somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তসলিমার প্রশ্ন আর আমার উত্তরঃ

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙাল ভাষায় কিছু প্রশ্নের উদয় হইতাছে
১. মুহম্মদ নবী মেরাজে গিয়া আল্লার সাথে দরকষাকষি কইরা দিনে ৫০ বারের বদলে ৫ বার নামাজের নিয়ম না করলে মুসলমানের অবস্থা আইজকে কেরাসিন হইয়া যাইতো। মুহম্মদ বুঝতে পারছিলেন মুসলমানের দুঃখ, মহান করুণাময় হইয়া আল্লায় কেন পারেন নাই?
২. অভিজিতের কথা কওয়ার সময় বড় বড় মঞ্চে গিয়া বন্যা হাসে কেন? বেদনা কই? ক্রন্দন কই? রাগ কই? ফুঁসে ওঠা কই? অভিজিৎ নাকি ঘরে গুফি ছিল। এ্ইডা কোনও দরকারি কথা কইলো বন্যা?
৩. আমার চুল কাটার ছবিতে একফালি বুক দেইখা মানুষ এত ফাল পাড়লো কেন? পুরুষের দশফালি বুক দেখলেও তো এইভাবে ফাল পাড়ে না। ম্যামারি গ্ল্যান্ড নিয়া সমস্যা?
৪. মানুষ এত মিছা কথা কয় কেন?
৫. মোবাইল ফোন না থাকলে পঙ্গু মনে হয় নিজেরে। ইন্টারনেট না থাকলে মনে হয় কব্বর হইয়া গেছে। এইগুলা কি মূলত সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম?
৬. গাফফার চৌধুরী যা কইছে তারপরও কোনও ফাঁসির মিছিল নাই কেন? তার কল্লা ফেলানির জন্য চাপাতি ধারায় না কেন কেউ? জঙ্গীরা কি সরকারি আদেশ মাইন্যা চলে


তসলিমার প্রশ্ন আর আমার উত্তরঃ
১। কোয়েশ্চেন পেপারে কি ধরনের প্রশ্ন দিলে পরীক্ষার্থী সহজে পারবে তা জেনেও পরীক্ষক তার নিজেরমত কঠিন বা সহজ বা মিশানো প্রশ্নপত্র করেন কেন? সহজগুলো দিলেই তো পারতেন। কারখানায় শ্রমিক কি চায় সব জেনেও সিবিএ নেতাদের মাধ্যমে মালিক দরকষাকষি করেন কেন? দিয়ে দিলেই তো পারেন।
২) নাস্তিকতা বা প্রগতিশীলতাই যদি মানবিকতা আনতো তবে বন্যা অভিজিৎ এর কথা বলতে গিয়ে হাসতো না।
৩) এইটা মূলত সাইকোলজিক্যাল। পুরুষ বুক দেখায়ে অভ্যস্ত বলে ব্যাপারটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আপনি দেখানো শুরু করলেও আর কেউ দেখবে না। হালকা দেখাইছেন বলেই কৌতুহল আসছে। একটা ছোট গল্প বলি,
আমাদের এলাকায় এক পাগলী ছিলো। ইয়াং সুন্দরী কিন্তু নগ্ন। প্রথম কিছুদিন পুলাপাইনের কৌতুহল ছিলো। বিশ্বাস করেন, কিছুদিন পর আর কেউ ফিরেও তাকাতো না। এমন না যে অন্য কোন মেয়েদের দিকেও তাকাতো না। শুধু এই পাগলীর টা সব স্বাভাবিক মনে হতো।
এছাড়াও, ন্যুড আইল্যান্ড দ্রস্টব্য।
৪) মানুষ রহস্য পছন্দ করে। সত্যে রহস্য নাই।
৫) মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়া না থাকতে পারার দুটো রিজন। সাম্প্রতিক অতি একাকীত্ব, অভ্যস্ততা।
অভ্যস্ততা কমান, মানুষের সাথে বেশী বেশী মিশুন। মোবাইল ইন্টারনেট লাগবেনা।
৬) গাফফার চৌধুরী সরাসরি ধর্ম বিরুদ্ধ কিছু বলে নাই। সে ইনায়ে বিনায়ে একটা খোঁচা মারছে। অনেকটা ট্রাই করে দেখা। কেউ নড়ে চড়ে কিনা। ওর বক্তব্যটাও অসার,
সে বলছে আল্লাহ পাকের নামের সবগুলাই আগে কাফিরদের দেবদেবীদের নাম ছিলো। কথাটা অর্ধসত্য।
আল্লাহর ৯৯ নামের সবই বিশেষন। বিশেষন তো বুঝেন? এখন গ্রীকরা যখন জিউসকে প্রধান দেবতা মানতো তাকেও নিশ্চয়ই সর্বশক্তিমানই ভাবতো। কিন্তু প্রকৃত সর্বশক্তিমান তো আল্লাহ পাক। এজন্য প্রত্যেকটা ভুল বিশেষন শুধু যার জন্য প্রযোজ্য সেই মহান আল্লাহ পাকের নামেই ঘোষনা করা হয়েছে।
এখানে দুটো ব্যাপার,
প্রথমত, বিশেষন তো একই থাকবে। ভাষাটাও যেহেতু আরবী সেহেতু একই হবেই।
দ্বিতীয়ত, আল্লাহ পাকের নামে সবগুলো বিশেষন ঘোষনা করার মাধ্যমে আগের সমস্ত কিছুর নামে ঘোষনা করা এই সবকটি বিশেষন রহিত করা হয়েছে।
আমি গাফফার চৌধুরীকে সরাসরি নাস্তিক বলবোনা। সে একটা বকচোদ। আর কিছু না।
তার বিরুদ্ধে ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই বলার কিছু নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
১১টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×