somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর সেরা বিলাসবহুল কিছু ট্রেন - শেষ পর্ব

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আগের পর্ব পরতে এখানে ক্লিকান

4. The Eastern and Oriental Express Southeast Asia


ওরিয়েন্ট গ্রুপের এশিয়ান ভার্সন ট্রেইন। এটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত আসা যাওয়া করে । ওরিয়েন্টাল কোম্পানি ১৯৯২ সালে ট্রেনটি চালু করে এবং এখন পর্যন্ত খুব সুনামের সাথে পরিচালনা করছে। মুলত বগি গুলো তৈরি করেছিল জাপানিরা এবং ব্যাবহার করত নিউজিল্যান্ড রেইলওয়ে স্লিপার সার্ভিস হিসাবে ১৯৭৫ এর দিকে। পরে ওরিয়েন্টাল গ্রুপ পুরনো বগি গুলোকে কিনে নিয়ে নতুন করে আবার ইন্টেরেয়ির রিডেকোরেট করে।


এখানে তিন ধরনের টিকেট পাওয়া যাবে। প্রতিটি টিকেটে দুটি করে আলাদা রুম থাকবে। একটি দিনের বেলায় বসবার জন্য এবং একটি রাতে ঘুমানোর জন্য। দিনের বেলার রুমে থাকবে ডাবল-সোফা, টেবল-চেয়ার এবং অবশ্যই কিছুটা স্পেস। রাতের বেলায় থাকবে দুটি সিঙ্গেল বেড অসাধারন ইন্টেরিয় কাজ করা একটা রুমের ভিতরে।


উপরের ছবির রুম দুটি প্রথম শ্রেনির সার্ভিসের একটি রুম। আমার মনে হয় না আর বিস্তারিত কিছু বলার প্রয়োজন আছে এগুলো নিয়ে। ট্রেনটিতে আগেরটির মতই একটি অবজারভেশন কার, একটি বার কার, তিনটি ডাইনিং কার এবং ১২টি স্লিপিং কার রয়েছে।


এই ট্রেনটির আর একটি আকর্ষনীয় দিক হচ্ছে এখানকার অবজারভেশন কারটি ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যাত্রিদের চোখে সর্বোচ্চ পরিমানের বাইরের দৃশ্য দৃশ্যমান হয়। যেহেতুএখানকার বেশিরভাগ যত্রিই ইউরোপ অথবা আমেরিকার হয়ে থাকে তাই তাদের জন্য এধরনের একটি অবজারভেশন কার নিত্তান্তই প্রয়জোন।


এই ট্রেনটির আর একটি আলাদা বিশেষত্ব হচ্ছে এর খাবার এর মেনু এবং তার স্বাদ। যারাই এই ট্রেনটিতে ভ্রমন করেছে তারাই এর খাবারের ভুয়সী প্রসংসা করেছেন। উপরের ছবিতে সকালের নাস্তার আইটেম দেখা যাচ্ছে।

3. The Palace on Wheels India
মুলত ব্রিটিশ কোম্পানি প্যালেস টুরস এর আন্ডারে ইন্ডিয়ান রেইলওয়ে এই বিশাল দক্ষযগ্যটি পরিচালনা করে থাকে। প্যালেস ট্যুরস এর সাব ডিভিশন কোম্পানি হচ্ছে প্যালেস অন হুইলস ইনকর্পরেশন। এই কোম্পানিটি ইন্ডিয়াতে চারটি ট্রেন পরিচালনা করে প্যালেস অন হুইলস , রয়েল রাজস্থান অন হুইলস, মহারাজা এক্সপ্রেস, ডেকান ওডিসি। যেহেতু ট্রেনগুলো আমারদের পাশের দেশেই তাই প্রত্যেকটার একটু আলাদা ডিটেইলস দিতে চাচ্ছিলাম।
ক) প্যালেস অন হুইলস


আসলেই একটা আস্ত প্যালেস ট্রেনের ভিতরে সাজানো হয়েছে। এটি মুলত পরিচালনা করে ইন্ডিয়ান রেইলওয়ে এবং রাজস্থান টুরিজম যৌথভাবে। মুলত এই ট্রেনটি চালু হয় ১৯৮২ সালে। কিন্তু নতুন করে ২০০৯ সালে আবার ইন্টেরিয়র রিডেকোরেট করে চালু করা হয়। এটি একটি ৭ রাত এবং ৮দিনের রাউন্ড ট্রিপ। প্রথমদিন নিউদিল্লি, দ্বিতীয় দিন জয়পুর, তৃতীয় দিন মাধপুর এবং চিত্তাগর, চতুর্থ দিন উদয়পুর, পঞ্চমদিন জয়সালমির, ষষ্ঠ দিন জোধপুর, সপ্তমদিন ভরতপুর এবং আগ্রা, অস্টম অর্থাৎ শেষ দিন আবার দিল্লিা ফেরত আসে।


মুল ট্রেনটি ডিজাইন কর হয়েছে গুজারাটের রাজপুত, হায়দ্রাবাদের নিজাম এবং ব্রিটিশ ভাইসরয়দের রাজপ্রাসাদগুলোর ডিজাইনকে অনুসরন করে। প্রতিটা বগির নাম রাখা হয়েছে তখনকার রাজপুতদের স্টেটগুলো নাম অনুসারে যেমন, ভরতপুর, ভুন্ডি, ধলপুর, দুঙ্গাগর, জয়সালমির, জয়পুর, জোধপুর, কোটা, সিরহি ইত্যাদি। দুটি ডাইনিংকার রয়েছে একটির নাম দ্যা মহারাজা এবং একটির নাম দ্যা মহারানি। আপনার ছবিতে দেখছেন দ্যা মহারাজা।


প্রতিটি বেডরুম ডিজাইন করা হয়েছে বগির নামের উক্তস্টেটের রাজপুতদের বেডরুম গুলো অনুসরন করে। এখানে আপনি রাজপ্রাসাদের বিলাসবহুলতা পুরোপুরি ভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এছারাও এখানে একটি বার কাম লাউঞ্জ কার এবং আলাদা একটি স্পাকারও আছে। টিকেট খরচ ২.৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পরবে।

খ) রয়েল রাজস্থান অন হুইলস


একই কম্পানির প্রায় একই রুটে চলাচল কারি আর একটি বিলাসবহুল ট্রেইন। তবে ভিতরকার ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং অন্যান্য সার্ভিসে কিছুটা ডিফারেন্স আছে। তবে এই ট্রেনে রাজস্থানের ট্যুরিজমের উপর মানে ওখানকার টুরিস্ট স্পটগুলো কে বেসি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এটিও একটি ৮দিন এবং ৭ রাতের ট্যুর যেটি শুরু হবে দিল্লি স্টেশন থেকে এবং শেষ হবে আগ্রার তাজমহর দর্শনের মাধ্যমে। ট্রেনটি চালু করা হয় ২০০৯ সালে যখন প্যালেস অন হুইলস প্রচুর সারা ফেলে এবং জনপ্রিয়তা পায়।


এই ট্রেনটির আলাদা বিশেষত্ব হচ্ছে এই স্যুইট গুলো নাম এবং তার সাথে ম্যাচ করা কালার। উপরের ছবির বেডরুমটি সবচেয়ে দামি। এটির নাম সুপার ডিলাক্স স্যুট। এই ধরনের একটি বেডরুমে আপনি পাবেন ফ্রি ওইফাই ইন্টারনেট, ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, টেম্পারেচার কন্ট্রোল এবং আরো অনেক সুবিধাদি।


এখানে তিন ধরনে আলাদা বেডরুম পাওয়া যাবে বিভিন্ন দামি পাথরের নামে। প্রথম টাইপের বেডরুমটির নাম মুক্তা বেডরুম। এবং এর ডিজাইন করা হয়েছে মুক্তার রঙে। দ্বিতীয় টাইপের বেডরুমের নাম নিলকান্তমনি এবং এই বেডরুম গুলোর রঙ করা হয়েছে নিলকান্তমনির রঙে।(উপরের ছবিতে দ্রস্টব্য)


এবং তৃতীয় বেডটির নামকরন করা হয়েছে রুবি এবং কালার করা হয়েছ পুরোপুরি রুবি পাথরের রঙএ। এই ট্রেনে ১৪ টি বেডরুমওয়ালা কোচের নাম দেয়া হয়েছে রাজস্থানে অবস্থিত রাজপুতদের রাজপ্রাসাদের নামে। যেমন হাওয়া মহল, পদ্মিনি মহল, কিশোরি মহল,ফুল মহল এবং অত্যান্ত লাক্সারিয়াস তাজ মহল।


দুইটি রেস্টুরেন্ট কার মানে ডাইনিং কার আছে যার একটির নাম শাম মহল এবং অন্যটির নাম শিষ মহল(উপরের ছবি)। শাম মহলটির ডিজাইন করা হয়েছে তামা এবং স্বর্নের কালার কে বেইজ হিসাবে। এবং শিষ মহলের কালারের বেইজটা আপনার বের করেন।

