সকালে অফিসে এসেই দুঃসংবাদটা শুনলাম......মান্নাদে আর নেই... কফি হাউজের সেই আড্ডাটা সত্যিই আজ থেমে গেল...
ব্লগে অনেকই এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লিখবেন.... তার জীবনী নিয়ে আলোচনা হবে... তাই আমি আর সেই দিকে যাব না...
আসুন দেখি মান্না দে'র..... সেই বিখ্যাত কফি হাউজের কিছু ছবি....
০১.
কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনের রাস্তার ওপারে ই কফি হাউজ অবস্থিত... প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনের রাস্তাকে বলে কলেজ ষ্ট্রীট... এটা আমাদের দেশের নীলক্ষেতর মত একটা অবস্থা.. রাস্তার পাশে ছোট ছোট বইয়ের দোকান.. বেশীরভাগ পুরাতন বই বিক্রি হয় এখানে...তবে এখানে অনেক দূষ্প্রাপ্য বই পাওয়া যায়...বইএর জন্য জায়গাটা বিখ্যাত বাজার।
০২.
এই সেই বিখ্যাত কফি হাউজের সাইনবোর্ড...
০৩.
কফি হাউজের সাইবোর্ড ও বিল্ডিং। বাহির থেকে দেখতে অত্যন্ত পুরনো আর জরাজীর্ন অবস্থা। এই কফি হাউজ নিয়েই "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই.." গানটা লিখা হয়েছিল...
০৪.
রাস্তা থেকে বোঝার উপায় নেই এর ভেতরে বিখ্যাত কফি সপ আছে।
কফি হাউজ যে ভবনে অবস্থিত তার নাম "এ্যালবার্ট হল" এই ভবনের দোতালায় কফি হাউজ অবস্থিত...
০৫.
নীল দরজাটাই হল কফি হাউজের প্রবেশ পথ। এ দিক দিয়েই প্রবেশ করতে হবে।
০৬.
নীল দরজাতে প্রবেশের পর দোতালাতে কফিহাউজে যাবার সিড়ি। এখানে বলা রাখা দরকার যে, কফিহাউপ শপটি বিল্ডিংএর দোতালাতে অবস্থিত।
০৭.
এই সিড়ি দিয়ে দোতালায় চলে যান। সিড়িটা ভয়ানক নোংড়া
০৮.
ওই যে ডানে যে দরজাটা দেখছেন, এটা দিয়ে প্রবেশ করুন।
০৯.
কফি হাউজে প্রবেশ দরজা।
১০.
তিনতলায় যাবার সিড়িতে দাড়ালে কফিহাউজের দরজাটা দেখা যাচ্ছে।
১১.
এই সেই কফি হাউজের ভেতরের ব্সার স্থান।
১২.
কফি হাউজের ভেতরের কফি খাবার ও বসার স্থান...
কফি হাউজের একটু বর্ননা না দিলেই নয়, এটা মূলত একটা বিশাল বাড়ির দোতালায় অবস্থিত একটা হল রুমের মত স্থান... যে হল রুমটা বাড়িটির দোতালা ও তিন তলা মিলে হলরুমটি তৌরি হয়েছিল... এটা মূলত ছিল "এ্যালবার্ট হল" নামের একটি হল রুম.. যেটা অতীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছিল... পরবর্তীতে হলটি "কফি হাউজ" রেষ্টুরেন্টে পরিতন হয়...
১৩.
১৪.
১৫.
১৬.
১৭.
কফি হাউজের ওয়েটার।
১৮.
কফি হাউজের রাজকীয় ড্রেস পরা ওয়েটার... নিজেকে তখন রাজা রাজ লাগে...
১৯.
২০.
আহ .. এই সেই কফি হাউজের বিখ্যাত কফি....
২১.
২২.
২৩.
২৪.
কফি হাউজের চার পাশের দেয়ালে এই রকম বিভিন্ন প্রকার দৃষ্টি নন্দন ওয়েল পেইন্ট লাগানো রয়েছে...
২৫.
কফি হাউজের চার পাশের দেয়ালে কিছু দূরে দূরে এই রকম বিভিন্ন প্রকার দৃষ্টি নন্দন ওয়েল পেইন্ট লাগানো রয়েছে...
২৬.
চারপাশের দেয়ালের অনেকগুলো ছবি আলাদা করে না দিয়ে একটা ছবিতে এক করে ছবি গুলো দেখালাম। ছবি গুলো প্রতিটি মুলত ওয়ালের কিছু দূরে দূরে লাগানো আছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ছবি গুলো।
২৭.
এটা রবিন্দ্রনাথের এটা ফুল সাইজ ছবি.. যেটা কফি হাউজের পেছন দিকের ওয়ালে লাগানো রয়েছে..
২৮.
২৯.
বিল্ডিংএর ৩ তলা যেটা কিনা হল রুমের দোতালা, সেখানে প্রবেশ করলে দেখা যাবে যে এটা মূলত একটা লবির মত বারান্দা টাইপ জায়গা, এখানেও বসে কফি খাবার ব্যবস্থা আছে।
৩০.
এই বারান্দা দিয়ে হল রুমের মোটামোটি চারপাশে ঘুরে যাওয়া যায়।
৩১.
দোতালা lobby থেকে কফি হাউজের ভেতরের ছবি..
৩২.
৩৩.
দোতালার চারপাশের বারান্দা থেকে নিচের দৃশ্য।
৩৪.
৩৫.
৩৬.
৩৭.
৩৮.
দোতালা থেকে কফিহাউজের পেছনে কর্মচারীর থাকা ও বিশ্রামের রুম দেখা যাচ্ছে।
৩৯.
খাবারের মেনুর মুল্যা তালিকা।
৪০.
খাবার শেষে বিলটা দিয়ে যাইয়েন....
বিঃদ্রঃ লিখাটা গত সপ্তাহে মান্নদের মৃত্যুর দিনে লিখা শুরু করেছিলাম। অলসতার কারনে এতদিনে শেষ করলাম। তাই প্রথম লাইন পড়ে কেউ ভুল বুঝবেন না। (সকালে অফিসে এসেই দুঃসংবাদটা শুনলাম...)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১২