খবরঃ বাবা-মা হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আদালত ঐশী রহমান (১৭) ও গৃহপরিচারিকা সুমীকে গাজীপুরে কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যাড! ব্যাড!! ব্যাড ডিসিশান।
আপনাদের ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু আমার মতে অন্য কিছু হলে ভালো হতে পারতো।
ঐশী যে কাজ করেছে তাতে তার জন্য দুধরণের শাস্তিই হতে পারতো,
১)তার ফাঁসি
২)কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো
প্রথমটি হলে ন্যায়বিচার হতো। আমজনতার আসলেই তাতে কিছু এসে যেতো না। কারণ ফাঁসি হলেই কি আর ছেড়ে দিলেই কি। মেয়ে মারছে তার বাবা-মা কে। অনেকটা পারিবারিক ঝগড়ার ফলাফলের মতো। তবে !! কি তবে?
একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো। এই যুগের ইয়াবা-টিনেজ-সমাজ বুঝতো থেমে যাবার সময় হইছে। মাথা নষ্ট হয়ে ঘোরের মাঝে থেকেও কাউকে মারলে নিজেও শেষ। আফটার অল জানের মায়া সবার আছে। সবাই যে বাবা মা-কে মারবে তা না কিন্তু। কিন্তু প্রকোপটা কমে যেতো। আতঙ্ক কাজ করতো অন্তত একটূ হলেও। বুক কাঁপতো এইরকম বেঈমান নিমকহারামদের। কিন্তু একটা ঝামেলা হয়ে গেলো, ১৮ এর নিচের সব সাইকোগুলা ভাববে আমি খুন করলেও অন্তত মরবো না। সংশোধন কেন্দ্র থেকে সংশোধিত হয়ে ফিরে আসবো। ব্যাস। আমাকে আর পায় কে। কেল্লা ফতে।
দ্বিতীয়টিই করেছে বিচার বিভাগ। পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আমার আস্থা নাই এই বিচারে। কারণ আমার আস্থা নাই কিশোর সংশোধন কেন্দ্র নামক জায়গাটাতে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর সাথে কিছুটা সময়ের সম্পৃক্ততা থেকে অন্তত এট্টুক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এগুলো একটাও ওয়ার্ল্ড ক্লাস না। মেয়েটা ওখানে যাবে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একজন পার্সন হিসেবে ট্রিটেড হবে। সবাই টিটিকারী মারবে। অত্যাচার করবে। মেন্টালিটির অবস্থা আরো জঘন্য হয়ে যাবে। আমি অবাক হয়েছি মেয়েটার সাম্প্রতিক ছবি দেখে। চেহারায় বিন্দুমাত্র অনুশোচনা কিংবা পাপবোধ নেই।
পৃথিবীর জঘন্যতম কিলার হতে পারবে মেয়েটি। কারন যত বড় খুনীই হোক, সাধারন যেকোন মানুষ এ অবস্থায় পড়লে সারাদিন রাত কাঁদতো, কিংবা পাপবোধে জর্জরিত হতো। অন্তত বুঝতে পারতো কি ভুল করে ফেলেছে সে। তা কিন্তু নাই।
বাংলাদেশের এসব সংশোধন কেন্দ্রে গে বেশী, লেসবো কম। কিন্তু তার মানে এই না যে নাই। মেয়েটাও বিকৃত রূচির হতে বাধ্য।
যে পরিমান ঠান্ডা মাথার খুনী এই মেয়েটা তার জন্য যে পরিমান কনসালট্যান্সী কিংবা মেডিকেশান দরকার, কেয়ার দরকার এই ফ্যাসিলিটি অন্তত বাংলাদেশে নাই। বরং ওখানে উলটাটা হবে। আল্লাহ না করুক, একটা সিরিয়াল কিলার হয়ে বেরুবে এই মেয়েটা। যখন বেরুবে সবাই ভাববে সে সুস্থ হয়ে গেছে।
আমার মতামত, মেয়েটাকে বাইরের দেশের বিশেষ করে ইউরোপের কোন দেশের এরকম সেন্টারে পাঠাবার ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো।