somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" ডলার নামা " - বিশ্ব বাণিজ্য ও বিশ্ব ব্যবস্থায় এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের বিকল্পই বা কি ? ( শেষ পর্ব )

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি - dreamstime.com

চতুর্থ পর্বের লিংক - Click This Link

শেষ পর্ব -

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি হতে পারে ডলারের বিকল্প?

ডলারের বিকল্প হিসাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমাদের বিশদ জানতে হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ?

ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম যা লেনদেন যাচাই করার জন্য আমাদের সামজে প্রচলিত ব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করে না। এটি এমন একটি পিয়ার-টু-পিয়ার সিস্টেম যা যেকোন জায়গায় পেমেন্ট পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে সক্ষম শুধু দরকার ইন্টারনেট সংযোগ সহ মোবাইল বা কম্পিউটার। বাস্তব জগতে অর্থ বহন ও বিনিময় করার পরিবর্তে, ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্থপ্রদানগুলি নির্দিষ্ট লেনদেনের বর্ণনা করে একটি অনলাইন ডাটাবেসে ডিজিটাল এন্ট্রি হিসাবে বিশুদ্ধরূপে বিদ্যমান। আপনি যখন ক্রিপ্টোকারেন্সি তহবিল স্থানান্তর করেন, তখন লেনদেনগুলি একটি পাবলিক লেজারে রেকর্ড করা হয় ও ডিজিটাল ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণ করা হয়।এ ধরনের লেনদেনকে ক্রিপ্টোকারেন্সি নাম করন করা হয়েছে কারণ, এটি লেনদেন যাচাই করতে এনক্রিপশন ব্যবহার করে। এর অর্থ হল উন্নত কোডিং ওয়ালেট এবং পাবলিক লেজারের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ডেটা সঞ্চয় এবং প্রেরণের সাথে জড়িত। এনক্রিপশনের লক্ষ্য হল নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা।


ছবি - forbes.com

যেভাবে শুরু হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির যাত্রা

ক্রিপ্টোকারেন্সি একধরনের ডিজিটাল মুদ্রা যা কোনো দেশ বা দেশের সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না বরং ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বনিয়ন্ত্রিত। ক্রেডিট কার্ডের ধারণা থেকে মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সির উদ্ভব। মুদ্রাবাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য বন্ধ করতে অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব করছেন।

বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে একধরনের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন শুরু হয় এবং পরের দশকে এই কার্ড অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এরপর অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটালি অর্থ আদান-প্রদান শুরু হয়। তবে এ ব্যবস্থার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি কিছু লোকের হাতে জিম্মি থাকে। এ ছাড়া লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থের মালিক গোপন তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয় এবং নানান ধরনের বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকে পড়ে। অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি আরো ঝুঁকিপূর্ণ। কম্পিউটারভিত্তিক যোগাযোগের ব্যাপক প্রচলন হওয়ার পর থেকে মানুষ এমন এক ধরনের মুদ্রার স্বপ্ন দেখে আসছে যা কোনো ধরনের তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই পরিচালিত হবে।

সর্বপ্রথম ডেভিড জম ১৯৮৩ সালে ক্রিপ্টোগ্রাফিক পদ্ধতিতে অর্থ আদান-প্রদানের ধারণার প্রবর্তন করেন এবং ১৯৯৫ সালে ক্রিপ্টোগ্রাফিক ইলেকট্রনিক পেমেন্টের প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করেন। তবে তখনো ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ও নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর প্রযুক্তির অভাব ছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো নামে এক ছদ্মবেশী চরিত্র এই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির জনক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই সাতোশি নাকামোতো আসলে কে, তা কেউ জানে না। এমনকি সাতোশি নাকামোতো নিজেও চান না কেউ তাকে খুঁজে বের করতে পারুন।

কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল ধারণাই হলো, যে কেউ তার পরিচয় গোপন করে নিরাপদে সাধারণ মুদ্রার মতোই এই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট খুলতে ব্যবহারকারীর নাম ঠিকানা বা ব্যক্তিগত তথ্যের দরকার হয় না বরং সরাসরি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির ওয়ালেটে ট্রান্সফার হয়, মাঝখানে কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অধিকন্তু, ক্রিপ্টোকারেন্সির সেবা দিতে যেহেতু কোনো তৃতীয় পক্ষ নেই, তাই কোনো বাড়তি চার্জ নেই।

