বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে যে সংগঠনটির নাম সবার আগে আসে,সেটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।সেই পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামে শুরু।বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে সংগঠনটি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।দেশের জন্য নানা আন্দোলন, সংগ্রামে সংগঠনটির অংশগ্রহন ছিল প্রশংসনীয়।
পূর্ব-পাকিস্তান থেকে আজকের বাংলাদেশ আর পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে আজকের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।সেই দবিরুল ইসলাম থেকে বর্তমান এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।নানা প্রতিকূলতার মাঝেও লাল-সবুজের আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে একটি স্বনির্ভর জাতী হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াব।অথচ নানা রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও,আজকে ছাত্রলীগের একি হাল!!!
ক্ষমতার মোহে,অর্থের লোভে,নিজেদের আন্ত-কোন্দলে ছাত্রলীগ এখন এক আতঙ্কের নাম।এই আতঙ্ক যেমন সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে,তেমনি তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি ছাত্রলীগই করে যাচ্ছে অবলীলায়।ছাত্র,শিক্ষক,সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী,সরকারি কর্ম-কর্তা,কর্ম- চারী,এমনকি সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের কাছেও ছাত্রলীগ এখন অভিশপ্ত নাম।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে এখন ছাত্রলীগের শিক্ষা কার্যক্রম নেই বললেই চলে।তার বদলে টেন্ডার বাজি,চাদা বাজি,খুন, ধর্ষণ,ইভটিজিং,মারামারিই যেন তাদের প্রধান কার্যক্রম!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আধিপত্য বিস্তার করাই যেন ছাত্রলীগের মূল লক্ষ্য।
ছাত্রলীগ তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে অনেক আগেই।ছাত্রলীগের সামনে আদৌ কোন আদর্শ আছে কিনা তাই এখন সন্দেহ!আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতে হতে ছাত্রলীগ আজ লাগামহীন ঘোড়া।প্রায়ই ছাত্রলীগের নেতারা অস্র হাতে,মাদকের সাথে,নারী কেলেঙ্কারিতে খবরের শিরোনাম হচ্ছে।অথচ একজন ছাত্রের জন্য এই রকম শিরোনাম কতটা ভায়াবহ হতে পারে তা বুঝার জন্য ন্যূনতম বিবেক বোধই যথেষ্ট।
পৃথিবীর আশ্চর্য এক ছাত্র সংগঠন আজকের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ!যারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ।ছাত্রলীগ তাদের নিজেদের আদর্শ প্রচারে যতটা সময় ব্যয় করে তার থেকে বহু গুনে সময় অপচয় করে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করার পেছনে!” আদর্শকে আদর্শ দিয়েই ঘায়েল করা সম্ভব,পেশি শক্তি দিয়ে আদর্শকে মোকাবিলা করা যায় না” এই চরম সত্য যতদিন ছাত্রলীগ উপলব্ধি না করবে ততদিন ছাত্রলীগের পক্ষে আপামর জনসাধারনের আস্থা অর্জন সম্ভব নয় বরং দিনে দিনে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে..................