somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি বালিকার আর্তনাদ : নাফনদীর তীর, সৌদি হেরেম ও বিদ্ধস্ত ইয়েমেন

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমি ধারণা করে নিচ্ছি অনেকেই প্রশ্নটা না বুঝেই হাউ কাউ শুরু করে দিবেন। অনেকে বলবেন, এখন যখন রোহিংগাদেরকে অলরেডী এভাবে পিঁপড়ার মত মারা শুরু করেছে ওরা, এই সময়ে এই প্রশ্নটা করা কতটুকু প্রাসংগিক? বা এই ধরনের কিছু।
আমি এসবের রিষ্ক নিয়েই প্রশ্নটা করতে চাচ্ছি। কারন রোহিংগাদের গনহত্যা আজকে থেকে শুরু হয়নি।আমি যখন প্রথম ক খ গ ঘ শিখে পেপার পত্রিকা পড়তে শিখেছি, তখন থেকেই রোহিংগাদের পার্সিকিউশানের খবর পড়তে পড়তে বড় হয়েছি। আব্বুর সাথে কক্সবাজারে রোহিংগাদের ক্যাম্পে গিয়ে নিজের চোখে জীবনে প্রথম রিজিউজি ক্যাম্প দেখেছি। সো এটা নতুন তাদের কাছেই যারা এতদিন জানতেন না।
রোহিংগাদের জেনোসাইডটা রাখাইনদের কাছে হঠাৎ হঠাৎ বাৎসরিক উৎসবের মত। মারতে মারতে টায়ার্ড হয়ে গেলে জিরান দেয়। তারপর একটু জিরানো হয়ে গেলে, যেন গরম গিয়ে ঠান্ডা পড়েছে,
উহুঁ,
গা ম্যাঁজ ম্যাঁজ করছে,
কিছু তো করা লাগবে,
কী করবি?
কী আর করবি?
ধর রোহিংগা, কর খুন!
- টাইপের ব্যাপার।
যখন এই খুনের উৎসব চরম মেতে উঠে, নাফ নদীর ঘোলা পানিও মানুষের রক্তে লালচে হয়ে যায়, তখন আপনারা ফেইসবুকে #standwithrohingya বলে দাঁড়িয়ে যেতে থাকেন।
কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে।
এই যে যে মুসলিম রোহিংগা মহিলাটাকে রাখাইনরা উলংগ করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে, মাছ ধরার যে চিকন চিকন কঞ্চি টাইপের একটা কী যেন আছে এটা দিয়ে একটু পর পর মহিলাটার সেনসিটিভ জায়গায় খোঁচা দেয়, আর মহিলাটা যতবার কষ্টে আর্তনাদ করে কাঁদে, তত তারা হাসে,

এই ঘটনার সাথে,

যে মহিলাটাকে আসাদ সরকারের লোকেরা দিনে দুপুরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে, তাদের বানানো বিশাল বিশাল বন্দীশালাগুলোর একটাতে কাপড় খুলে উলংগ করে, মাসের পর মাস গ্যাং রেইপ করে, কয়েকদিন পর পর তাকে ইলেক্ট্রিকিউট করে, পুরো বন্দী অবস্থাটা সে এভাবে উলংগ অবস্থাতেই কাটায়, রেইপ করতে করতে এমন অবস্থা করে ফেলেছে তার উদ্ধারের পর ডাক্তাররা দেখে কামড়ে কামড়ে তার বুক আর বুক রাখেনি , তার প্রাইভেট পার্ট জোড়াতালি দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার চেষ্টা করতেই সার্জারী করা লেগেছে টানা তিন/চার মাস!

এই দুই মহিলার আর্তনাদে আপনি কি কোনো আলাদা কিছু শুনতে পান?
হ্যা,
এটাই আমার প্রশ্ন।
ওকে,
আরেকটু ব্যাখ্যা করি।
ঐ যে রাখাইনদের নিজেদের করা ভিডিওটাতে যে ভিডিওটা তারা করেছে নিজেদের পাওয়ার ডিজিটাল দুনিয়াকে দেখাতে যে ভিডিওতে
ঐ যে হাত পা বাঁধা অবস্থায় চিৎ হয়ে থাকা লোকটাকে গলায় একটা লম্বা লাঠির আগায় ল্যাসোর মত লাগানো গিট্টা দিয়ে লোকটার গলায় বেঁধে লোকটাকে ইট পাথরের উপর দিয়ে টানছে আর তাকে ঘিরে সব বয়সী রাখাইনরা উৎসবের আমেজে আনন্দ করছে .

