ইসলামের নামে আজ কলংকিত আমার বাংলা মুসলিম নামধারী কিছু উগ্র পন্থীরা ব্যাস্ত এদেশকে ধ্বংস করার জন্য। তারা কি নিচের এই হাদিস গুলো পড়েনি নাকি তার শিক্ষক এই শিক্ষা দেয় নি। কিসের লালসাতে তারা আজ বাংলা ধ্বংসে লিপ্ত।
ধামুন ক্ষান্ত হোন আপনারা । দেশ কে বাঁচান, ইসলামের সম্মান ও রাখুন।
১।
পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ‘‘ভূখন্ড হিসেবে তুমি কতই না উত্তম, আমার কাছে তুমি কতই না প্রিয়। যদি আমার স্বজাতি আমাকে বের করে না দিতো তবে কিছুতেই আমি অন্যত্র বসবাস করতাম না।’’ (জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৯২৬
২।
হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি খেদমতের নিয়তে রাসূলের সাথে খায়বার অভিযানে গেলাম। অতঃপর যখন অভিযান শেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন, উহুদ পাহাড় তাঁর দৃষ্টিগোচর হল তিনি বললেন, এই পাহাড় আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও একে ভালবাসি। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৮৮৯)
৩।হযরত আনাস রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, দূর থেকে মদীনার জনপদ নজরে আসতেই তিনি তাঁর উটনীর গতি বাড়িয়ে দিতেন, অথবা কোনো চতুষ্পদ জন্তুর উপর থাকলে তাকে নাড়াতে থাকতেন। বস্ত্তত মদীনার প্রতি ভালবাসার দরুনই তিনি এমনটি করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮০২)
তাই দেশকে ভালোবাসুন কারও স্বার্থ হাসিল করার জন্য দেশকে আঘাত করবেন না। ইসলামের নামেও কোন অসামাজিক কার্যকলাপ করবেন না।
এই দেশে কোনো ধর্মীয় দাঙ্গা নেই। আছে অভূতপূর্ব ধর্মীয় সম্প্রীতি। মসজিদে আজান হলে মন্দিরে উলু ধ্বনি হয়। মসজিদ মন্দির পাশাপাশি অবস্থান করলেও কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটে না। যা ঘটে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শান্তিপ্রিয় এই সমাজ ব্যবস্থার প্রধানত কারণ বাঙালি ধর্মপ্রিয় জাতি।