কলা হিসেবে নৃত্যকলার আবির্ভাবেরও পূর্বে যাকে নাচা শুরু করতে হয়েছিলো তোর কোমরের মূদ্রাতো যেমন তেমন হলে চলেনা, নাকি চলে?
যেহেতু কলাবিদ নই, ঠিক জানিনা কোমরের মূদ্রা আদৌ হয় কিনা; এসব অপচিন্তাতো ধেয়ে আসে আবর্জনার ঢলে।
সেই কোন কবেকার কথা, অনেককাল আগে এক দেশে ছিলো এক রাজা আর তার দুই রানী। আমি তখন থাকি পানির তলায় হযরত খিজিরের ফাইফরমাশ খাটি। আর ফাকেফোকে তামুক টানি। এমত সময়ে মাছেদের কানাকানিতে সুয়োরানীর খাস পরিচারিকা খবর পেয়ে গেল আর খাস অন্ত:পুরে আমার ডাকও পড়ে গেল।
কলা কত প্রকার ও কি কি? কি পরিমান কলা উৎপাদন হতে কি পরিমাণ রস নিংড়ানোর দরকার পড়ে তাকি ব্যকরণ বইয়ে লেখা থাকে? থাকেনা। থাকলে খুব ভালো হতো। সে যাত্রা বেঁচে থাকার সুযোগ পাওয়া যেতো।
যেটুকু রস আমার অবশিষ্ট ছিল তাতে দুয়োরানীর নাস্তাও হয়না। কিন্তু সুয়ো পেল আর দুয়ো পাবেনা তাতো হয়না। দুয়োর ডিনারটা শেষ হলে পরে হাড্ডির মজ্জাটুকুও বাকী থাকেনা।
ওমা! কি আশ্চর্য ব্যাপার, একটু আলো বাতাস খেয়ে আর দিন কয়েক ঘুমিয়ে দেখি যা ছিলাম আবার তাই হয়ে গেছি। হতেই হবে। না হলে দোযখ যন্ত্রনা ক্যামনে হবে?
এরপর রাজার পাইক-পেয়াদারা আমাকে খুজে বের করে, রাজার সামনে হাজিরও করে; রাজা তিনদিন ধরে আমারে জেরা করে আর বলে, শুয়ার, রানীরা তোর খোজ পাইলো কেমনে? সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারায় ... ওরে আল্লাহ , আমারে বাঁচাও( অশ্লীল)
আবার একটু সুস্থ হই, তারপর সুয়োরানী
আবার একটু সুস্থ হই তারপর দুয়োরানী
আবার একটু সুস্থ হই তো রাজা (চরম অশ্লীল)
অত:পর রাজা-রানীর অর্থাৎ রাজনৈতিক বলাৎকারের পৌন:পুনিক পুনরাবৃত্তিতে একসময় গদ্য লেখা ভূলে যাই। কি করা, কিছুতো লিখতে হয়। মানুষ জীবিত থাকবে কিন্তু একটু আকটু বোগল চুলকাবেনা তাতো হয়না।
যদিও একথা সত্য যে আন্দাজের উপরে কাব্য হয়না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