হ্যা এই ভিডিওটার সাথে,

ঐ যে ধরা পড়া শিয়া সৈন্যটাকে ইরাকে সুন্নী সৈন্যরা যেভাবে চেয়ারে বেঁধে ব্লেড দিয়ে দিয়ে শরীরের এখানে দাবিয়ে দিচ্ছিলো ওখানে দাবিয়ে দিচ্ছিলো , আনথিংক্যাবল যত রকম টর্চার করা যায় করতে করতে এক পর্যায়ে শিয়া সৈন্যটা যখন জ্ঞান হারিয়ে ফেললো, সুন্নী সৈন্যদের একজন যখন একটা ব্লেড নিয়ে যে ভিডিও করছিলো তাকে আরো ক্লোজাপ ভিডিও করতে বলে ঐ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা সৈন্যের মাথার চুল টেনে ধরে মাথাটা সোজা করে ব্লেড দিয়ে খুব আস্তে আস্তে পোচ দিতে দিতে গলাটা অর্ধেক কেটে ফেললো ।

এই দুই ঘটনার মধ্যে আপনি কি পার্থক্য দেখতে পান?
হ্যা,
এটাই আমার প্রশ্ন।

আপনি প্রশ্নটা এখনো না বুঝলে আমি আরো স্পেসিফিক বিভৎস ঘটনার রেফারেন্স টেনে যেতে পারবো যতক্ষন আপনি বুঝবেন না।উপরের প্রতিটা ঘটনার ভিডিও ইউটিউবে আছে।

আমার কাছে আরো চরম গোলমেলে কী লাগে জানেন?
রোহিংগাদের পার্সিকিউশান না হয় 'বিধর্মী' রাখাইনদের হাতে হচ্ছে।
কিন্তু ইয়েমেনীদের পার্সিকিউশান? ইয়েমেনীদের স্পেসিফিক ইন্ডিভিজুয়াল পার্সিকিউশানের কথা না হয় বাদই দিলাম, এই যে গত কয়েক বছর ধরে সৌদি মিসাইল ইয়েমেনের যে কোনো মাস-গেদারিং, বিয়ে , হসপিটাল , স্কুল ,কিচ্ছু বাদ দেয়নি। একবার তো একটা বিয়েতে সৌদি কোয়ালিশন বোম্ব মেরে ঐ বিয়ের জামাই বউ সহ একসাথে একশ চল্লিশজনকে মেরে ফেললো, মনে আছে?
মনে থাকবে কীভাবে? আপনি তো জানেনই না!! আপনি সৌদি আরবে যাকেই ইয়েমেনীদের পার্সিকিউশানের কথা জিজ্ঞেস করবেন,
সাথে সাথে আপনাকে ডালে চালে খিঁচুড়ী করে একদম খাইয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিবে ইয়েমেনীরা কত খারাপ!
এইরকম জেনোসাইড আর ওয়ার তাদের কতটা প্রাপ্য! তাদেরকে মেরে মেরে যে সৌদি সরকার আসলে পৃথিবীর কত বড় উপকার করছে! এমনকি আমার ফেইসবুকে সৌদি সরকারের অর্থায়ন প্রাপ্ত যারা আছেন, আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এইটুকু পড়ার পর তারা আমার গোষ্ঠীর শিকড় খোজা শুরু করে দিয়েছেন। তাদের জন্য অনুরোধ, যাষ্ট পরবর্তী ৬ টি লাইন কষ্ট করে পড়ুন।

