somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন স্বার্থে পোষ্ট-2 ঃ ভিটামিন-ই সুবিধা ও অসুবিধা

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভিটামিন হলো এমন একশ্রেণীর জৈব পদার্থ যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে অপরিহার্য। শরীরের এ জিনিস খুব সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয় এবং এটা দৈনন্দিন খাবার থেকেই পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন সমূহের মধ্যে বর্তমানে একটি আলোচিত ভিটামিন হলো ভিটামিন-ই। বস্তুত অনেক খাদ্যে ভিটামিন-ই পর্যাপ্ত থাকে বলে তার অভাব পরিলক্ষিত হয় না। ভিটামিন-ই রাসায়নিকক্রিয়া বা অক্সিডেশনকে প্রতিহত করে, এই অক্সিডেশন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরের স্নায়ু এবং মাংসপেশির সঠিক কাজ করার জন্যেও ভিটামিন-ই গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে_

ঁ অন্ত্রের অসুখ।

ঁ লিভার বা যকৃতের অসুখ।

ঁ অগ্নাশয়ের অসুখ।

ঁ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাকস্থলী অপসারণ।

তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, ভিটামিন-ই কতটুকু গ্রহণ করতে হবে সেটা অবশ্যই নির্ধারণ করে দেবেন আপনার চিকিৎসক। কারণ ভিটামিন-ই-এর রয়েছে কিছু পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া।

যে সব শিশু টিনের দুধ খায় তাদের ভিটামিন-ই-এর ঘাটতি হতে পারে। মূলত পলি স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে ভিটামিন-ই-র প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়।

দাবি করা হয় যে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এবং ব্রন, বয়স বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, মৌমাছির হুলের কামড়ের যন্ত্রণা, ডায়াপার র্যাশ, বার্সাইটিস, পাকস্থলীর ঘা, হার্ট অ্যাটাক, প্রসব যন্ত্রণা, কিছু রক্তের অসুখ, গর্ভপাত, মাংসপেশির দুর্বলতা, দুর্বল অঙ্গস্থিতি, যৌন অক্ষমতা, বন্ধ্যাত্ব, মনোপজ, রোদে পোড়া এবং বায়ুদূষণের ফলে ফুসফুসের ক্ষতি প্রভৃতি প্রতিরোধ করে। কিন্তু এসব দাবি প্রমাণিত হয়নি। অবশ্য কিছু ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় বর্তমানে ভিটামিন-ই ব্যবহার করা হচ্ছে, তবে সেটা কার্যকর কিনা সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

ভিটামিন-ই-র ঘাটতি খুবই বিরল। যেসব লোকের অসুখ থাকার ফলে শরীরে ভিটামিন-ই শোষিত হতে পারে না, তাদের বেলায় এই ঘাটতি দেখা যায়।

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন-ই বাজারে পাওয়া যায়_

ঁ ক্যাপসুল।

ঁ সিরাপ।

ঁ ট্যাবলেট।

খাবারের গুরুত্ব

সুস্বাস্থ্যের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুষম এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার খাওয়া। আপনি যদি খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিশেষ কোন ভিটামিন বা মিনারেল পেতে চান তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে আপনার খাদ্য তালিকা তৈরি করে নিন। আপনি যদি মনে করেন খাবারের মাধ্যমে আপনি পর্যাপ্ত ভিটামিন বা মিনারেল পাচ্ছেন না তাহলে একটি পথ্যবিধি মেনে চলুন।

বিভিন্ন খাবারে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে_

ঁ উদ্ভিজ্জ তেল (কর্ন, কার্পাস তুলার বীজ, সয়াবীন)।

ঁ গমের ভ্রূণ।

ঁ সমগ্র খাদ্যশস্য।

ঁ সবুজ শাকসবজি প্রভৃতি।

খাবার রান্না করলে এবং সংরক্ষণ করে রাখলে কিছুটা ভিটামিন-ই নষ্ট হয়।

শুধুমাত্র ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে সেটা সুন্দর খাবারের বিকল্প হতে পারে না এবং সেটা শরীরে শক্তিও উৎপন্ন করতে পারবে না। শরীরের জন্যে অবশ্যই খাদ্যে নিহিত অন্যান্য উপাদান যেমন প্রোটিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বির প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য খাদ্যের উপস্থিতি ছাড়া ভিটামিনগুলো নিজেরা কাজ করতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় শরীরে ভিটামিন-ই-এর শোষণের জন্যে কিছুটা চর্বির প্রয়োজন হয়।

ভিটামিন-ই পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের, যেমন_ডি-কিংবা ডিএল-আলফা টকোফেরল এসিটেট, ডি-কিংবা ডি এল-আলফা টকোফেরল এবং ডি-কিংবা ডিএল-আলফা টকোফেরল এসিড সাক্সিনেট। অতীতে ভিটামিন-ইকে ইউনিট হিসেবে প্রকাশ করা হত। বর্তমানে এটাকে আলফা টকোফেরল ইকু্যইভ্যালেন্টস (আলফাটিই) অথবা মিলিগ্রাম (মি.গ্রা) অভ ডি-আলফা টকোফেরলরূপে প্রকাশ করা হয়। এক ইউনিট হলো 1 মি.গ্রাম অব ডিএল-আলফা টকোফেরল এসিটেট বা 0.6 মি.গ্রা ডি_আলফা টকোফেরলের সমতুল্য। তবে বাজারে যে ওষুধগুলো পাওয়া যায় তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউনিট লেখা থাকে।

