বাংলাদেশে ভারতীয় মিডিয়া প্রথম আলোয় "এক থা টাইগার" ছবির গুণগান শুনে ছবিটি দেখার আগ্রহ হল, তাই ছবিটি দেখলাম।
কাহিনী সংক্ষেপ, নায়ক নায়িকা যথাক্রমে "র" ও "আইএসআই" এর সদস্য। নায়িকা ও নায়ক কে যথাক্রমে একজনকে ভারতের গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের এবং অন্য জনকে পর্যবেক্ষনের জন্য ইউরোপের কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় প্রফেসরের নিকটে পাঠানো হয়, যেহেতু প্রফেসর ভারতের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কাজের সাথে গবেষণায় জড়িত। তারপর তাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা এবং একে অপরের আসল পরিচয় জানা। শেষ পর্যায়ে উভয়ের "র" এবং আইএসআই থেকে পালায়ন। সব শেষে নায়কের ম্যাসেজ, যতদিন পর্যন্ত "র"ও "আইএসআই" প্রয়োজন শেষ হবে না ততদিন পর্যন্ত তারা দেশে ফিরবেন না।
কাহিনী সংক্ষেপ বললে ও আসলে কাহিনী এতটুকুই,প্লাস কয়েকটি মোটামোটি হলিউড টাইপের মারামারি এবং নাচ গান যা বলিউডের বৈশিষ্ট। ছবিতে পাকিদের ভিলেন হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে,যার জন্য পাকিস্তানে সমালোচনা হয়েছিল।
আগ থেকেই জানি আবার জানা হল,গোয়েন্দা সংস্থার কাজ হল অন্য দেশের দুর্বলতা খোঁজ করা এবং নিজেদের মান,সম্মান,ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে হলেও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।এখানে নৈতিকতা বলতে কিছুই নেই। আমার দেশই আসল।এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য।
বিশ্বের সব দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাজ গুলো গোপনীয় ভাবেই করা হয় এবং তা বিশ্বের মিডিয়া এমন কি দেশের জনগণের সামনেও প্রকাশ করা হয় না, সংস্থার মধ্য কোন সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যেই সমাধান করা হয় যা মুভিটিতেও দেখানো হয়েছিল।
এবার আমাদের দেশ প্রেমিক সরকারের কথা বলি।আমাদের নেত্রী তো বলে দিয়েছেন, উনার চেয়ে কেউ বড় দেশপ্রেমিক নন। কিন্তু দেশপ্রেমিক সরকার আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের যেভাবে বিশ্বমিডিয়ার কাছে উলঙ্গ করেছে তার নজির বিশ্বের কোথাও নেই।যুক্তির প্রেক্ষিতে যদিও ধরে নেয়া হয়( বাস্তবে তারা সজ্ঞা মতে কোন ভুল করেনি)তারা ভুল করেছিল তবুও সরকার মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করে ভারতের বাহবা পেলেও দেশের সম্মানকে বিসর্জন দিয়েছে।
মারামারি রাজনৈতিক সমস্যা পাকিস্তান ভারত উভয় দেশেই আছে তবুও তাদের মধ্যে একটি অভিবাবক শ্রেণীর জন্ম হয়েছে যারা দেশকে ভালবাসে আমাদের রাজনীতিবিদদের চেয়ে। কবে আমাদের দেশে অন্তত তাদের মত রাজনীতিবিদ জন্ম নিবে তাদের অপেক্ষায় থাকলাম

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