বাদ দিন
বাদ দিন
আমাকে তো অলরেডী 'সৌদি বিদ্বেষী' লেবেল লাগিয়েই দিয়েছেন! সৌদি আরবের কথা তাই বাদই দিন। তালেবান বলুন আর আইসিস,
তাদের মূল সৃষ্টি আর অস্ত্র সরবরাহ যাদের হাতেই হোক, তারা যতই গ্লোবাল ওয়ার অন টেরর পলিটিক্স এর গিনিপিগ হোক,
তারা নিজেরা তো মুসলিম, নাকি?
সৌদি পাইলটটাকে আইসিস কীভাবে জীবন্ত অবস্থায় একটা খাঁচার ভিতর রেখে সে খাঁচার বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাকে কীভাবে বার্বিকিউ করেছে, দেখেছেন ভিডিওটা? হ্যা, একজন মুসলিমকে বার্বিকিউ করেছে আরেকদল মুসলিম।
আপনি এখানে খুব জোড় গলায় বলতেই পারেন আইসিস কোনো মুসলিমদের ক্যাটাগরীতে পরে না! তালেবানরাও মুসলিমদের ক্যাটাগরীতে পরে না! সৌদি এক্সট্রিমিষ্টরাও মুসলিমদের ক্যাটাগরীতে পরে না! আরে মুসলিমদের ক্যাটাগরীতে পরে কে তাহলে?!
কাউকে বা কোনো গ্রুপকে 'মুসলিমদের ক্যাটাগরীতে পরে না' বলাটা হলো পুরো সিচুয়েশানকে অস্বীকার করে বাইপাস করে যাওয়ার সবচে' সহজ শর্টকাট।
আইসিস বলুন
বা তালেবান,
যতই বলুন এরা মুসলিম না,
এরা মুসলিম!
স্বীকার করে নিন যে পৃথিবীতে নন-মুসলিমরা মুসলিমদেরকে যতটা পার্সিকিউট করছে, মুসলিমরা নিজেরা নিজেদেরকে তারচে মোটেও কম পার্সিকিউট করছে না! মোটেও কম না! আপনি তালেবানদের ঐ ভিডিওটা দেখেছেন? পুরো ভিডিও জুড়ে তারা নাতেরাসূল গাইছে।
আর পুরো ভিডিও জুড়ে শুধু একটাই কাজ করেছে তারা, লাইনে লাইনে 'হাজারা আফগান' মুসলিম ছেলে পুরুষ মেয়ে মহিলা বৃদ্ধ বৃদ্ধা বাচ্চা লাইনে লাইনে এদেরকে হাঁটুর উপর বসিয়ে একজন একজন করে মাথায় গুলি করেছে। একজন গুলি খেয়ে পড়ে যাচ্ছে,
পাশের জন কিছুই করছে না । মাটির দিকে তাকিয়ে নিজের টার্নের অপেক্ষা করছে। গুলি খাচ্ছে, পড়ে যাচ্ছে...
যে আর যারা গুলি করছে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেইঞ্জে কপালের একদম কাছ থেকে যাকে গুলি করছে তার সামনে গিয়ে যেন রসিয়ে রসিয়ে অপেক্ষা করে কিছুক্ষন তারপর গুলি করে। যে গুলি করছে, যে গুলি খাচ্ছে , সবাই মুসলিম।

রোহিংগাদের পার্সিকিউশানের সাথে রোহিংগাদের এখন যে জেনোসাইড চলছে এর সাথে আমার এইসব আবোল তাবোল কথার কী মানে?! মানে আছে। রোহিংগাদের আগেও আরো মুসলিম গ্রুপ্স পার্সিকিউটেড হয়েছে। কসোভো আর চেচেন মুসলিমদের জেনোসাইড'র তো এখনো এক জেনারেশনও যায়নি। চিননে তো ওদেরকে? আর রোহিংগাদের সাথেও আরো অনেক মুসলিম গ্রুপ্স পার্সিকিউটেড হচ্ছে। কাশ্মীরের কথা ভুলে যাচ্ছেন কেনো? এখনো ইন্ডিয়ান জেলখানায় কত শত শত কাস্মীরি এমনকি নাবালক ছেলেদেরকে ইন্ডিয়ান সৈন্যরা ঘেটুপুত্র বানিয়ে দিনরাত যখন মন চায় তখন ইচ্ছেমত ধর্ষন করে যায়,জানেন তো?

জানেন তো, কাশ্মীরী মেয়েদেরকে ওরা যতক্ষন পর্যন্ত প্রেগন্যান্ট না হয় ততক্ষন পর্যন্ত রেইপ করতেই থাকে। যখন প্রেগন্যান্ট হয় তখন তাকে পরিবারের কাছে ফেলে দিয়ে যায়, জানেন তো এসব? চেচেন, কাশ্মীর, রোহিংগা মুসলিম, আর গন হত্যা এবং জেনোসাইড
এগুলো একটাও নতুন ইস্যু না। এগুলো অনগোয়িং।
আপনি হঠাৎ হঠাৎ যখন গনহত্যার উৎসব একটু বেশী জমে উঠে তখন হ্যাশটেগ স্ট্যান্ডিং উইথ অমুক, হ্যাশটেগ স্টান্ডিং উইথ তমুক
এইরকম স্ট্যাটাস দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন, অথবা সিরিয়াসলি ভাবতে পারেন, প্রোবলেমটা কোথায়?