বিভিন্ন খাদ্যবস্ততে ভিটামিন-ই এর পরিমাণ

খাদ্যবস্তু মি. গ্রাম/100 গ্রাম

গমের ভ্রূণের তেল 255

সয়াবীন তেল 118

ভু্ট্টার তেল 91

ধানের কুঁড়ার তেল 91

তুলা বীজের তেল 81

সূর্যমুখীর বিচির তেল 70

পাম তেল 56

সরিষার তেল 32

জলপাই তেল 30

বাদাম তেল 22

নারকেল তেল 8

ভিটামিন-ই-এর দৈনন্দিন সুপারিশকৃত মাত্রা

মিলিগ্রাম হিসেবে ভিটামিন-ই-এর দৈনন্দিন চাহিদামাত্র বর্তমানে সুপারিশ করা হয়েছে। কেউ যদি ইউনিট হিসেবে ভিটামিন-ই গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে গ্রহণ করতে পারেন। এখানে দুটোর পৃথক মাত্রা উল্লেখ করা হলো_

মি.গ্রা ইউনিট

শিশু এবং 3 বছর

বয়স পর্যন্ত বাচ্চা 3-6 5-10

4_6 বছর বয়স 7 11.7

7_10 বছর বয়স 7 11.7

বয়ঃসন্ধিকাল ও

প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ 10 16.7

বয়ঃসন্ধিকাল ও 8 13

প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা

গর্ভবতী মহিলা 10 16.7

স্তনদানরত মহিলা 11-12 18.20

ভিটামিন-ই গ্রহণের আগে যেকথা মনে রাখতে হবে_

আপনি যদি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ভিটামিন-ই গ্রহণ করেন, তাহলে লেবেলের লেখাগুলো ভাল করে পড়ে নেবেন এবং কোন ধরনের সতর্কতার উল্লেখ থাকলে সেটা মেনে চলবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই গ্রহণে সতর্ক হতে হবে_

এলার্জি_আপনার যদি ভিটামিন-ই গ্রহণের পর কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় কিংবা এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে সাথে সাথেই চিকিৎসককে অবহিত করুন। অন্যান্য কোন খাদ্যবস্তুতে আপনার এলার্জি আছে কিনা সেটাও চিকিৎসককে জানাতে হবে।

গর্ভাবস্থা_এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, যখন আপনি গর্ভবতী হচ্ছেন তখন পর্যাপ্ত ভিটামিন গ্রহণ করছেন। তবে আপনাকে দেখতে হবে গর্ভাবস্থার পুরো সময়টা আপনি সঠিক মাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ করছেন কিনা, কেননা ভ্রূণের বিকাশ এবং বৃদ্ধি নির্ভর করে মায়ের সঠিক পুষ্টিগ্রহণের ওপর। যাহোক, গর্ভাবস্থায় বেশিমাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ করলে ক্ষতি হতে পারে, তাই বেশিমাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ করবেন না।

বুকের দুধ_শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্যে স্তনদানরত মহিলার সঠিকমাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ গুরুত্বপর্ণ। আপনি যদি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে থাকেন তাহলে মাঝে মাঝে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন। এক্ষেত্রে শিশুকে অন্য উপায়ে ভিটামিন দেবার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপনি যদি বুকের দুধ খাওয়ানো কালে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ করেন তাহলে আপনার নিজের জন্যে এবং শিশুর জন্যে সেটা ক্ষতিকর হবে।

শিশু_দৈনন্দিন সুপারিশকৃত মাত্রা গ্রহণের ফলে শিশুর অসুবিধার কথা জানা যায়নি। শিশু বুকের দুধ খেলে তাকে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন দেবার জন্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মগ্রহণকারী শিশুর শরীরে ভিটামিন-ই-এর মাত্রা কম থাকে। আপনার চিকিৎসক এ ব্যাপারে ভিটামিন-ই-এর মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন।

প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ_দৈনন্দিন সুপারিশকৃত মাত্রা গ্রহণের ফলে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধার কথা জানা যায়নি।

অন্য ওষুধ গ্রহণ_আপনি যদি ভিটামিন-ই গ্রহণের সময় অন্য কোন ওষুধ খেতে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন। কারণ অনেকক্ষেত্রে দুটো ওষুধের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসক ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারেন কিংবা অন্যকোন ব্যবস্থা নিতে বলতে পারেন।

অন্যান্য চিকিৎসাগত সমস্যা_ অন্যকোন চিকিৎসাগত সমস্যা উপস্থিত থাকলে ভিটামিন-ই গ্রহণের ফলে অবস্থা খারাপ হতে পারে। আপনার অন্যকোন চিকিৎসাগত সমস্যা আছে কিনা সেটা চিকিৎসককে অবশ্যই জানাবেন, বিশেষ করে আপনার যদি রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা থাকে।

রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা_দীর্ঘ সময়ের জন্যে দৈনিক 800 ইউনিটের বেশি ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।

আপনি কি পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই গ্রহণ করছেন?

