২০২০ সালের এ্যকশন মুভি Extraction দেখলাম। বাংলাদেশে অভিনীত হওয়া মুভিটি গানফাইট আর এ্যকশনে ভরপূর। মুভিতে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী এবং কিশোর গ্যাং গুলোকে গডফাদাররা কিভাবে ব্যবহার করে সেটা কদর্য ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেমন ছাদ থেকে একটা বাচ্চাকে ফেলে দেওয়া, আংগুল কেটে নেওয়া। আমার কাছে মনে হয়েছে ভারতীয় আণ্ডারওয়ার্ডএ এই ধরণের ঘটনা ঘটে, যেহেতু পশ্চিমারা ভারতের চোখদিয়ে অনেকসময় বাংলাদেশকে দেখে সেইজন্যই এই মুভিতে পশ্চিমাদের কাছে বাংলাদেশকে ঘৃণ্য এবং নিকৃষ্ট একটা দেশ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীকে এই মুভিতে গড ফাদারদের আজ্ঞাবহ হিসাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবির শেষদিকের একটা দৃশ্যে পুলিশের মেশিনগান সজ্জিত আর্মার্ড কারও দেখানো হয়েছে। গত দশকে প্রথম যখন ঢাকার রাস্তায় আর্মার্ড কার দেখি তখনই মনে হয়েছিল বাংলাদেশে এমন কিছু হবে যাতে প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রচুর গনআন্দোলন হবে এবং সেইজন্য বাংলাদেশকে কেউ বা কাহারা পুলিশি রাষ্ট্র বানানোর অংশ হিসাবে পুলিশে আর্মার্ড কার যোগ করেছে। বাস্তবে হয়েছিলও তাই। বাংলাদেশের গনআন্দোলন গুলোকে আর্মার্ড কার এবং বন্দুকের গুলি, খুন গুম ইত্যাদির মাধ্যমে নির্মম ভাবে দুমড়ে মুচড়ে দেয়া হয়েছিল। সেইসময়কার স্মৃতি Extraction মুভি আরেকবার মনে করিয়ে দিল।
আসলে বাংলাদেশ গত এক-দেড় দশকের মধ্যে যেইসব নেতিবাচক বিষয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে, Extraction মুভি সেইসব নেতিবাচক ঘটনার একটা নেগেটিভ রিপ্রেজেন্টেশন। এই মুভিটা বাংলাদেশের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে আমার মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৮