somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ভাবে কারবাইড দিয়ে ফল পাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা

৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘বাজারে যত আম পাবেন তার সবই কারবাইড দিয়ে পাকানো । কোনো দোকানেই বিষ ছাড়া আম পাবেন না। হউক সে আল্লার কিরা কাটা, দাড়ি, টুপি আলা লোক’। - এ কথা বললেন পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের আম দোকানের কর্মচারী, রাতে বাড়ি ফেরার পথে আলাপ চারিতায়।

তিনি জানালেন কারবাইড, ক্যামিকেলের দোকানে যে কেউ যে কোন সময় কিনতে পারে। ২৫০ টাকা কে.জি। রং কিছুটা খয়রী, পাথরের মত শক্ত। আমের খাঁচি ভাল করে পেপার দিয়ে মুড়ায়ে বাতাস চলা চলের পথ বন্ধ করে, তার ভেতর দু্‌ই তিন জায়গায় পরিমান মত কারবাইড দেয়া হয়। দুই এক দিনেই পাকাতে চাইলে পরিমাণ বেশি দিতে হয়। কারবাইডের প্রভাবে খাঁচির ভেতরের বাতাস খুব গরম হয়ে একটা গুমট বাষ্প হয়, যা আমে জাগ আসতে সাহায্য করে। কিন্তু তাড়াতাড়ি পাকাতে গেলে লসও আছে। যে আমগুলি কারবইডের কাছে থাকে সে গুলি পুড়ে এতই শক্ত হয় যে আমের উপড় উঠে দাঁড়ালেও সে পুড়া আম চ্যাপ্টা হয় না, বা, গলে না। পুড়ে যাবার অর্থ, কাল হয়ে যাওয়া না; অতিরিক্ত গরমে উপরের চোচা কুঁকড়ে গিয়ে ভেতরে শক্ত হয়ে যাওয়া। কারবাইড দেওয়া আমের গা প্রথম দুই এক দিন কাঁচা পাকা (ডাকর / ডাসা ) দেখায়, কিন্তু টিপ দিলে বুঝা যায় ভেতরে পেকে নরম হয়ে গেছে। গায়ে গত দুই এক দিন আগে বোটা ভাংগার কষ থেকেই যায়। ক্রেতাদের কাছে এ অবস্থায় গাছ পাকা আম বলে বিক্রীর খুব সুবিধা। এর আর একটা সুবিধা আছে সহজে পচে না । যত দিন যেতে থাকে ততই এর চোচা না পচে, কুঁচকায়ে আসে। কারবাইড ছাড়া আমের চামড়া ওভাবে না কুঁচকায়ে পচন ধরে।

বাজারে কম বেশি সব ফলই এই বিষ দিয়ে পাকানো হয়। কখনো পানিতে ফল চুবায়ে তোলা হয়, কখনো পানিতে গোলায়ে ছিটায়ে দেয়া হয়।

মাঝে মাঝে ধরপাকর শুরু হয়, তখন নাম মাত্র এসব দেওয়া বন্ধ হয়। তবে আমরা যারা দোকানে কাজ করি সহজে এসব আম খাই না, কারণ; প্রতি দিন কারবাইডে পুড়ে যাওয়া আম বাছাই করে যখন ফেলতে যাই, তখন মনে হয় এ বিষ আমাদের দেহে ঢুকে এই রকম করে ভেতরে নষ্ট করে দিতে পারে।

উপরের আলচনার পরে তাই ব্লগার ভাইদের গাছ লাগায়েই ফল খাবার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর সে উপায় যদি না থাকে, তবে; টাকা দিয়ে বিষ না কেনাই উত্তম।
[url]http://www.somewhereinblog.net/blog/baue/editpost/28973010[/url]
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×