগ্রগন্য। অবশেষে নিজের অমতেই একটি পুরুষের সাথে জীবন কাটিয়ে দেওয়া। অনিচ্ছাসত্তেও একটি মেয়েকে তার দেহ সপে দিতে হয় কোন অপছন্দনীয় পুরুষের হাতে। এটাকে ধর্ষণ ছাড়া আর কিই বা বলা যেতে পারে?
এহেন জঘন্য কাজ কোন ধর্ম সমর্থন করে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। আমার জানা মতে ইসলাম ধর্মে এ সম্পর্কে বিধান রয়েছে যে, কোন নারী চাইলে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে। কিন্তু ওই যে পুরুষ শাসিত সমাজ!!!
বাংলাদেশে ৮৫% এর বেশী মুসলমান হওয়া সত্তেও তাই কত নারী অনিচ্ছাবশত তার দেহ স্বামীর হাতে সপে দিতে বাধ্য হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। অধিকার বঞ্চিত হতভাগ্য এ নারীসমাজকে তার ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারলে সমাজ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে যার দায়ভার আমদেরই(পুরুষ সমাজের) ।
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করে উন্নতির চরম শিক্ষরে আসীন হতে হলে নারীকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে আর এ দায়িত্ব আমার, আপনার,আমাদের সকলের।