আমেরিকাতে বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হবে।ভাল কথা।মহা বিশ্বের বাকি দেশ গুলোর কথা বাদই দিলাম,আমাদের দেশের কারও এতে কোন প্রকার অভিযোগ থাকার কথা না!কাগজে কলমে উন্নত একটা দেশের সরকার আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের একজন মানুষের সম্মানে তাদের একটা রাস্তার নামকরণ করবে হোক সেই লোকটা প্রেসিডেন্ট কি ফইন্নির পুত!ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গর্বের।আমেরিকার সরকারতো আর এমনি এমনি এই রকম একটা সিদ্ধান্ত নেয় নাই।সরকার যদি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকে তাহলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কথাতো আমেরিকান জনগনের।
অথচ কি লজ্জার কথা, একটা দেশের জনগণ আমাদেরকে সম্মান দিতে চায় হোক সেটা সোমালিয়ার মত কোন দেশ, আমরা সেই সম্মানের জায়গায় থাকতে পারলাম না শুধু মাত্র ব্যাক্তি স্বার্থে।যেখানে এই রকম একটা সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের উচিত ছিল আমেরিকার জনগণকে সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান,সেখানে সরকারি দলের কিছু চাটুকার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে,অভিযোগ করেছে!সারা বিশ্বের কাছে কি বার্তা দিচ্ছি আমরা?
আমাদের এই রকম নোংরামি দেখে হয়ত সোমালিয়ার দস্যুরাও ছিঃ ছিঃ করছে!এই আন্দোলন জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়,এটা বাংলেদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়ে গেছে।
এই ঘটনা থেকে হয়ত সরকারেরও ফায়দা হাসিলের সুযোগ ছিল।সরকার ইচ্ছা করলে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাদের উদার মনের পরিচয় দিতে পারত। বোধ করি এতে দেশ এবং সরকারি দল উভয়ই লাভবান হত।এই সরকারের আমলে দেশের একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে আমেরিকাতে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে...............