আমরা মুসলিমরা এত পার্সিকিউটেড কেনো?
জ্বী,
একদল "স্লেইভস অফ আল্লাহ" বায়ো দেয়া মানুষ, এই প্রশ্নের রেডীমেড উত্তর দিবেন। "এগুলো আল্লাহ'র পরীক্ষা", "আমাদের ঈমানকে আল্লাহ পরীক্ষা করছেন", "কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে আমরা কতটুকু ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই তার পরীক্ষা হচ্ছে" অথবা,
আরো 'সুন্দর' রেডীমেইড উত্তরও আছে "এসবই হচ্ছে মুসলিমদের কৃতকর্মের রেজাল্ট" "মুসলিম মেয়েদের উলংগপনার শাস্তি"
এ ধরনের টু সিমপ্লিষ্টিক এক্সপ্লেনেশানে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমার আগ্রহ জেদ্দার কিংস রোডে।

হ্যা,
ঠিকই শুনেছেন। জেদ্দা'র কিংস রোডে। আপনি কি জানেন? জেদ্দার কিংস রোডে কিংস রোড টাওয়ারে পৃথিবীর সবচে বড় এডভের্টাইজমেন্ট LED স্ক্রীন আছে? কিংস রোডে'র এ মাথা থেকে ওমাথা শুধু একবার গাড়ী করে ঘুরবেন। রাজা রানীদের
আর তাদের ছেলে মেয়ে প্রিন্স প্রিন্সেসদের আর তাদের কাজিন প্রিন্স প্রিন্সেসদের সব প্রাসাদগুলোর বাইরে থেকে একটু একটূ যে গ্লিম্পস,
যে সামান্য একটু দেখতে পাবেন তাতেই আপনি অবাক হয়ে ভাববেন, আহা, বাইরেই এমন, ভিতরে না জানি কেমন আলীশান!
আমার আগ্রহ জেদ্দার নতুন হওয়া Mall of Arabia তে। এমেরিকাতেও বেভারলি হিলস এর বিখ্যাত শপিং মলে গিয়েছি। এমেরিকার বিখ্যাত সব শপিং মলসগুলো Mall of Arabia'র এক কোনায় হারিয়ে যাবে, খুঁজেই পাবেন না!

আমার আগ্রহ সৌদি'র ইসরাঈলের সাথে পলিটিক্যাল রিলেশানশীপে। যেভাবে সৌদি ইন্টেলিজেন্স ইসরাঈলী ইন্টেলিজেন্স থেকে প্রশিক্ষন নেয়, যেভাবে সৌদি সরকার ইসরাঈলের থেকে ২০০ টা লিওপার্ড ট্যাংক কিনে, যেভাবে সৌদি সরকার দুনিয়ার মানুষকে চোখে ত্যানা দিয়ে সাউথ আফ্রিকা হয়ে ইসরাঈল থেকে ড্রোন কিনে, কীভাবে সৌদি আর ইসরাঈল দুই বন্ধু গলাগলি করে তাদের তৃতীয় বন্ধু এমেরিকার সাথে মিলেমিশে গলাগলি করে একই পাতে ভাত খায়! আর আমার আগ্রহ যখন 'স্লেইভস অফ আল্লাহ' বায়ো দেয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেনে ওয়ালারা এই সৌদি আরবের অপজিটে যে কোনো কথা বা কমেন্টকে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা আর কমেন্টের ফতোয়া জারী করেন।

ভাবছেন, রোহিংগাদের কথা শুরু করে কোথা থেকে কোথায় চলে যাচ্ছে?! না আমি কোথাও যাইনি। আমি রোহিংগাদের সাথেই আছি।
তাদের সাথেই বসে বসে আমি যে জিনিষটা বুঝাতে চাচ্ছি তা হলো- রোহিংগা পার্সিকিউশান থামবে না। যদি থামেও, নতুন আরেকদল মুসলিম স্টেজে চলে আসবে জেনোসাইড হতে। ঐ দল চলে গেলে আরেক দল। আমি জন্ম থেকে এটাই দেখে আসছি! এক দুই বছরের গ্যাপ দিয়ে দিয়ে ওয়ার্ল্ড নিউজে নতুন নতুন পার্সিকিউটেড মুসলিম দেশ, মুসলিম গ্রুপ্স, মুসলিম কম্যিউনিটি উঠে আসে।

