ক্রিকেটে বিশ্বাকাপে অস্ট্রেলিয়ার নারী দল পুরুষ দলের চেয়ে বরাবরই এগিয়ে। পুরুষ দল যেখানে শিরোপা জিতেছে চারবার, সেখানে নারী দল জিতেছে ছয়বার। প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়া। হ্যাট্রিক শিরোপা জয়। সকল ক্ষেত্রেই দেশটির নারী ক্রিকেট দল অগ্রগণ্য।
অস্ট্রেলিয়া: ২৫৯/৭ (৫০ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৫/১০ (৪৩.১ ওভার)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১১৪ রানে জয়ী
এই তো রোববার রাতেই অসি নারী ক্রিকেট দল সর্বশেষ শিরোপাটা জিতেছে। ভারতের মুম্বাইয়ের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডজকে ১১৪ রানে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে তারা।
১৯৭৩ সালের প্রথম নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এরপর (৭৮, ৮২ এবং ৮৮) টানা তিন বিশ্বকাপের শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার। ৯৩’র বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় শিরোপা জিতলেও ৯৭ সালে ফের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো শিরোপা স্বাদ নেয় নিউজিল্যান্ড। পরের বিশ্বকাপ ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার এবং ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে ইংল্যান্ড।
মুম্বাইয়ের ব্রাবোরনে স্টেডিয়ামের ফাইনালটা হয়ে যায় একপেশে। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৫০ ওভারে ২৫৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ওপরের তিন ব্যাটারই খেলেছেন দারুণ। মেগ ল্যানিং, রাসেল হেইন্স এবং জেস ক্যামেরোনের ব্যাটে রান এসেছে। এদের মধ্যে জুটিও হয় বেশ। প্রথম উইকেটে ল্যানিং এবং হেইন্স ৫২, হেইন্স-ক্যামেরোনের দ্বিতীয় জুটিতে ৬৪, চতুর্থ উইকেটে ক্যামেরোন ও থালেকার ৫৫ এবং অষ্টম জুটিতে ফিল্ডস এবং পেরির ৫০ রান সাত উইকেটে বড় সংগ্রহ এনে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। ল্যানিং ৩১, হেইন্স ৫২, ক্যামেরোন ৭৫, ফিল্ড ৩৬ ও পেরি ২৫ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাকিনা কুইন্টেন ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট।
২৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অথৈ জলে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অসিবাহিনীর দাপুটে বোলিংয়ের সামনে ক্যারিবীয় নারী দলের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৫ রানে। একটিও ভালো জুটি গড়তে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। পেরি তিনটি, লিসা থালেকার, ওসবর্নে ও মেগান চার্ট দুটি করে উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ই্ন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দেন। ক্যারিবীয় ইনিংসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৩ রান মেরিসা আগুলেরার।
ক্যামেরোন ফাইনালের সেরা আর বেসিট টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


