“ও ডাক্তার, ও ডাক্তার……
আপনি যখন করবেন আমার ওপেন হার্ট-সার্জারি,
দেখবেন হার্টের মাঝখানে একটা মেয়ে রূপসী ভারি।
ছুরি-কাঁচি-সুইয়ের খোঁচা তার যেন না লাগে…
আমার বাঁচা-মরা পরে, তার জীবনটাই আগে গো ডাক্তার, ও ডাক্তার…
এই মেয়েটির জন্য বুকে আমার এই অসহ্য ব্যাথা
ব্যাথার মাঝেও লাগছে ভালো বলতে তারি কথা
দুজনার প্রেমের কথা রাগ আর অনুরাগে…
আমার বাঁচা-মরা পরে, তার জীবনটাই আগে গো ডাক্তার, ও ডাক্তার…”
এটি কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া আমার বেশ প্রিয় একটা গান। প্রায়শই শুনি। আর যতবারই শুনি ততোবারই মায়াঝরা চোখের স্নিগ্ধতায় ভরা একটা উজ্জ্বল-শ্যামলা মুখশ্রী দেখতে পাই আমার মনের আয়নায়। ভীষণ অনুভব করি সেই হরিণীচোখের মেয়েটিকে। ওর সম্মোহনী চাহনি আমার সমগ্র সত্তাকে দখল করে নেয় এক নিমেষেই। আমার আর মন বসে না লোড এনালাইসিসের জটিল ক্যালকুলেশনে। ও জীবন্ত হয়ে উঠে আমার চোখের ’পরে; যেন হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দিতে পারি। কিন্তু ও ধরা দেয় না। হৃদয়ের খুব কাছকাছি এসেও ও ফিরে যায়……থেকে যায় দূরের মানুষ হয়েই……
কোনো এক প্রচণ্ড নার্ভাসনেসের মুহূর্তে ভুল করে সান(SUN)কে ‘শান’ বলে ফেলেছিলো। তারপর থেকে পিতৃ-মাতৃপ্রদত্ত আসল নামের চেয়ে ওর এই ভুলে সৃষ্ট ‘শান’ নামটাই আমার কাছে বেশী প্রিয় হয়ে উঠলো। আর সেইথেকে…….
“আই ফিল শী ইজ দ্য সান অন দি স্কাই অব মাই হার্ট”
ওকে ভালো লেগে গিয়েছিলো সেই প্রথমদিনেই। তারপর অনেকদিন কেটে গেছে। একসাথে একপথে চলাও হয়েছে ঢের। কিন্তু সম্পর্কটা তবু বন্ধুত্বের চেয়ে বেশী কিছু হতে পারে নি। এর জন্য সামাজিক বাধা যেমন দায়ী, একইসাথে আমার কাপুরুষতার ভূমিকাও বোধকরি কম নয়। আর তাই……
শুভ জন্মদিন শান! সর্বশক্তিমান, সর্বনিয়ন্তা বলে যদি কেউ থেকে থাকেন তো সেই মহান বিধাতার কাছে শুধু এটুকুই প্রার্থনা করি, তুমি ভালোয় থেকো, ভালোবাসায় থেকো সারাটা জীবন। তোমার জীবনের এই বিশেষ দিনটিতে এক কাপুরুষ প্রেমিকের পক্ষ থেকে তোমার তরে এটুকুই চাওয়া…………

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