এর কারন কী? ওয়েল, আমি যদি জানতাম এর কারন কী তাহলে আমি বিশাল বুদ্ধিজীবি হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি একটা জিনিষ বুঝি।
আর তা হলো- মুসলিমদের হিপোক্র্যাসি। ওয়েষ্টার্ন-ইউরোপীয়ানদের হিপোক্র্যাসি যেমন আনবিলিভেবল রকম আনথিংক্যাবল,
তাদের বিশেষ করে ফরেইন পলিসির হিপোক্র্যাসি তো লিজেন্ডারী, মুসলিমদের হিপোক্র্যাসিও তার চে' এক বিন্দু কম না।
এক বিন্দু কম না। আপনি তাই রোহিংগাদের কান্না দেখেন, কিন্তু ইয়েমেনীদের কান্না দেখেন না। ইনফ্যাক্ট রোহিংগাদের কান্না দেখতেও আপনি প্রচন্ড রকম সিলেক্টীভ! আপনি বার্মায় রোহিংগা মুসলিমদের কান্না দেখেন, কিন্তু খোদ সৌদি আরবে মক্কা আর জেদ্দায় জেলখানাগুলোতে যে তিনহাজারেরও বেশী রোহিংগা মুসলিম পরিবারগুলোকে বন্দী করে রাখা হয়েছে 'ডিপোর্ট' করে দেয়ার জন্য,
তাদের কান্না তো দেখেন না!
জানেন?
সৌদি আরবে কোনো রোহিংগা মুসলিম পরিবারে মেয়ে হলে ঐ পরিবার খুব খুশী হয়ে যায়! কেনো জানেন? কারন এই মেয়েকে তারা কোনো সৌদি লোকের কাছে বিনামূল্যে দিয়ে দিয়ে (সো কল্ড বিয়ে দিয়ে) যদি ঐ লোকের কাছ থেকে একটু 'অফিশিয়াল ফেভার' পায়, এই আশায়!
হাহ!
আপনি তো খুব মুখ বড় করে বলেন, সৌদি বাদশাহ ফয়সাল শত শত রোহিংগা পরিবারকে তখন উনার সময়ে সৌদি আরবে থাকতে দিয়েছে। ব্যাস, এরপর যে সৌদি'র এমেরিকার পা চাটা গোলামী স্টেজের পিছন থেকে একদম খুললাম খুল্লা সামনে চলে এসেছে,
রাজা বদলেছে, আর এখন প্রতিদিন যেখানে পায় সেখান থেকে সৌদি পুলিশ রোহিংগা মুসলিমদেরকে ধরে ধরে জেলে পুরছে,
প্রচুর রোহিংগা মুসলিম যেখানে পারছে সেখানে পালিয়ে পালিয়ে থাকছে আর আশা করছে তাদের একটা মেয়ে হবে, দেখেন ঐ মেয়ের কান্না?
যে মেয়ে জন্মেছেই সৌদি কোনো বুড়ার সাথে বিয়ে হয়ে প্রতি রাতে ঐ বুড়ার কাছে রেইপড হয়ে তার বাপ মা কে আর পরিবারকে একটূ অফিশিয়াল ফেভার দেয়ার জন্য? কীভাবে দেখবেন? আপনাদের চোখের চামড়া এতই মোটা হয়ে গেছে, ইউটিউবে সরাসরি হত্যার আর খুনের জমজমাট দৃশ্য না দেখলে বাকী কোনো ধরনের অত্যাচার বা পার্সিকিউশান আপনাদের চোখেই পড়ে না! ---
আই রিয়েলী উইশ আমার কাছে রোহিংগা জেনোসাইড বন্ধ করার জন্য কোনো সমাধান থাকতো!
না নেই।
আমি বুদ্ধিজীবি না। কিন্তু জেনোসাইড বন্ধ করতে না পারলেও, ব্যক্তিগতভাবে দু'টো জিনিষ করা দরকার।
শর্ট টার্ম প্ল্যান
আর লং টার্ম প্ল্যান
শর্ট টার্মে হ্যাশটেগ স্টান্ডিং উইথ রোহিংগা ঠিক আছে, ওয়ার্ল্ড এওয়ারনেস তৈরী করার জন্য। কিন্তু লং টার্মে এসব জেনোসাইড যেনো আর নতুন করে তৈরীই না হয়, তার জন্য কী করছেন? ভাবুন।
আমি যদি ভেবে কিছু পাই, জানাবো। ততক্ষন পর্যন্ত আর কী করবেন, হ্যাশটেগের সাথেই থাকুন!

(আমার বড় আপার থেকে নেয়া)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:১৯
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×