জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবু অালা মৌদুদি সাহেব উকালতি পেশাকে অতি জঘণ্য পেশা বলে আখ্যায়িত করেছেনে। তিনি হারাম উপার্জন কারীকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যথা: ১) বেশ্যা ২) উকিল ও সুদখোর। তিনি উকিলের মুহরীর উপার্জনকেও হারাম বলেছেন। উকিলের বাড়িতে খেতেও নিষেধ করেছেন (রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খণ্ড, ১০১ পৃ: বাংলা)। তিনি আরো বলেছেন, একজন উকিল কুফরের উত্তম প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন করে । .... উকালতি খোদায়ী আইনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ও স্পষ্ট বিদ্রোহ (তর্জুমানুল কোরআন. জানুয়ারী ১৯৪৪)।
মৌদুদী সাহেব তার শিষ্যদের উকিল ছাড়াই আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দিয়েছেন (তর্জুমানুল কোরআন, জুলাই-অক্টোবর ১৯৪৪)।
যে উকালতি পেশাকে মৌদুদী সাহেব হারাম করেছেন বাংলাদেশের বার কাউন্সিলে তার দলের উকিলরাই এখন সংখ্যা গরিষ্ঠ। তার অনুসারী সকল যুদ্ধাপরাধীরা এখন গণ্ডায় গণ্ডায় উকিল নিয়োগ করছেন।
কে সঠিক, মৌদুদী সাহেব না তার অনুসারীরা? একজন আইনের ছাত্র হয়ে সবার কাছে আমার প্রশ্ন।
(তথ্য সূত্র: জামায়াতে ইসলামীর বিবর্তন ও প্রসঙ্গ কথা – লেখক আ. ত. ময়মনী)