somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এরশাদ বাদশা
জীবনের সব রঙিন মূহুর্তগুলো এখন শুধুই দুই এনজেল এর মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। তারা হাসলে আমি হাসি..তাদের বিন্দুমাত্র কষ্টে ভীষন ব্যথিত হই.. ব্যস্ততা যদিও দেয়না অবসর..তবু এক আধ টুকরো অবসরের মুহুর্তগুলো রাঙিয়ে দেয় ওরা দুজন..দে আর মাই ওয়ার্ল্ড..দে আর মাই ডটার..দ

আর কতো ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে.....??????

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেসবুকে সেদিন এক বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তের পোস্ট দেখলাম- ভারতের সাথে বাংলাদেশের তুলনা। চমকে উঠবেন না, তুলনাটা বর্তমান সময়কে কেন্দ্র করে নয় মোটেও। টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত সামগ্রিক দলগত পারফর্মেন্স এর একটা চিত্র। যারা জানেন না তারা আমার মতো রীতিমতো চমকে উঠবেন। প্রায় সবদিক দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। কিন্তু বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের ভয়ংকর শত্রুর নাম ভারত। টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের নীতি এবং অবস্থান তাই বলে। সবচে ন্যক্কারজনক যে জিনিসটা, সেটা হলো- ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলা। ভারতের মতো ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াও একই পথে হাঁটার কারণে গোটা বছরে বাংলাদেশের অতি সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট সূচি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির পথে মারাত্বক প্রতিবন্ধকতা। টাকা এবং জৌলুসের খেলা আইপিএল এর জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ে বিপিএলে খেলোয়াড় না পাঠানোর হঠকারী সিদ্ধান্ত ভারতের মতো অহংকারী ক্রিকেট বোর্ডই নিতে পারে। গত বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের মাধ্যমে বাংলাদেশেকে হারিয়ে দেওয়ার টাটকা ক্ষতটার কথা কি ভোলা যায়?
তবে এক জগমোহন ডালমিয়া ছিলেন স্রোতের বিপরীতে। বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তিতে এই মানুষটির নিঃস্বার্থ ভূমিকা ছিলো। ব্যস ওই পর্যন্তই। বিগ থ্রির রাক্ষসী আচরনের কারনে বাংলাদেশের চলার পথটা শ্বাপদসংকুলই ছিলো। টেস্ট প্লেয়িং নেশন হওয়ার পরও রেংকিং এর মারপ্যাঁচে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য এখনো বাছাইপর্ব খেলে আসতে হয়। অতি সম্প্রতি যোগ হলো ষড়যন্ত্রের নুতন মারণাস্ত্র। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ দলে খেলে যাওয়া তাসকিন এবং আরাফাত সানির নাকি বোলিং অ্যাকশন অবৈধ!!! সবচে যে জিনিসটা ধর্তব্য- যে আম্পায়া মহোদয় (রড টাকার) এর রিপোর্টে তাসকিন অভিযুক্ত, তার পরিচালনায়ই তাসকিন বোলিং করেছে আগে, তখন সমস্যা হয়নি। আর হঠাৎ করে বিশ্বকাপের মতো বড়ো একটি মঞ্চে এ্ই উদীয়মান তরুন সম্ভাবনাময় বোলারের মাথার উপর চাপিয়ে দেওয়া হলো পাহাড়সম এক বোঝা। আরাফাত সানির কথা বললাম না এ কারনে, ঘরোয়া লিগে নাকি দেশের কোচ কিংবা আম্পায়াররাই সমস্যা দেখেছিলেন।



প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রর সাথে ইন্টারভিউতে বাংলাদেশ বিদ্বেষী হিসেবে (কু)খ্যাতি পাওয়া রমিজ রাজাকে দেখলাম ডিগবাজি মারতে। বললো, বাংলাদেশের জন্য তার নাকি ভালোবাসাই আছে। কিন্তু তাসকিন প্রসঙ্গ আসতেই সে তার স্বরুপে ফিরে গিয়ে বললো- বাংলাদেশের দর্শকেরা নাকি মনে করে গোটা দুনিয়াই তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বাংলাদেশের দর্শকরা আবেগপ্রবন ঠিকই, কিন্তু হিসাবের মারপ্যাঁচ তারাও বোঝে। ক্রিকেট দুনিয়ায় যেকোন দলকে হারানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে। এটা প্রমাণিত সত্য। যুগ যুগ ধরে চলে আসা ইনডিয়া-পাকিস্থান দ্বৈরথের কথা মানুষ এখন আর ততোটা ভাবেনা। পাকিস্থানের বর্তমান দলটি অনেক বেশি অনভিজ্ঞ এবং তাদের পারফর্মেন্সও ততোটা আশাব্যঞ্জক নয়। বিশেষ করে ভারতের সাথে নিকট অতীতে এই দলটি নিয়মিত হেরেই চলেছে। তুলনায় বাংলাদেশের- সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, মাশরাফি অনেক দিন
ধরেই দলে খেলছে। সেই সাথে দলে যোগ হয়েছে নতুন দিনের কান্ডারী- সাব্বির, সৌম্য, মুস্তাফিজ, তাশকিনের মতো ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার। বাংলাদেশের এই প্লেয়াররা যদি ঠিকঠাক ক্লিক করে, তাহলে বিপক্ষ দলের অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। চাই কি সে দল ভারত কিংবা পাকিস্থান।
সম্ভবত এখানেই সবার গাত্রদাহ। পুঁচকে সেদিনের বাংলাদেশ, যারা কদিন আগেও প্রত্যেকটা ম্যাচে সম্মানজনক হারের জন্য খেলতো, রাতারাতি তাদের বড়ো দলে পরিণত হওয়াকে হয়তো মন থেকে মানতে পারছেনা অনেকেই। এই অনেকের মধ্যে আমি এগিয়ে রাখবো ভারতকেই। কারন- শুরু থেকেই ভারতের আচরণ বৈরী ছিলো বাংলাদেশের প্রতি। তাসিকিনের বিষয়ে একজন মানুষের প্রতি অপার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো। তিনি হলেন- বাংলাদেশ দলকে আমূল পাল্টে দেওয়া কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহে। অকপটে তিনি বলে ফেলেছেন- যারা তাসকিন আর সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ করছে, খোদ তাদের অভিসন্ধি নিয়েই সন্দিহান তিনি। বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি আরো বলেছেন- এতোদিন কেন প্রশ্নটা উঠলোনা, যেখানে এই আম্পায়ারের অধীনেই খেলে এসেছে তাসকিন।
হ্যাটস অফ টু ইউ কোচ!!!!
মাশরাফির ভাষ্য অনুয়ায়ী, তাসকিন অনেক ম্যাচিউরড বোলার। চাকার এর অপবাদে দমে যাবার পাত্র সে নয়। স্থানীয় কোচদের আশা- বাংলাদেশের এই তরুন তূর্কী খুব সহজেই বোলিং অ্যাকশন এর পরীক্ষায় পাশ করে যাবেন। চলুন সবাই মিলে এই প্রার্থনাই করি- সকল ষড়যন্ত্রের বিষদাঁদ ভেঙে যাবে, বাংলাদেশ যে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, তাকে থামাবার সাধ্য বিগ থ্রি কেন, কোন অপশক্তিরই নেই। তাসকিন এবং সানি পরীক্ষায় সফলভাবে উৎরে দলে যোগ দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×