গ) মহারাজা এক্সপ্রেস


এটি চালুকরা হয় ২০১০ সালে আগের ট্রেনদুটির ব্যাপক সাফল্যের পরে। এবং এই ট্রেনটিতে আগের ট্রেনদুটির সকল ভুলত্রুটি গুলো সংশোধন করে আরো আধুনিক এবং বিলাশবহুল করা হয়েছে। ২০১২ সালে এই ট্রেনটি ৫ টি আলাদা ট্যুরের আয়োজন করে। এর মধ্যে তিনটি সপ্তাহ ব্যাপি এবং ২ টি তিনদিন ব্যাপি। তবে এর মুল রুটটি হচ্ছে মুম্বাই থেকে আগ্রা পর্যন্ত। কারন ট্রেনটি মুম্বাই বেইজ ট্রেইন। ট্র্রনটিতে সর্বোমোট ২৪টি বগি রয়েছে যাদের মধ্যে ৫ টি ডিলাক্সস্যুট কার, ৬ টি জুনিয়র স্যুট, ২ টি নরমাল স্যুট, ১ টি প্রেসিডেন্টসিয়াল স্যুট কার, ১ টি বার কার, ১ টি লাউঞ্জ কার, ২ টি রেস্টুরেন্ট কার, ১ টি কিচেন কার, ১টি স্টাফ কোচ, এবং একটি কোচ রয়েছে শুধু মাত্র ম্যানেজার দের জন্য। মজার ব্যাপার হল এই বিশাল ট্রেনটিতে যাত্রি সংখ্যা মাত্র ৮৪ জন। তবে


উপরের ছবিটি ভাল করে লক্ষ করলে দেখবেন ভিতরের একটি খুব বিলাশবহুল বেডরুম, তার সামনে ড্রইংরুম এবং এর সাথে এটাচ একটি বাথ রুম এবং একই সাথে একটি টুইন বেডরমও রয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল এই স্যুটে। এই স্যুটটি পুরো একটি বগি নিয়ে বানানো। মানে ৪ জন সদস্যের একটি পুরো পরিবার খুব রাজকীয় ভাবে এই স্যুটে ভ্রমন করতে পারবে।


দুটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে মহারাজা এক্সপ্রেসএ। উপরের টির নাম ময়ুর মহল। ময়ুর মহল মুঘল সম্রাটদের খুব বিলাশবহুল একটি খাবারের ঘর ছিল। এখানে যে খাবার গুলো পরিবেশন করা হয় সেই ময়ুর মহলকে ফলো করে তৈর করা হয়। মানে রাজাদের খাবার আরকি। এই ডাইনিং কারটি ডিজাইন করা হয়েছে ময়ুরের পেখমের স্টাইলে।


আর এটা হচ্ছে আর একটি ডাইনিং কার রঙমহল। এটিও ছিল সম্রাটদের খাবারের ঘর। ডিজাইন করা হয়েছে ঠিক সেই পুরানো রঙমহলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। দুটি কারে একসাথে ৪২ জন করে খেতে পারে। তার মানে একসাথে সকল যাত্রিদের খাবার সার্ভ করা হয় এখানে।
ঘ) ডেকান ওডিসি


এটি প্যালেস অন হুইলস এর সাথেই বানানো। প্রায় একই রকম একোমেন্ডশন রয়েছে এই ট্রেনটিতে। এই ট্রেনটি মুলত মুম্বাই বেইজড ট্রেইন। এটি প্রতি বুধবার মুম্বাইথেকে ছারাবে ৭ দিনের ট্যুর এর জন্য। মহারাস্ট্র রাজ্যে পুরো কোস্টাল এরিয়া প্রায় ১০০০ মাইল ঘুরবে এবং থামবে প্রায় অনেক গুলো টুরিস্ট স্পটে।


এখানে মুলত দুই ধরনের স্যুট রয়েছে একটা প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট(উপরের ছবি)। এই স্যুটে রয়েছে একটি বেডরুম, এটাচ বাথরুম, ড্রইংরুম।


এছারাও রয়েছে নরমাল স্যুট যেখানে রয়েছে ডাবল বেড এবং এটাচ বাথ। মুম্বাই এর ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি খেয়াল রেখে ডিজাইন করা হয়েছে প্রতিটি স্যুট।


দুটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে পেশওয়া-১ ,২ নামে। দুটি কারই একই ডিজাইন করা এবং একই সাথে ৪২ জন করে যাত্রি খাবার খেতে পারে। এখানকার সকল খাবার এর মেনু সাউথ ইন্ডিয়ান হয়ে থাকে।

2. The Blue Train South Africa


দক্ষিন আফ্রিকার একটি বিলাশবহুল ট্রেন এটি। এই ট্রেনটি চালুকরা হয় আজ থেকে ৯১ বছর আগে ১৯২৩ সালে। তখন ট্রেনটি জোহেন্সবার্গথেকে ইংল্যান্ড এ যাওয়া যাত্রিদেরকে জাহাজঘাট পর্যন্ত বহন করত। বেশিভাগ যাত্রিই থাকত ইংরেজ ভদ্রলোকরা এবং তারা ছিল পুরো দেশটির মালিক এবং দেশের সকল স্থানিয় অধিবাসিরা ছিল তাদের দাস। তাই ট্রেটিতে ছিল অসম্ভব রকমের বিলাশবহুলতা। আজ সেই মালিকরা আর নেই, আজ সেই দাসরাও আর নেই। আজ আছে মেন্ডেলার উত্তরসুরিরা এবং এই ট্রেনটি। যার ভিতরকার ডিজাইন আজও মনে করিয়ে দেয় এই দেশটির কালো মানুষদের উপর অত্যাচারকারি ইংরেজদের বিলাশবহুল জীবনযাপনের কথা। বর্তমানে ট্রেইনটি একটিমাত্র রুট কাভার করে আর সেটি হল কেপটাউন থেকে প্রিটোরিয়া পর্যন্ত। প্রায় ১৬০০ কিমি পথ পারি দেয় এই জার্নিতে। মুলত দুইটি ট্রেন চলে আপ ডাউন ভিত্তিতে। একটিতে ৩৭ টি রুমে ৭৪ জন গেস্ট নেয় আর একটিতে ২৯ টি রুমে ৫৪ জন গেস্ট নেয়।


এই ট্রেনটির সবচেয়ে আকর্ষনিয় দিক এর ইন্টেরিয়র নয়। তারপরও আমি চেস্টা করেছি কিছু ইন্টেরিয়র দেখানোর জন্য। অসাধারন এই বেডটির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর এর উপরে হবে। না দেখলে কেও বিশ্বস করবে না। আরাম দায়ক এই খাটগুলো তখনকার সাউথ আফ্রিকার একটা সম্মানের বিষয় ছিল। এখনো অনেক ইংরেজের বাসভবনে এই খাটগুলো শোভাবর্ধন করছে।


বিশাল এই স্যুটটির ঠিক অপর প্রান্তে এই সোফাটি রয়েছে এবং এর সামনে রয়েছে একটি টেবল। মাঝে মধ্যে ভাবি কেমন হতে পারে এইরকম একটা ট্রেনের মধ্যে একটা ট্রিপ। লাইফ টাইম এড্ভেঞ্চার।


একসাথে ৪২ জন লোক বসে এখানে খেতে পারবে এই ডাইনিং রুমে। প্রশ্ন জাগতে পারে ফার্নিচার গুলো এত পুরোনো কেন?? কারন একটাই। সেই ইংরেজদের ফার্নিচারগুলোই রাখা হয়েছে শুধু মাত্র তাদের সেই বিলাশবহুলতা এবং অত্যাচারিতার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য।


লাউঞ্জ গুলোতেও একই রকম ব্যবস্থা তবে এখানে আলাদা ক্লাব কার, লাউঞ্জ কার, এবং একটি কনফারেন্স কার রয়েছে। ক্লাব কারটিতে রয়েছে স্মোকিং এর ব্যাবস্থা, ড্রিংকস এবং বার এর সুবিধা, লাউঞ্জ কারটিতে রয়েছে খুব রিচ একটি লাইব্রেরি যেখানে বসে আপনি অসাধারন একটি সময় কাটাতে পারবেন। আর কনফারেন্স কারটিতে রয়েছে মিটিং করা এবং ফ্যামিলি পার্টি করার জন্য আলাদা আলাদা সুবিধা।
তবে এই ট্রেনটি সবসময়ই দক্ষিন আফ্রিকার দাশ প্রথার কথা স্বরন করায়, অত্যাচারি ইংরেজদের কথা স্বরন করায় আর স্বরন করায় নেলসন মেন্ডেলার কথা যিনি এই সাদা চামরাদের হাত থেকে সত্যিকারের মুক্তিএনে দিয়েছিলেন।