ভিটামিন-ই শরীরের জন্যে একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন। গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, চোখের ছানি, মাংসপেশির ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা ও অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-ই গ্রহণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে দৈনিক এই ভিটামিনের অনুমোদিত মাত্রা হলো 8_10 আই.ইউ। সর্বাধিক লাভের জন্যে আপনার দৈনিক 100_400 আই. ইউ দরকার হতে পারে। অধিকাংশ গবেষণায় দেখা গেছে, সর্বোচ্চ মাত্রা গ্রহণ করলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়। তথ্যটি দিয়েছেন বোস্টনের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিভাগের অধ্যাপক জেফ ব্লামবার্গ। আপনি পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই পাবার জন্যে নিচের পরামর্শ গ্রহণ করুন_

ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খান

বাদাম, খাদ্যশস্য, ভুট্টার ভ্রূণ এবং গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন-ই-এর চমৎকার উৎস। আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখুন।

ভিটামিন-ই সাপ্লিমেন্ট খান

খাদ্য থেকে 100-400 আই.ইউ ভিটামিন-ই পাওয়া সম্ভব হয় না। ভিটামিন-ই-এর অন্যতম ভাল উৎস জলপাই তেল। অথচ প্রতি চা চামচ জলপাই তেলে থাকে প্রায় 1.74 আই. ইউ ভিটামিন-ই। তারমানে দৈনিক 100 আই. ইউ ভিটামিন-ই পেতে আপনাকে দৈনিক খেতে হবে 3 কাপ জলপাই তেল। সুতরাং পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই পেতে খাবারের পাশাপাশি আপনি চিকিৎসকের পরামর্শমত ভিটামিন-ই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। সিরাপ, ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। তবে যেহেতু ভিটামিন-ই রক্তের জমাটবাঁধা কমিয়ে দেয় সুতরাং যাদের রক্তক্ষরণের অস্বাভাবিকতা রয়েছে তারা ভিটামিন-ই গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

ভিটামিন-ই কোষের বুড়িয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে

প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন-ই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বয়স সম্পর্কিত ব্যাপারটিকে প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শরীরের স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপকরণ যেমন হাইড্রোকার্বন ইত্যাদির মাধ্যমে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ফ্রি র্যাডিকেলস। এই ফ্রি র্যাডিকেলস বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের কোষসমূহকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়। ভিটামিন-ই-এর প্রধান কাজ হলো এইসব ফ্রি র্যাডিকেলসকে দ্রুত গ্রহণ করে রাসায়নিক ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া, অর্থাৎ কোষসমূহকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।

হার্ট অ্যাটাক কমাতে ভিটামিন-ই

মধ্যবয়সী পুরুষ এবং মহিলাদের_যারা ভিটামিন-ই গ্রহণ করে থাকেন তাদের, যে সব লোক গ্রহণ করেন না, তাদের চেয়ে হার্ট অ্যাটাক কম হয়। তথ্যটি জানা গেছে হার্ভার্ড স্কুলের পাবলিক হেলথ বিভাগের দুটি পৃথক গবেষণা থেকে। দি নিউ ই ইংল্যান্ড জার্নাল অভ মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে প্রায় 40 হাজার পুরুষ যারা কমপক্ষে 2 বছর দৈনিক নূ্যনতম 100 আই. ইউ ভিটামিন-ই গ্রহণ করেছেন তাদের হার্ট অ্যাটাক কম হয়েছে শতকরা 37 ভাগ।

দ্বিতীয় গবেষণাটি করা হয় মহিলাদের নিয়ে। 87 হাজার মহিলাকে নিয়ে 8 বছরের এক উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে দেখা গেছে, 2 বছরের বেশি সময় দৈনিক 100 আই. ইউ ভিটামিন-ই গ্রহণে মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক শতকরা 41 ভাগ কমেছে।

ভিটামিন-ই-এর পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া

শরীরে ভিটামিন-ই-এর যদিও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবু সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে কিছু অবাঞ্ছিত পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। তবে অল্প সময়ের জন্যে অনুমোদিত মাত্রায় ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে সাধারণত পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। যদি ভিটামিন-ই গ্রহণের ফলে আপনার কোন ধরনের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

দৈনিক 400 ইউনিটের বেশি এবং দীর্ঘ সময়ের জন্যে ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে নিম্নলিখিত পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে_

ঁ চোখে ঝাপসা দেখা।

ঁ ডায়রিয়া।

ঁ মাথা ঘোরা।

ঁ মাথা ব্যথা।

ঁ বমি বমি ভাব।

ঁ পেট কামড়ানো।

ঁ অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা।

ব্যক্তি বিশেষে আরও অন্যধরনের কিছু পাশর্্বপ্রতিক্রিয়াও ঘটতে পারে। তবে যে পাশর্্বপ্রতিক্রিয়াই ঘটুক না কেন সাথে সাথেই চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন।


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×