অনেকে বলে একাকিত্ব অনেক যন্ত্রণার। কিন্তু আমি আজ বলতে পারি একাকিত্ব অনেক শান্তির। এখানে নেই কোন ঝামেলা, নেই কোন স্বপ্ন ভাঙ্গার যন্ত্রণা, নেই কাউকে কোন কষ্ট দেবার অনুশোচণা, নেই কারো প্রত্যাশা পূরণের আশাটুকু নষ্ট করা।
বাবা-মা চাই আমি যেন তাদের কথামত চলতে পারি।
প্রেমিকা চাই আমি যেন ওকেই সবচেয়ে বেশী ভালবাসি।
বন্ধুরা চাই আমি যেন বন্ধুত্বের ঘাটতি না রাখি।
সমাজ চাই আমি যেন সামাজিক হতে পারি।
কলেজের ছোট্ট ছেলেটা চায় (যে ভিক্ষা করে) আমি যেন ওকেই ভিক্ষা দিই।
নদীর পাড়ের মেয়েটি (যে ভিক্ষা করে) চায় চকলেট অথবা দুই টাকা যেন ওই-ই পাই।
শিক্ষকরা চাই আমি যেন ওদের দেখানো পথে চলি অন্য পথে নয়।
কত!! চাওয়া-পাওয়া !!!!
এদের চাওয়া-পাওয়ার ভিড়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে আমার চাওয়া-পাওয়া গুলো।
বাবা-মা, প্রেমিকা, বন্ধু, সমাজ, শিক্ষক ওদের কাছে যে আমার কিছু চাওয়ার থাকতে পারে। ওদেরকে নিয়ে যে আমার স্বপ্ন থাকতে পারে, থাকতে পারে বেঁচে থাকার আশা, স্বপ্ন, শক্তি।
কেউ জানার চেষ্টা করলো না তাদের কাছে আমি কি চাই!
বাবা-মা এর কাছে আমার কিছু চাইবার থাকতে পারে।
প্রেমিকার ভালবাসা আমারও একটু প্রয়োজন থাকতে পারে।
সমাজের কাছে সামাজিক হবার সুযোগটুকু চাইতে পারি।
বন্ধুদের কাছে মনের না বলতে পারা কষ্টগুলো বলতে ইচ্ছা করতে পারে।
সবাই যে আমার কাছে চাই, আমি চাইবো কার কাছে????
থাক এসব চাওয়া-পাওয়া, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি গুলো
এতসবের ভিড়ে না থেকে একা থাকাই ঢের ভাল। সবাই ভ্রু কুঁচকে বলবে ”বেয়াদপ!!কারো কথা শোনে না।” হোক না এইটুকু বদনাম।
তাওতো পরম শান্তিতে একা থাকা যাবে।