ক্রিপ্টোকারেন্সি পদ্ধতির প্রথম মুদ্রা বিটকয়েনের সফলতা এবং জনপ্রিয়তা দেখে এরকম অসংখ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভব হয়েছে,বর্তমানে এর সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ইথালিয়াম, লাইট কয়েন, রিবল, বাইট কয়েন, গজ কয়েন, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল ভিত্তি হলো ব্লকচেইন যা তথ্য সংরক্ষণের এক নতুন পদ্ধতি। ব্লকচেইন এক ধরনের হিসাবের খাতা যা ব্যাংকের মতো ডিজিটাল অর্থনৈতিক লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করে। তবে এই লেনদেনের হিসাব কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কুক্ষিগত থাকে না বরং এই লেজার ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যায় এবং প্রতিটি লেনদেন ঘটার সাথে সাথে এই হিসাবের খাতা আপডেট হয়ে যায়। এ কাজ করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই তবে একদল লোক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে। বিনিময়ে ব্লকচেইন সিস্টেম ওই ভলান্টিয়ারদের ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রদান করে।এই প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল অর্থ উপার্জনকে বলা হয় মাইনিং। শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় মাইনিং করার জন্য।


ছবি - analyticsinsight.net

ক্রিপ্টোকারেন্সির অসুবিধা বা সমস্যা

ক্রিপ্টোকারেন্সির গোপনীয়তা রক্ষা করতে গিয়ে কিছু ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেমন - এর পাসওয়ার্ড একবার ভুলে গেলে অর্থ আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না কারণ, এখানে পাসওয়ার্ড রিসেটের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়াও কম্পিউটার ক্রাশ হলেও আর ক্রিপ্টোকারেন্সি ফেরত পাওয়া যায় না। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন হারিয়ে গেছে এসব কারণে। সাধারণ মানুষের পক্ষে বিটকয়েনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। তবে এই ক্ষতি মোকাবেলার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি রাখার জন্য একধরনের থার্ড পার্টি ওয়ালেটের আশ্রয় নেয়া যায় যাদেরকে ক্রিপ্টো ব্যাংক বলা হয়। যদিও ওয়ালেটগুলো ব্যাংকের মতো নয় বরং মানি এক্সচেঞ্জের মতো কাজ করে। এসব ওয়ালেট ব্যবহার করে সাধারণ মানিকে ক্রিপ্টোমানি ও ক্রিপ্টোমানিকে সাধারণ মানিতে পরিণত করা যায়। ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও রয়েছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানির। তবে ধীরে ধীরে সমস্যা থেকে উত্তরণ করে হয়তো এই সীমাবদ্ধতা কমে আসবে।

তাছাড়া , ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন দেশেরই সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক স্বীকৃত নয় বিধায় প্রচলিত নিয়মে এ আয় কোন ব্যক্তির আয়-ব্যায়ে দেখানোর সুযোগ নেই। তার মানে হল এ ধরনের লেনদেন কোন দেশের প্রচলিত আইনেই বৈধ বলে বিবেচনা করা হয়না। সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমর্থিত অর্থ ব্যবস্থায় সরকার অর্থের দায় বা প্রকৃত মূল্য/মান প্রদানে যেখানে অংগীকারাবদ্ধ এর বিপরীতে ভার্চুয়াল মুদ্রার মান সম্পূর্ণরূপে সরবরাহ এবং চাহিদা দ্বারা চালিত হয়। এটি বন্য সুইং তৈরি করতে পারে যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য লাভ বা বড় লোকসান তৈরি করে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগগুলি স্টক, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো প্রথাগত আর্থিক পণ্যগুলির তুলনায় অনেক কম নিয়ন্ত্রক সুরক্ষার বিষয়।

উপরের আলোচনা থেকে এটা বলা যায় -ক্রিপ্টোকারেন্সিকে কোন দেশ আইনি বৈধতা দিলে এবং এর অসুবিধাগুলি দুরীকরনে সচেষ্ট হলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি হতে পারে কোনো দেশের সরকার অথবা এক দেশে অন্য দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি নিয়ন্ত্রণহীন অর্থব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ডলার, রুবল অথবা ইউরোর দরকার হবে না। ফলে কোনো পরাশক্তি কোনো দেশকে শাসন বা শোষণ করতে পারবে না। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির এই নিয়ন্ত্রণহীন অর্থব্যবস্থাই ডলারের মালিকদের জন্য সমস্যার কারণ এবং তারা কোনভাবেই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা কিংবা সফল হতে দিবেনা। আর তাই বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের মুদ্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বে এক ধরনের বিপ্লবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন সমর্থন করছে। তরুণ প্রজন্ম এই নতুন ধরনের মুদ্রা ব্যবস্থাকে খুবই পছন্দ করছে এবং ব্যবহার করছে।আর তাই এ কথা বলা যায় যে, একসময় ক্রিপ্টোকারেন্সি হতে পারে ডলারের শোষণ ও শাসনের হাত থেকে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যবস্থা বাঁচানোর অন্যতম বিকল্প।


