somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবা-মা কে খুন, ঐশীর রায় এবং আমার কিছু কথা...

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খবরঃ বাবা-মা হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আদালত ঐশী রহমান (১৭) ও গৃহপরিচারিকা সুমীকে গাজীপুরে কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

ব্যাড! ব্যাড!! ব্যাড ডিসিশান।
আপনাদের ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু আমার মতে অন্য কিছু হলে ভালো হতে পারতো।

ঐশী যে কাজ করেছে তাতে তার জন্য দুধরণের শাস্তিই হতে পারতো,
১)তার ফাঁসি
২)কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো

প্রথমটি হলে ন্যায়বিচার হতো। আমজনতার আসলেই তাতে কিছু এসে যেতো না। কারণ ফাঁসি হলেই কি আর ছেড়ে দিলেই কি। মেয়ে মারছে তার বাবা-মা কে। অনেকটা পারিবারিক ঝগড়ার ফলাফলের মতো। তবে !! কি তবে?
একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো। এই যুগের ইয়াবা-টিনেজ-সমাজ বুঝতো থেমে যাবার সময় হইছে। মাথা নষ্ট হয়ে ঘোরের মাঝে থেকেও কাউকে মারলে নিজেও শেষ। আফটার অল জানের মায়া সবার আছে। সবাই যে বাবা মা-কে মারবে তা না কিন্তু। কিন্তু প্রকোপটা কমে যেতো। আতঙ্ক কাজ করতো অন্তত একটূ হলেও। বুক কাঁপতো এইরকম বেঈমান নিমকহারামদের। কিন্তু একটা ঝামেলা হয়ে গেলো, ১৮ এর নিচের সব সাইকোগুলা ভাববে আমি খুন করলেও অন্তত মরবো না। সংশোধন কেন্দ্র থেকে সংশোধিত হয়ে ফিরে আসবো। ব্যাস। আমাকে আর পায় কে। কেল্লা ফতে।

দ্বিতীয়টিই করেছে বিচার বিভাগ। পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আমার আস্থা নাই এই বিচারে। কারণ আমার আস্থা নাই কিশোর সংশোধন কেন্দ্র নামক জায়গাটাতে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর সাথে কিছুটা সময়ের সম্পৃক্ততা থেকে অন্তত এট্টুক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এগুলো একটাও ওয়ার্ল্ড ক্লাস না। মেয়েটা ওখানে যাবে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একজন পার্সন হিসেবে ট্রিটেড হবে। সবাই টিটিকারী মারবে। অত্যাচার করবে। মেন্টালিটির অবস্থা আরো জঘন্য হয়ে যাবে। আমি অবাক হয়েছি মেয়েটার সাম্প্রতিক ছবি দেখে। চেহারায় বিন্দুমাত্র অনুশোচনা কিংবা পাপবোধ নেই।
পৃথিবীর জঘন্যতম কিলার হতে পারবে মেয়েটি। কারন যত বড় খুনীই হোক, সাধারন যেকোন মানুষ এ অবস্থায় পড়লে সারাদিন রাত কাঁদতো, কিংবা পাপবোধে জর্জরিত হতো। অন্তত বুঝতে পারতো কি ভুল করে ফেলেছে সে। তা কিন্তু নাই।
বাংলাদেশের এসব সংশোধন কেন্দ্রে গে বেশী, লেসবো কম। কিন্তু তার মানে এই না যে নাই। মেয়েটাও বিকৃত রূচির হতে বাধ্য।
যে পরিমান ঠান্ডা মাথার খুনী এই মেয়েটা তার জন্য যে পরিমান কনসালট্যান্সী কিংবা মেডিকেশান দরকার, কেয়ার দরকার এই ফ্যাসিলিটি অন্তত বাংলাদেশে নাই। বরং ওখানে উলটাটা হবে। আল্লাহ না করুক, একটা সিরিয়াল কিলার হয়ে বেরুবে এই মেয়েটা। যখন বেরুবে সবাই ভাববে সে সুস্থ হয়ে গেছে।

আমার মতামত, মেয়েটাকে বাইরের দেশের বিশেষ করে ইউরোপের কোন দেশের এরকম সেন্টারে পাঠাবার ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো।

৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×