1. Pride of Africa Namibia Safari


এটি মুলত Rovos Rail নামক একটি ব্যাক্তি মালিকানাধিন কোম্পানি। ১৯৮৯ সালে Rohan Vos নিজ নামে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানিটির আন্ডারে বেশ কয়েকটি ট্রেইন সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া এবং তানজানিয়াতে চলাফেরা করে। তবে এই ট্রেনটি এর মধ্যে সেরা। এটি একটি ৯ দিনের ভ্রমন যা শুরু হবে নামিবিয়া থেকে এবং শেষ হবে সাউথ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া পর্যন্ত। প্রায় ২০০০ কিমি পথ পারি দেয়া হয় এসময়। প্রশ্ন হচ্ছে এই ট্রেনটি কেন ১ নম্বর? উত্তর হল Etosha National Park নামক ২২২৭০ স্কয়ার কিমির এই বিশাল বন্যপ্রানি সংরক্ষন অঞ্চল। পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ বন্যপ্রানি সংরক্ষন অঞ্চল গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। পুরো অঞ্চলটি নামিবিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার একটা বিশাল এলাকা জুরে রয়েছে। এখানে রয়েছে হাতি, জিরাফ, গন্ডার, সিংহ, জেব্রা, বন্য মহিস, হায়েনা, শিয়াল, বিভিন্ন প্রজাতির সুন্দর সব হরিন, অস্ট্রিচ, সাদা গন্ডার সহ প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি। এছারা দেখতে পাবেন আফ্রিাকর বিভিন্ন গোত্রের আদিবাসিদের। এত বিশাল একটা জিবন্ত সাফারি পার্ক এরকম একটা বিলাশবহুল ট্রেনে চলে দেখাটা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। হয়ত আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পাবেন একটা সিংহ দারিয়ে আছে ঠিক আপনার জানালার পাশেই। আরো জানতে ক্লিক করুন এখানে অথবা এখানে


বাইরের এত সুন্দর সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য ট্রেনের ভিতরে সাজানো হয়েছে আরো সুন্দর করে। এর প্রথম শ্রেনির স্যুট গুলো প্রায় ১৭২ স্কায়র ফিট যা কিনা প্ররো অর্ধেক বগি জুরে রয়েছে। এতে রয়েছে একটি মাস্টার বেড, ড্রয়িংরুমএর সাথে সোফা, এবং একটি ভিক্টোরিয়া ক্লাসের বাথরুম। জানালা গুলো কার হয়েছে বিশেষ ভাবে অনেক বড় করে যা অন্যান্য ট্রেনে পাওয়া যায় না স্পেশালি সাফরি পার্কের পুরো দৃর্শ বেডরুমে বসে উপভোগ করার জন্য।


এর ডাইনিং কার গুলো ডিজাইনের থেকে বেশি ভাল সার্ভিস। উপরে বর্নিত সমস্ত ট্রেইনে ভ্রমনকারিরা এক কথায় এই ট্রেনটির ডাইনিং সার্ভিসকে এক নাম্বার দিয়েছেন। খাবারের মান এবং সাথে অসাধারন সব মেনু হতবাক করে দেয় ভ্রমনকারিদের।


এই ট্রেনের একদম শেষে দুইটি অজারভেসন কার আছে। একটি লাউঞ্জ এর মত করে ব্যবহৃত হয় একটি পুরোপুরি অবজারভেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কারন সাফারি পার্কে যখন ট্রেন প্রবেশ করে তখন যাত্রিরা বেডরুমে বসার চেয়ে এখানে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।


উপরের ছবিটা দেখার পর মনে হয় না আর আপনাকে বুঝাইতে হবে এদের রুম সার্ভিস কোন পর্যায়ের।;)


বাপরে। ঘাম ছুইটা গেছে এত এত ইনফো পরতে পরতে। পোস্ট কেমন লাগল জানাবেন।

আর যাওয়ার আগে একটা সুখবর সুইনা যান। ব্লগের মালকিন জানা ম্যাডামের স্টিকি পোস্টে ব্লগার কালবৈশাখিরে বালবৈশাখি বলার অপরাধে আমারে প্রোমশন দিয়ে মিনারেল থেকে জেনারেল পদে উন্নতি দেয়া হয়েছে। তই সবাই একটা কইরা স্যালুট দিয়া যাইয়েন। :P
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
২৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×