ছবি - depositphotos.com

ডলার নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা / অবস্থা এবং সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা -

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় চরম ডলার সংকট । বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মাত্রাধিক্য দাম নিয়ে বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের আর্থিক সংকট শুরু হয়। যার প্রভাবে বাংলাদেশ ভয়াবহ ডলার সংকটে পড়ে। ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দামের ডলার খোলাবাজারে ইতিহাসের রেকর্ড করে ১২০ টাকায় পৌঁছায়। এর পরই সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নেয় ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রনে। লাগাম টেনে ধরা হয় বিলাসবহুল পণ্য আমদানীর সাথে সাথে জরূরী নয় এমন পন্য আমদানিতে।এর ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দর ১২০ টাকা থেকে ১০৭/১০৮ টাকায় নেমে আসে। সর্বশেষ, মোটামুটি খোলাবাজারে এই দামেই ডলার বিক্রি হচছে। আন্তব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত ডলারের দর ১০১ টাকা থেকে ১০৭ টাকা। বাস্তবে ব্যবসায়ীদের কিনতে হয় আরও বেশি দামে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার পরও দেশের ডলার নিয়ে সংকট কাটছে না। ব্যাংকগুলোতে এখনো ডলারের ঘাটতিতে এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খুলতে গেলেও ডলারের সরবরাহ নেই বলে ব্যবসায়ীদের অনেককে বাইরে থেকে ডলার সংগ্রহ করে দিতে বলছে। ডলার সংকট কাটাতে নানা উদ্যোগ নিলেও পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের কথা বলা হলেও সেটাও নিশ্চিত করা যায়নি, যার প্রভাব পড়ছে দেশের পুরো অর্থনীতির ওপর।

বাংলাদেশে এখন রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার -লিংক - Click This Link । ব্যাংকে এক ডলারের বিনিময় হার ১০১ টাকা, খোলা বাজারে ১০৭ টাকা। গত এক বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প মুদ্রা নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ। ইউরো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এখন চীনা মুদ্রা ইউয়ান, রাশিয়ান রুবল এবং ভারতীয় রুপি নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৬ শতাংশ চীন এবং ১৪ শতাংশ ভারত থেকে আসে। ওই দুই দেশে মোট রপ্তানির তিন শতাংশ করে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে চীনা মুদ্রায় এলসি খোলার অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে চীনা মুদ্রার ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। তারা বিদেশে প্রতিনিধিত্বকারী শাখায়ও একাউন্ট খুলতে পারবে। সরকার আন্তর্জাতিক লেনদেনে বাংলাদেশে বিকল্প নেটওয়ার্ক চালুর ( ডলার ছাড়াও ব্যবহার হবে পাউন্ড-ইউরো-ইয়েন-রুপী-রুবল - ইউয়ান) চেষ্টা করছে।


