somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারি অফিসার আমি

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা।একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকরী করি।চাকরীর বয়স ২বছর ১৮ দিন।পড়াশুনা করার সময় চাকরী কোথায় করব বা কোন চাকরী ভাল লাগবে এগুলি নিয়ে এতটা মাথা ঘামাইনি।কিন্তু যখন চাকরীর জন্য পড়াশুনা করা শুরু করলাম কেন যেন মনে হত এই প্রতিষ্ঠানে একটা চাকরী পাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে মনে মনে।কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম না।কারণ আগে থেকেই জানতাম এখানে পরীক্ষায় পাশ করলেও ভাল বা খারাপ নম্বর এর চেয়ে একটা টেলিফোন বা যোগাযোগটা বেশি কাজ করে।পরীক্ষা দিতাম কিন্তু উচ্চাশা করতাম না।কারণ চেয়েছিলাম জীবনে তো একটাই চাকরী করব তাই ধরাধরি ছাড়াই যেন চাকরীটা হয়। তো কিভাবে যেন দ্বিতীয়বারের ভাইভায় চাকরীটা হয়ে গেল।এক্ষেত্রে আমার ভাগ্যটা খুব ভাল কাজ করল।আমি এমনিতেই মধ্যম ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট।চাকরীটা পেয়ে খুব ভাল লাগল।
নতুন যে কোন জায়গা বা জিনিস নিয়ে যেমন অনেক ভাল লাগা বা আগ্রহ থাকে আমার ও তেমনি হল।সবার কাছে নিজের প্রতিষ্ঠানকে খুব বড়ভাবে উপস্থাপন করতাম।শুধু মনে হত এরকম একটা এত বড় প্রতিষ্ঠান দেশের ভালোর জন্য কত কিই না করে।তাই প্রথম প্রথম অন্য কেউ এর সম্পর্কে কোন বাজে কথা বললে খুব খারাপ লাগত।কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর বাস্তব আর আমার ভাবনার মধ্যে পার্থক্যটা দেখে আমি হতবাক।আমি ভেবেছি আমি নতুন তাই আমাকে শিখতে হবে আগে।কিন্তু কোথায় কি আমাকে কে শেখাবে।নতুনদের যে Basic ট্রেনিং দেয়া হয় সেটাই পেলাম চাকরীর নয়মাস পর যেটা হওয়ার কথা ৩ মাসের মধ্যে।১৫ দিনের জায়গায় ট্রেনিং পেলাম ৬দিন এর।তাও আবার ফান্ডের নাকি অনেক অভাব।তারপর এখানে হুজুর হুজুর এর ব্যাপার তো আছেই।কর্মচারীদের দাপট তো বিশাল ব্যাপার।ওরা আমাদের সমীহ কি করবে আমরাই তাদের সমীহ করে কাজ আদায় করি।
আমাদের কাজ যেহেতু গবেষণা তাই অনেক Data নিয়ে কাজ করতে হয়।সেগুলো Analysis করে report তৈরি করতে হয়।তো প্রথম যখন এগুলি করতে গেলাম দেখলাম Data র সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি।তাই দেখে আমার কলিগ আমাকে সমাধান দিলেন, আরে এত মাথা ঘামানোর কি আছে।আগের report দেখে একটূ আগুপিছু করে দেন সব।আমি তবুও ট্রাই করলাম।কিন্তু যে report বানালাম সেটা চলল না।আগের year এর সাথে অনেক পার্থক্য।অগত্যা গড্ডালিকায় গা ভাসানো।ভাসিয়ে দিলাম।
সকালে এসে অফিস এ খাবার পানি পাইনা।কারণ যার পানি দেয়ার দায়িত্ব সে বসের বাসায় কাজ করে।মাঝে মাঝে আসে মাঝে মাঝে পানি পাই।
যে মহিলা রুম ঝাড়ু দেয় তাকে একবারের বেশি দুইবার বলা যায়না।বললেই আগামী মাস ঝাড়ু দেয়া বন্ধ।
ট্রেনিং এখানে কোন need basis এ দেয়া হয় না।অবশ্য need basis এ দেয়া হয়না বললে আবার একটু ভুল ই হয়।এই need হচ্ছে টাকা।ট্রেনিং এ কিছু টাকা তো পাওয়াই যায়।তাই দেখা যায় অনেক সিনিয়ররাই জুনিয়রদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনিং করেন।ঐযে বললাম need। আর যাদের ট্রেনিং ডিভিসনে বন্ধু/বান্ধবী/পরিচিত কেউ আছে তারাই ঘনঘন ট্রেনিং পান।আফসোস আমার কেউ নাই।
Annual review হয় বছরে একবার।আগের বছর কি করা হয়েছে পরের বছর কি করা হবে তা নিয়ে ৭দিন এর program।প্রতি বছর একই বিষয় নিয়ে ক্যাচাল।বিগত বছরের ভুল-ভ্রান্তি পরের বছর সমানতালে সাথে সাথে থাকে।কারো কোন মাথা-ব্যাথা নেই।
তাই বুঝতে পারছিনা নিজে কোন দিকে যাব। এই সিস্টেম এর সাথে এডজাস্ট হয়ে যেতে পারব কবে?তাকিয়ে দেখা ছাড়া আমার কোন কিছু করার নেই।অনেকে বলবেন নিজের মত কাজ করে যান,কিন্তু এখানে নিজের মত কাজ করা যায়না।২ বছরেও এডজাস্ট করতে পারলাম না, আর কবে পারব।খালি তামাশা আর তামাশা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×