জয়নাল ইসুৎতে যুগান্তর,সমকাল,কালের কন্ঠ থেকে কট্রর আওয়ামীলীগ হয়ে যাওয়া ইনকিলাব থেকে শুরু করে ইত্তেফাকের সবগুলো পত্রিকার সংবাদ এবং শিরোনাম প্রায় কাছাকাছি।ব্যাতিক্রম শুধু জগন্য কন্ঠ আর প্রথম আলো।জগন্যকন্ঠকে পুরা আওয়ামী বাথরুমের টিসুৎ পেপার তাই ঐটারে গনায় ধরার কোন লাভ নাই।
প্রথম আলো ছাড়া সবগুলো পত্রিকায় ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে দেখানো হয়েছে
***
সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।-ইত্তেফাক***
****
মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা হয়। -কালের কন্ঠ***
***
বিএনপি সাংসদরা পুলিশকে বলেন, 'মিছিল করব না কেন? কারফিউ চলছে নাকি।' পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা মিছিল নিয়ে ফার্মগেট খামারবাড়িতে যান। সেখানে তারা রাস্তায় বসে পড়েন। প্রায় ২৫ মিনিট অবস্থানের পর পুলিশ চলে যেতে বলে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রয়োজনে তাদের গাড়ি করে এমপিদের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পেঁৗছে দেওয়া হবে। এমপিরা তাতে রাজি না হয়ে মিছিল নিয়ে আবারও সংসদ ভবনের দিকে এগোতে থাকেন। সাড়ে ৭টার দিকে সংসদ ভবনের রাস্তায় প্রবেশের সময় সাংসদরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাতে বাধা দিলে ফারুক উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'সবগুলোকে চিনে রাখছি। ক্ষমতায় গেলে সবগুলোর চাকরি খেয়ে ফেলব।' এই বলেই তিনি পুলিশকে মারতে উদ্যত হন। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন।
এরপরই পুলিশের এক কর্মকর্তা যানবাহন ভাংচুর করলে 'খবর আছে' বলে শাসিয়ে দেন ফারুককে। জবাবে তিনি 'সর' বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে পিছু হটতে বলেন। পরক্ষণেই ওই কর্মকর্তা ফারুককে বলেন, 'থাপ্পড় দিয়ে তোর দাঁত ফেলে দেব।' পুলিশ কর্মকর্তার এ বক্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সামনে এগিয়ে এসে ফারুক বলেন, 'মার, থাপ্পড় মার।' এ সময় সাংসদ রেহানা আক্তার রানু, আসিফা আশরাফি পাপিয়া এবং শাম্মী আক্তার এগিয়ে আসেন। তারা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে বেশ ক'জন পুলিশ সদস্য ফারুককে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। মহিলা সাংসদরা ফারুককে রক্ষা করতে এলে পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে।--সমকাল***
তিনটি পত্রিকায় ঘটনার সূত্রপাত দেখলেন এবার চলেন দেখে আসি প্রথম আলোতে কিভাবে সূত্রপাত বর্ননা করা হয়েছে
গতকাল ভোর ছয়টার দিকে জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫ থেকে ২০ জন সাংসদ মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হন। ভোরবেলা তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তাঁরা আবার মানিক মিয়া এভিনিউতে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ করে একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার হারুনুর রশিদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সাংসদদের সামনে গিয়ে তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের এক দফা কথা-কাটাকাটি হয়। পুলিশের ডিসিকে উদ্দেশ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘তুই কে? তুই কী করবি?’ এ সময় পুলিশ জয়নুল আবদিনের দিকে তেড়ে যায় এবং ‘পাগল পাগল’ বলে চিৎকার করতে থাকে। আরও কয়েকজন পুলিশ তাঁর দিকে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি পড়ে যান। সবগুলো পত্রিকায় যেখানে ব্যাপারটাকি বর্বরোচিত হিসেবে দেখানো হয়েছে সেখানে আলু নেমেছে ভাব উদ্ধারে ।এই নিয়ে আলোর শিরোনাম দেখলেই বোঝা যায় ।
চলুন ঢিল ছোড়া নিয়ে প্রথম আলোর ছবি দেখুন
প্রথম আলোর ভাষ্যমতে ঢিল ছুড়ছে ।
এবার চলুন প্রথম আলোর ২য় ছবিটি দেখি
লাল মার্কের ভিতর কি দেখছেন?ঢিল নাকি মোবাইল?প্রথম ছবিটির দিকে লক্ষ্য করুন।পিছন থেকে টান দিচ্ছে।আত্মরক্ষার জন্য ছুটতে যাওয়ার বিশেষ ভঙ্গিকে প্রথম আলো ছোট একটি ছবি দিয়ে চালিয়ে দিল ঢিল ছুড়ছে বলে।এবার নিচের দ্বিতীয় ছবিতে মাটিতে পড়ে যাওয়া পুলিশের পেছনে দেখুন জয়নালের হাতের ব্যান্ডেজ পড়ে আছে।কয়েক সেকেন্ডের ঘটনার হাতের মোবাইলকে ঢিল বানিয়ে দিলো প্রথম আলো!!
আসেন একটু পেছনে যায়।১/১১এর ভূমিকার জন্য প্রথম আলো যখন ব্যাপক ভাবে আওয়ামী এমপিদের সমালোচনার স্বীকার হয় তখন কি করেছে
আমাদের সময়।
এই ক্ষমা চাওয়ার কয়েকদিন আগে রাবির নাসিম মারা যাওয়ার খবর বেশ ভালভাবে প্রথম আলো হাইড করে।
কিছুদিন আগে লিমন ইসুৎতে ব্যাপক সমালোচনার স্বীকার হয় প্রথম আলো।অভিযোগ উঠে প্রথম আলো টাকা দিয়ে অনেক নাটক সাজিয়েছে।এই অভিযোগ যখণ ব্যাপক ভাবে শুরু করে তখনি প্রথম আলো আস্তে আস্তে পিছু হটতে শুরু করে।আস্তে আস্তে লিমন ইসুৎতে ধরি মাছঁ না ছুইঁ পানি টাইপের অবস্থা নিতে শুরু করে।
অতীতে দেখা গেছে প্রথম আলো যখন বিপদে পড়ে কোনো কিছু নিয়ে তখনি হাসিনার পা চাঠতে শুরু করে।ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের শিবিরের বলে নিউজ করে।বিডিআর বিদ্রোহের সময় প্রথম আলো ১০ট্রাক অস্ত্রকে হাইলাইট করার কথা আর নাইবা বললাম....
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