ছবি - dreamstime.com

আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে ও বহুমুখী অর্থের ব্যবহারের লক্ষ্যে ইউরোপীয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি),ব্যাংক অব রাশিয়া ,ব্যাংক অব চায়নার সাথে চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় এফবিসিসিআই। তাদের মতে , " ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে পরিবর্তন এসেছে তার ফলে লেনদেনের জন্য এখন আর একটি মাত্র মুদ্রার উপর নির্ভর থাকার সুযোগ নেই"।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিকল্প নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ আইনে যুক্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারে জটিলতা এবং বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা কাটাতে ডলারের পাশাপাশি যাতে অন্য দেশের মুদ্রা ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা যায় সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।বৈদেশিক বাণিজ্যে পারস্পরিক লেনদেনের সুবিধার্থে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি, ব্যাংক অব রাশিয়া, ব্যাংক অব চায়নার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু আন্তর্জাতিক লেনদেনে খরচ কমানোর পাশাপাশি ঝুঁকি ও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইউএস সুইফটের সঙ্গে সমান্তরালভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের বিকল্প নেটওয়ার্ক ইসিবি এবং রাশিয়ান এসপিএফএস (সিস্টেম ফর ট্রান্সফার অব ফাইন্যান্সিয়াল মেসেজ) ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে ৯ নম্বর ধারায়। লেনদেনের ক্ষেত্রে যেসব মুদ্রা ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই তার মধ্যে রয়েছে ডলার, পাউন্ড, রুপি, ইউরো, ইয়েন এবং রুবল। এসব মুদ্রা ব্যবহারে ‘বিনিময় চুক্তি’ এবং ‘কারেন্সি সোয়াপ’ পদ্ধতির কথাও বলা হয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায়নিজ মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। চীনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয়। এ ছাড়া অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ভারতীয় রুপি সংগ্রহ করার সুযোগও বেশি। আমরা মনে করি, রাশিয়ান রুবলের চেয়ে ভারতীয় রুপিতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হলে সেটি ব্যবসায়ীদের জন্য বেশি কার্যকর হবে।

আর্থিক লেনদেনের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম সুইফট এর বিকল্প কিছু ব্যবস্থাও বিশ্বে বর্তমানে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার এসপিএসএফ এবং চীনের ক্রসবর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম বা সিআইপিএস। আমেরিকা রাশিয়াকে সুইফট থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়ার পর ২০১৪ সালে লেনদেনের নতুন এক ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় দেশটি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর প্রথম এসপিএসএফ পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। বর্তমানে ৪০০-এর বেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এই ব্যবস্থায় যুক্ত রয়েছে। রাশিয়ার পাশাপাশি চীনও লেনদেনের পৃথক মাধ্যম গড়ে তুলেছে। সিআইপিএস নামের চীনের এই লেনদেন মাধ্যমটিকে এখনো পর্যন্ত সুইফটের পর সম্ভাবনাময় বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। রাশিয়াও এই সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্যবস্থা সুইফট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন প্রক্রিয়াটি কী হবে- সে বিষয়টি নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই বাংলদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক চীনের মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমোদন দেওয়ার পর চায়নিজ লেনদেনে নেটওয়ার্ক সিআইপিএস-এ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর তবে রাশিয়ার লেনদেন নেটওয়ার্ক এসপিএফএস-এ বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো খুব একটা অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।


ছবি - alamy.com

বাংলাদেশের সঙ্গে রুপিতে লেনদেনের নির্দেশনা ভারতের স্টেট ব্যাংকের -

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে টাকা ও রুপি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান স্ট্যাট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়ায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি।

সম্প্রতি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকটি বলেছে, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং রিজার্ভ সংকটের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার এক্সপোজার (পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা) না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ভারতীয় মুদ্রা ও টাকায় বাণিজ্য কার্যক্রম চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির নেতৃস্থানীয় ব্যাংকটি তাদের রপ্তানিকারকদের মার্কিন ডলার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন না করার বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে।

ডলার ছাড়া অন্য দেশের অর্থ কীভাবে বিনিময় সম্ভব

ডলার ব্যতীত অন্য যে কোন মুদ্রা ব্যবহারের জন্য প্রথমে দুটি দেশকে নিজ নিজ মুদ্রায় বিনিময়ে ও লেনদেনে সম্মত হতে হবে। পরে সেসব দেশ তাদের দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একাউন্ট খুলবে এবং এর ফলে তারা ডলার এড়িয়ে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবে। এটা ইউয়ান, ভারতীয় রুপি, রাশিয়ান রুবল সব ক্ষেত্রেই হতে পারে। যাদের রপ্তানি বেশি তাদের সুবিধা বেশী হবে, কারণ তাদের কাছে মুদ্রা জমা থাকবে। তবে বিষয়টি নির্ভর করে ওই মুদ্রার ওপর কতটা আস্থা আছে তার ওপর। কারেন্সি পাওয়া কোনো সমস্যা হয়না যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ওই কারেন্সির অ্যাকাউন্ট থাকে। কারেন্সি পাওয়ার আরো একটি পথ আছে। সেটা হলো, ইন্টারন্যাশনাল কনভার্সন। পাউন্ড কে ডলারের কনভার্ট করা যায়। তবে মুদ্রার মান কত হবে সেটা যে কোনো মুদ্রার ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে। ক্রস কারেন্সি মান প্রতিদিন নির্ধারণ হয় বাজারের ওপর,এটা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। আবার,এক্ষেত্রে ** SDR (Special Drawing Rights) মান কার্যকর হবেনা কারন, সেসব মুদ্রা ***SDR ঝুড়িতে অন্তর্ভুক্ত মুদ্রা নয়।

* SDR কি - SDR হল একটি আন্তর্জাতিক রিজার্ভ অ্যাসেট, যা 1969 সালে IMF দ্বারা সদস্য দেশগুলির অফিসিয়াল রিজার্ভের পরিপূরক হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত, মোট SDR 660.7 বিলিয়ন (প্রায় US$943 বিলিয়নের সমতুল্য) বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে 2 আগস্ট, 2021-এ অনুমোদিত প্রায় 456 বিলিয়ন SDR-এর সর্ববৃহৎ বরাদ্দ (23 আগস্ট, 2021 থেকে কার্যকর)। এই সাম্প্রতিক বরাদ্দটি ছিল রিজার্ভের দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলা করা এবং দেশগুলিকে COVID-19 মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য। এসডিআর (SDR) আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার অ্যাকাউন্টের ইউনিট হিসাবে কাজ করে। এসডিআর একটি মুদ্রা বা আইএমএফের দাবি নয় বরং, এটি আইএমএফ সদস্যদের অবাধে ব্যবহারযোগ্য মুদ্রার একটি সম্ভাব্য দাবি।

** SDR মান - ইউএস ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে SDR মান প্রতিদিন লন্ডনের সময় দুপুরের দিকে পর্যবেক্ষণ করা স্পট এক্সচেঞ্জ হারের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় এবং IMF ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়।এসডিআর-এর মান পাঁচটি মুদ্রার একটি ঝুড়ির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় - মার্কিন ডলার, ইউরো, চীনা রেনমিনবি, জাপানি ইয়েন এবং ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং।)

*** SDR ঝুড়ি - SDR ঝুড়িতে অন্তর্ভুক্ত মুদ্রা দুটি মানদণ্ড পূরণ করতে হবে: রপ্তানির মানদণ্ড এবং অবাধে ব্যবহারযোগ্য মানদণ্ড। একটি মুদ্রা রপ্তানির মাপকাঠি পূরণ করে যদি এর ইস্যুকারী আইএমএফ সদস্য বা একটি আর্থিক ইউনিয়ন যা IMF সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারকদের মধ্যে একটি। একটি মুদ্রা IMF দ্বারা "অবাধে ব্যবহারযোগ্য" নির্ধারণের জন্য, এটিকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং প্রধান বিনিময় বাজারে ব্যাপকভাবে লেনদেন করতে হবে। ফান্ডের আর্থিক লেনদেনে অবাধে ব্যবহারযোগ্য মুদ্রা ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ববতী পোস্ট -
----------------

১। প্রথম পর্বের লিংক - Click This Link
২। দ্বিতীয় পর্বের লিংক - Click This Link
৩। তৃতীয় পর্বের লিংক - Click This Link
===============================================================
তথ্যসূত্র -

১। উইকিপিডিয়া - SWIFT - https://bn.wikipedia.org/wiki/
২। Money - https://www.britannica.com/topic/money
৩। নিউ ইয়র্ক টাইমস - Click This Link
৪। যেভাবে মার্কিন ডলার বিশ্বজুড়ে আধিপত্য স্থাপন করেছিল - Click This Link
৫। Encyclopaedia Britannica - লিংক - https://www.britannica.com/topic/fiat-money
৬। দানা বাঁধছে ডলার বিরোধী মহাযুদ্ধ - প্রথম আলো (২০/০৯/২০২২) - https://www.prothomalo.com/world/europ
৭। আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিকল্প নেটওয়ার্ক - বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ সেপ্টেম্বর) - Click This Link
৮।What is cryptocurrency and how does it work? - Click This Link
৯।SPFS - https://en.wikipedia.org/wiki/SPFS
১০।CIPS - Click This Link
১১। Can the yuan replace the powerful dollar and become the reserve currency?-
Click This Link
১২। Special Drawing Rights (SDR) - লিংক -
Click This Link

===============
জবাবদিহীতা - এই লিখা লিখতে নিম্নে বর্ণিত তথ্যসূত্র ছাড়াও আরও অনেক জায়গা থেকে ছোট-খাট সাহায্য নিতে হয়েছে যা আমি এখানে উল্লেখ করিনি। তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৩
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×